সবার দেশ

বিচার যদি করতে চাও ঝড়তি এবং পড়তি কে? খবর তবে দিতেই হলো বিনয় চক্রবর্তীকে। লোকটা বুঝি সংখ্যালঘু? বিদ্যেতে সে লঘু নয়। সার্টিফিকেট দিচ্ছি লিখে। মনঃপূত তবু নয়? বেশ তো ডাকো সাইমনকে- চলন বলন মিষ্ট, পালন করেন বলেন যাহা প্রভু যিশু খ্রিস্ট। তাকেও না? তাকেও না! -তোমরা তুলো ধুয়া। সর্বশেষ ডাকছি তবে সরোজ বড়ুয়া। নাড়ছ মাথা […]

সবুজ রৌদ্রের এই পিপাসাই

দীর্ঘ দীর্ঘ দিন। বড় দীর্ঘ- আমি স্বস্তিহীন। খ্রিস্টের বৎসর যদি পার হয়ে যায়, রক্ত তার এখনো ঝরায়- এখনো এ পৃথিবীতে মানুষ ক্রুশেও! অগ্নি ছোটে হাওয়ায় হাওয়ায়। ক্রমেই নিজের থুতু তার কাছে হতে থাকে পেয়- এখনো মাটিকে লাথি যার সমীচীন। আমি নতজানু এই রক্তাক্ত মাটিতে। চৌচির এ বুকে তৃষ্ণা- দীর্ঘ জাগরণ- আর এই প্রার্থনা এখন আবার […]

ইতিহাস যদি ফের

ও কাকে দেখছি আমি বেরিয়েছে? পিঠে তার ব্যাগ, ব্যাগের ভেতরে রুটি, আতাফল, জরুরি ওষুধ হঠাৎ কামড়ায় যদি মন্দকাল শেয়ালের খ্যাঁক, ছিপিআঁটা কোমল পানীয় তার তেজালো বুদ্বুদ! সাইকেল? নাকি যাবে পায়ে হেঁটে? অথবা বেলুন! বাহন কী হবে তার অমাবস্যা অতিবাহনের? যাত্রাশেষে অন্নের ব্যঞ্জনে শুধু পাবে পোড়া নুন? এ কেমন কাল এলো এই দেশে এতটা ঘুমের? তাই […]

জগন্নাথ হল

দুলে উঠছে ফুলের অজস্র পতাকা উধাও ছাত্রদের মাঠে ঘাসের বেয়োনেটগুলো আকাশের দিকে স্থির পাশেই ছিন্ন একটা স্তনের বোঁটা মুখে সমস্ত নিস্তব্ধতায় দীর্ঘ ছায়া ফেলে সৈনিক সূর্যাস্তের প্রতিফলন তার দাঁতে

আমিও জীবনভর

মাঝে মাঝে থমকানো ভালো! ফুলের বিষণ্ন টব বিদ্যুৎ চমকালো! আজ রাতে ইস্টিশানে দেরী করে এসেছিলো ট্রেন মালগাড়ি। পাদানিতে যাত্রী কতিপয় বাকি সব পাট তিসি এনামেল হাঁড়ি! মাঝে মাঝে উঠে যাওয়া ভালো এইসব মালের গাড়িতে- যেতে হয়!- যেতে যাওয়া একটিই- নিজের বাড়িতে! টব থেকে ফুল আর বস্তা থেকে তিসি ধান পাট ঝরে পড়ে, পড়ে থাকে মধ্যরাতে […]

ভালোবাসার দিনে

রাতের অন্ধকার এখন আমার ছবি আঁকার ক্যানভাস । তোমার চোখের আলো আমার রঙ । একদিন তোমাকে যে ছুঁয়েছি সেই আঙুল আমার তুলি এখন । আমি তোমার ঘুমের ছবি আঁকছি । তুমি নিলীন হয়ে শুয়ে আছো এখন আমার ছবির ভেতরে। এই ঘুম থেকে তোমাকে আমি জাগবো না । অস্থির পৃথিবী থেকে তুলে এনে ভালবাসার দু’হাতে তোমাকে […]

এই ভালো এই তবে ভালো

তোমার সময় যদি সদাশয় হে ঈশ্বর হয় আমাদের ঘরে এসো একবার দু’এক মিনিট। লাবণ্যের চুল আজও সুবাসিত তেলে গন্ধময়— যদিও দালান ভাঙা, কী নির্মল হাসে ন্যাংটো ইট। তবুও যখন তুমি পূর্ণিমার চাঁদ তুলে ধরো, যখন মাখিয়ে দাও পৃথিবীর আননে মাখন— তখন যদিও শ্বাস বন্ধপ্রায়, প্রাণ মরো-মরো, আমার মাটির থালা হয়ে ওঠে সোনার বাসন, ভরে যায় […]

স্মৃতিময় শারদীয় হাওয়া

সে কী বিস্ময়! কী যে বিস্ময়! কী করে ভুলি! আকাশের নীল ঘন শাদা মেঘ, কবেকার গ্রামপথে ডুলি! নাইওরে যাচ্ছে বউ! একদিন চুল তার— দেখি নাই কারও চুল দীর্ঘ এতটা— বিস্ময় সে কী! আর চুলে নক্ষত্রের ফোঁটা— কত লক্ষ! এক লক্ষ! দাবানল লাগা বনের সেই অগ্নিকণা— ভুলব না! কিশোরের ঘুড়ি হাতে উড্ডীন উন্মাদনা! এখনো কী বিস্ময়ে […]

ঘাসে ওই একটি শিশিরবিন্দু

তুমুল তর্কের মাঠে স্তব্ধ ওই দাঁড়কাকটিকে ভালো করে নজরে আনুন। দেখুন, কতটা তার একাগ্র চঞ্চুটি! খুঁটে খুঁটে শব্দরাশি খেয়ে চলেছে সে বক্তাদের অগোচরে তর্কের উৎপন্ন বর্জ্য- সব- সব- সব- সবটুকু তুলে নিয়ে উড়ে যাবে সেও অগোচরে পৃথিবীর সন্তাপ যেখানে শেষাবধি শ্রান্তি পায়- ঘাসের ডগায় যেখানে শিশির পড়ে হীরকের মতো- সারা দিন উজ্জ্বল প্রদর্শ হয়ে থাকে- […]

জলে তার চোখের কাজল

হঠাত্‍ এ কোন গ্রামে এসে গেলে তুমি! কোথাও সড়ক নেই, শুধু জলাভূমি যেন কেউ কেঁদে কেঁদে ঝরিয়েছে জল- জলে তার চোখের কাজল৷ অথবা সে আকাশের নীলে ছায়া ফেলে জলসঙ্গী ঝিলে৷ চলা থামে- এখানেই থামা পথিকের যে হোক সে হোক সে তো আমাদেরই- সে তো আমাদের৷