স্মৃতিময় শারদীয় হাওয়া

5231fe811ab65-Untitled-12সে কী বিস্ময়! কী যে বিস্ময়! কী করে ভুলি!

আকাশের নীল ঘন শাদা মেঘ, কবেকার গ্রামপথে ডুলি!

নাইওরে যাচ্ছে বউ! একদিন চুল তার—

দেখি নাই কারও চুল দীর্ঘ এতটা—

বিস্ময় সে কী! আর চুলে নক্ষত্রের ফোঁটা—

কত লক্ষ! এক লক্ষ! দাবানল লাগা বনের সেই অগ্নিকণা—

ভুলব না! কিশোরের ঘুড়ি হাতে উড্ডীন উন্মাদনা!

এখনো কী বিস্ময়ে বিমূঢ়!

মনে করে দ্যাখো সেটি—মেধাবী কাঁধের ওপরে মুড়ো

খসে পড়ে যেতে চাইছে আকাশের ধবল নীল প্রান্তরে—

আর অগ্নিতে চোখের তারা পোড়ে!

আজ এই নগরের অ্যাভেনিউয়ে এসে যেই দাঁড়ালাম—

সেদিনের কিশোর বেলাকার এই আমাকে বললাম—

ওরে থাম! থাম!

দ্যাখ সেই একই ছবি, সেই মেঘ,

সেই নীল, অগ্নি সেই একই!

আজও তো হঠাৎ—সেদিন গ্রামের নয়—

তোমাকেই আজও দেখে উঠি!—

যদিও জীবন হয়ে গেছে যেন বাসি পাউরুটি!

তবু এ আকাশ আর সেদিনের আকাশ নিচে যে হঠাৎ আমি—

কোনোটাই নয় কোনোটির চেয়ে এতটুকু কম দামি!

শুধু প্রতীকের হেরফের—ঢের!—

আর বয়সের গড়িয়ে যাওয়া!

স্মৃতির পাতা উড়ে যায়—কত দূরে বা কোথায়!—

মুখ পরে মুখ!—কত মুখ ওড়ায়!

আজও তো ওড়াতে থাকে পূর্বাপর উদাসীর

বিপুল মত্ত অস্থির

ইতিহাস আর সেই ঘন নীল শাদা শাদা শারদীয় হাওয়া।