ঘাসে ওই একটি শিশিরবিন্দু

তুমুল তর্কের মাঠে স্তব্ধ ওই দাঁড়কাকটিকে
ভালো করে নজরে আনুন।
দেখুন, কতটা তার একাগ্র চঞ্চুটি!
খুঁটে খুঁটে শব্দরাশি খেয়ে চলেছে সে
বক্তাদের অগোচরে
তর্কের উৎপন্ন বর্জ্য- সব- সব- সব-
সবটুকু তুলে নিয়ে উড়ে যাবে সেও অগোচরে
পৃথিবীর সন্তাপ যেখানে
শেষাবধি শ্রান্তি পায়- ঘাসের ডগায়
যেখানে শিশির পড়ে হীরকের মতো-
সারা দিন উজ্জ্বল প্রদর্শ হয়ে থাকে-
হৃদয় তো এই সব জানে!
আমিও নীরবে তাই লিখি আর লিখে যেতে থাকি
জলের শব্দের কথা,
জ্যোৎস্নার ধীবর কথা-
যাই লিখে যাই।
তারপর রাত্রি নেমে এলে-
তার্কিকেরা যখন গিয়েছে ফিরে যে যার গুহায়-
মাঠে মাঠে যাই, আমি যাই।
যদি কেউ আজও দৃষ্টিমান
একবার আমাকেও দেখে নিন!
আজও আমি ওই
দাঁড়কাকটির মতো
ধীরতায় স্থিরতায় পৃথিবীতে আছি-
পৃথিবীর এত রক্ত পুঁজ তর্ক, তবু আছি-
ঘাসে ওই একটি শিশিরবিন্দু-
আর আমি কলমের একাগ্র চঞ্চুতে