এই ভালো এই তবে ভালো

তোমার সময় যদি সদাশয় হে ঈশ্বর হয়
আমাদের ঘরে এসো একবার দু’এক মিনিট।
লাবণ্যের চুল আজও সুবাসিত তেলে গন্ধময়—
যদিও দালান ভাঙা, কী নির্মল হাসে ন্যাংটো ইট।
তবুও যখন তুমি পূর্ণিমার চাঁদ তুলে ধরো,
যখন মাখিয়ে দাও পৃথিবীর আননে মাখন—
তখন যদিও শ্বাস বন্ধপ্রায়, প্রাণ মরো-মরো,
আমার মাটির থালা হয়ে ওঠে সোনার বাসন,
ভরে যায় ভোরের ফুলের মতো জুঁইশুভ্র ভাতে,
বন্ধ টিপকল থেকে বের হয় অমৃতের ধারা—
জীবনের গ্রাস ওঠে তখনই তো এই শীর্ণ হাতে!
এমন পরানকথা আমাদের করে আত্মহারা।
একবার দেখে যেও— যদি পারো— ভুবন ঈশ্বর!
অথবা ঈশ্বর নও— কবিদেরই তুমি কণ্ঠস্বর

শম নেই শান্তি নেই বৈঠা পড়ে— এখনো বৈঠায়—
একদা উদ্দেশ দেয় সোনা খড়ে ছাওয়া যে কুটির।
হূদয়ে তুমুল জল খেলা করে জোয়ার ও ভাটায়—
ঝলমল স্বপ্ন দেখি শুক্লপক্ষ জরির বুটির।
এখনো পাইনি তল, নদী জলে ঝুঁকে পড়া গাছ,
সাপের মাথার মণি, পড়ে আছে উধাও পরির
খসে পড়া স্বচ্ছ বাস, ঘাই দেয় রূপবতী মাছ—
ওতেই যে ঢেউ ওঠে— তোলপাড় নদীর গভীর।
জীবনের এইসব মেধাবীতে যাবার ইচ্ছায়
এখনো ভাঙছি জল, কত জল কতকাল থেকে—
মিঠে কি নুনের জল— অন্ধকারে ঢাকা দিকছায়—
খাতার পাতায় শুধু আজও হাতে কলমটি রেখে—
মধ্যরাত— লিখে যাচ্ছি— পৃথিবীর কোনো গল্প শেষ
এখনো হবার নয়— অথবা এ কবিতা বিশেষ ।