নিঃসঙ্গ কবি, নির্জন রেস্তোরাঁ

মাথার ভেতরে লেখা। অদূরে রেস্তোরাঁ। আষাঢ় সেজেছে খুব মেঘে মেঘে-মনে সে করাবে বিরহ বিপন্ন দিন-রাস্তাঘাট আদ্যোপান্ত খোঁড়া। মাটির পাহাড়গুলো কতদিনে কে জানে সরাবে! এরই মধ্যে পথ করে নিতে হবে আজ। অপেক্ষায় কবিতা ও কফি। হঠাৎ বৃষ্টির শুরু, ধমকাল বাজ। পিছলে পা পড়ে গেল কবি। সমস্ত শরীরে কাদা। এভাবে কি যাওয়া যেতে পারে? বিমূঢ় দাঁড়িয়ে থেকে […]

একেই বুঝি মানুষ বলে

নষ্ট জলে পা ধুয়েছো এখন উপায় কি? আচ্ছাদিত বুকের বোঁটা চুমোয় কেটেছি। কথার কোলে ইচ্ছেগুলো বাৎসায়নের রতি, মানে এবং অন্য মানে দুটোই জেনেছি। নষ্ট জলে ধুইয়ে দেবে কখন আমার গা, তোমার দিকে হাঁটবে কখন আমার দুটো পা? সেই দিকে মন পড়েই আছে, দিন তো হলো শেষ; তোমার মধ্যে পবিত্রতার একটি মহাদেশ এবং এক জলের ধারা […]

আমি একটুখানি দাঁড়াব

আমি একটুখানি দাঁড়াব এবং দাঁড়িয়ে চলে যাব; শুধু একটু থেমেই আমি আবার এগিয়ে যাব; না, আমি থেকে যেতে আসিনি; এ আমার গন্তব্য নয়; আমি এই একটুখানি দাঁড়িয়েই এখান থেকে চলে যাব। আমি চলে যাব তোমাদের এই শহরের ভেতর দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি এর মার্চপাস্টের যে সমীকরণ এবং এর হেলিকপ্টারের যে চংক্রমণ, তার তল দিয়ে তড়িঘড়ি; আমি […]

আমার পরিচয়

আমি জন্মেছি বাংলায় আমি বাংলায় কথা বলি। আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি। চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে। তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে ? আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে। আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে আমি তো এসেছি পালযুগ নামে […]

পরানের গহীর ভিতর-১১

কি আছে তোমার দ্যাশে? নদী আছে? আছে নাকি ঘর? ঘরের ভিতরে আছে পরানের নিকটে যে থাকে? উত্তর সিথানে গাছ, সেই গাছে পাখির কোটর আছে নাকি? পাখিরা কি মানুষের গলা নিয়া ডাকে? যখন তোমার দ্যাখা জানা নাই পাবো কি পাবো না, যখন গাছের তলে এই দেহ দিবে কালঘুম, যথন ফুরায়া যাবে জীবনের নীল শাড়ি-বোনা তখন কি […]

পরানের গহীর ভিতর-১

জামার ভিতর থিকা যাদুমন্ত্রে বারায় ডাহুক, চুলের ভিতর থিকা আকবর বাদশার মোহর, মানুষ বেকুব চুপ,হাটবারে সকলে দেখুক কেমন মোচড় দিয়া টাকা নিয়া যায় বাজিকর ৷ চক্ষের ভিতর থিকা সোহাগের পাখিরে উড়াও, বুকের ভিতর থিকা পিরীতের পূর্ণিমার চান, নিজেই তাজ্জব তুমি – একদিকে যাইবার চাও অথচ আরেক দিকে খুব জোরে দেয় কেউ টান৷ সে তোমার পাওনার […]