পূর্ণতা

#পূর্ণতা —————————- থাক না কিছু শূণ্যতা —- পূর্ণতা পাবার আশা নিয়ে কিছু কিছু শূণ্যতা বেঁচে থাক! উড়ে যাক কল্পনার অচীন পাখিরা অসীম শূণ্যতার মাঝে পূর্ণতার খোঁজে, অতল মহাশূণ্যে মহাপ্রাপ্তির অন্বেষণে। যেখানে নৈঃশব্দ নিরন্তর কথা বলে… মৌনতায় নিমগ্ন শব্দহীন শব্দের স্তব্ধ পদাবলী নিশ্চুপ লিখে চলে অন্তহীন মহাকাব্য, চৈতন্যের গভীরে প্রতিধ্বনিত হয় কায়াহীন কল্পনা স্বগোতোক্তিময়, কল্পতরুর শাখা-প্রশাখায় […]

ইচ্ছে

জানতে খুবই ইচ্ছে করে – যখন তখন এই যে বলিস ‘এক্ষুনি নয়- একটু পরে !’ এই ‘পরে’ কে কবে যে তুই ফেলবি ছুঁড়ে! একটু ঘুরে বলবি কবে – দিলাম তবে ঘরের চাবি, – এই নে খাবি দুধের বাটি! খাঁটি সোনার স্বপ্ন বোনার অতল পুকুর একলা দুপুর! ডুব দিয়ে খোঁজ কোথায় নিখোঁজ ভালোবাসা – সর্বনাশা! – […]

ফটিক টিং

দেখতে মানুষ চামড়াধারী নাকের ফুটো, দাঁতের মাড়ি, কিন্তু বাপু হঠাৎ কেন মাথায় দুটো লম্বা শিং ? — আজ্ঞে আমি ফটিক টিং। শিং দিয়ে কি গুঁতোও নাকি ? মেজাজ বুঝি আগুন খাকি ? কিন্তু বাপু পানের সঙ্গে গিলছ কেন খাবলা হিং ? — আজ্ঞে আমি ফটিক টিং। বেশ তো দেখি হাসতে পারো যক্ষা কাশি কাশতে পারো […]

স্বপ্ন

স্বপ্নে তোকে বাড়ির দিকে এগিয়ে দিতে যাই স্বপ্নে এসে দাঁড়াই পাড়ার মোড়ে কখন তুই ফিরবি ভেবে চারিদিকে তাকাই টান লাগাই তোর বিনুনি ধরে। স্বপ্নে আমি ভিক্টোরিয়ায় তোর পাশে দাঁড়াই স্বপ্নে বসি ট্যাক্সিতে তোর পাশে স্বপ্নে আমি তোর হাত থেকে বাদাম ভাজা খাই কাঁধ থেকে তোর ওড়না লুটোয় ঘাসে। তুলতে গেলি – কনুই ছুঁলো হাত তুলতে […]

আনন্দেরই সাগর থেকে

আনন্দেরই সাগর থেকে এসেছে আজ বান। দাঁড় ধরে আজ বোস্‌ রে সবাই, টান রে সবাই টান্‌। বোঝা যত বোঝাই করি করব রে পার দুখের তরী, ঢেউয়ের ‘পরে ধরব পাড়ি যায় যদি যাক প্রাণ । আনন্দেরই সাগর থেকে এসেছে আজ বান। কে ডাকে রে পিছন হতে, কে করে রে মানা, ভয়ের কথা কে বলে আজ– ভয় […]

মেঘের মতো মানুষ

আমার সামনে দিয়ে হেঁটে যায় ওই এক মেঘের মতো মানুষ ওর গায়ে টোকা দিলে জল ঝরে পড়বে বলে মনে হয়। আমার সামনে দিয়ে হেঁটে যায় ওই এক মেঘের মতো মানুষ ওর কাছে গিয়ে বসলে ছায়া নেমে আসবে মনে হয় ও দেবে, না নেবে? ও কি আশ্রয়, না কি আশ্রয় চায়? আমার সামনে দিয়ে হেঁটে যায় […]

ওই কালস্রোত

ওই কালস্রোত। আমি সিমেন্ট বাঁধানো পাড় থেকে হাত ডোবাই। আমার আঙুল গলে যায়। কব্জি, বাহু গলে যায়। ঘাড়ের উপরে মুণ্ডু নিয়ে আমি হাত-পা-কাটে জগন্নাথ নদী-নালা আঁকা এক ঘুরন্ত বলের পিঠে বসে থাকি। শূন্যে পাক খাই।

শুয়ে শুয়ে

আমার সঙ্গে শোবে এসো, তোমার উরুতে আমি আমার মাথাটি রাখছি, আর আমার কাত হয়ে শোওয়া কোমরের খাঁজে তোমার বাহু রাখো, এভাবে ভাই বোনের মত, বোন বোনের মত, টোনাটুনির মত, সুকসারীর মত, পেঙ্গুইন দম্পতির মত চলো শুয়ে থাকি। শুয়ে শুয়ে কবে কোন শিশুকালে দুপুরের পুকুরে হাঁসের সাঁতার দেখেছিলে, একটি বাচ্চা হাঁস পথ হারিয়ে কাঁদছিল, ওকে তুলে […]

পাওয়া না-পাওয়ার কানামাছি

রঙীন রুমালে চোখ দুটো বাঁধা নিজের সঙ্গে নিজের অষ্টপ্রহর- কানামাছি খেলা ভারী চমৎকার ধাঁধা। যাকে ছোঁবার তাকে না ছুঁয়ে আকাশ ধরতে হাত বাড়িয়ে আমি ধুলো মাটির ভূয়ে। হাত বাড়ালে হাতে জলের বদলে শামুক অথচ ভেতরটা পরাগসুদ্ধ ফুলের জন্যে আপাদমস্তক কামুক। সিদুর রঙের কিছু দেখলেই মন উসখুস, ইচ্ছেয় আগুন বিশ্বাসের বাকলে সত্যিই এল ফাল্গুন? কাছে যাই, […]

একটি শেষমুহূর্তের নারীসিন্ধুতট

একটি শেষমুহূর্তের নারীসিন্ধুতট অন্যটিতে আরম্ভের ডানা ছড়ানো ঈগল ছোঁ মেরে ওঠে আবার, তার নখে সরীসৃপ পায়ের গোছে শিকল একটি শুভ আরম্ভের মাঙ্গলিক ঘট ঘটের নীচে সাপের চোখ, মণি বুড়ো আঙুল কেটে দেওয়ার পরেও বাকি থাকে কলম, তর্জনী মাটির কান, মাটির নীচে রক্ত চলাচল– ভূর্গভের হৃদয় নড়ে–ওষ্ঠ? নড়ে তা-ও! দুঃখ তার কণ্ঠা ক্ষুর দিয়ে ফাঁক করেছে–খাও