আট কুঠুরি নয় দরজা –০৫

দূরত্বটা অনেকখানি ঢালু মাঠ যেখানে শেষ হচ্ছে সেখানেই ঝোপের শুরু। জানলায় দাঁড়িয়ে জোৎস্নায় ভেসে যাওয়া আকাশের নীচেটা শান্ত, স্বাভাবিক। স্বজন গম্ভীর গলায় বলল, তুমি বোধ হয় ভুল দেখেছ। অসম্ভব। আমি স্পষ্ট দেখেছি। পৃথার গলায় এখন স্বাভাবিকতা এসেছে। ঠিক কোন জায়গাটায়? পৃথা আঙুল তুলে জায়গাটা দেখাল। এখন সেখানে কিছু নেই। পৃথিবীটা এখন নিরীহ এবং সুন্দর। স্বজন […]

আট কুঠুরি নয় দরজা –০৭

লোকটা মূর্খ। এবং অতিবড় মুখ না হলে কেউ ওই বাংলোয় যায় না, গিয়ে টেলিফোন ধরে না। ভার্গিস বিড়বিড় করলেন। এখন মধ্যরাত। বিছানায় শুয়ে খবরটা পাওয়ামাত্র সোমের মুখটাকে মনে করলেন তিনি। লোকটার আর বাঁচার পথ খোলা রইল না। কিন্তু তিনি চাননি ও এত চটজলদি ধরা পড়ুক। অনেক সময় বোকারাও ফস করে ঠিকঠাক কাজ করে ফেলে। চিতাটাকে […]

আখলাকের ফিরে যাওয়া

দুই এভাবে অনেকটা সময়ই গেল। কতটা সময়, আখলাক বলতে পারবে না। তবে ব্যাপারটা তাকে চমকে দিয়ে গেল। সে হঠাত্ই টের পেল তার দুচোখ খুলে গেছে। কী আশ্চর্য, কেন তার দুচোখ খুলে গেছে! মৃত মানুষের কি চোখ খোলা থাকে! থাকে, এটা সে বহু আগেই শুনেছিল। যদি কেউ মৃত্যুর পর চোখ বুঁজিয়ে না দেয়, চোখ খোলা থাকতে […]

আখলাকের ফিরে যাওয়া

নিজের মৃত্যুটা আখলাক বুঝতে পারল না। সে তাই বাড়ি ফিরে গেল। তার অবশ্য ধারণা হয়েছিল, আজ আর বাঁচার কোনো উপায় নেই। সে নিজেকে বলেছিল—হায় আখলাক, হায় গাধা আখলাক, এ তুমি কী করেছ! তোমার জেসমিনের সঙ্গে কাল রাতে আর আজ সকালে ঝগড়া হয়েছে, মানলাম। অফিস ছুটির পর তোমার মন খারাপ ছিল, তাও মানলাম। তুমি ভেবেছিলে এদিক-ওদিক […]