কাটাকুটি

চোখ ধাঁধিয়ে তিরতিরিয়ে কাঁপছে ভীষণ রেলের পাটি। দুই শালিকে ঠোঁট নাড়িয়ে চিল চীৎকার ঝগড়াঝাঁটি। লাল মোরামের ভ্রান্ত পথের ক্লান্ত পথিক ছোটাছুটি। শাল পিয়ালের গহন বনে মেঘ কালো মেয়ে রূপরেখাটি। তপ্ত দুপুর মাটির দাওয়ায় ভাত ঘুমের ওই শীতলপাটি। তন্দ্রা চোখে পেঁজা তুলোর স্বপ্ন ফেরী কাটাকুটি।

ও মেয়ে

ও মেয়ে তোর জন্যই কিনেছিলাম মুক্তোর মালা। আজ দেরাজে বন্দী দশা তার। নিজের হাতে বেলিফুলের গাছ লাগিয়ে ছিলাম, রোজ মুঠো ভরে নিয়ে যেতাম বিছিয়ে দিতাম তোর আঁচলে। আজ আর জল দেয়া হয়নি সেই গাছে। মাঝ রাতে গঞ্জ যখন নিরব, নিসচুপ প্রতিটি স্নায়ু জানান দেয় তার উপস্থিতি। কোল বালিশে তার নিঃশ্বাসের গন্ধ। দীঘল চোখে এক আকাশ […]

মরচে পরে না

স্নায়ুতন্ত্রে ইদানিং পুরাতনীর সুর বাজে মনের চাতালে বালি কিচকিচ জং খাওয়া কলমের নীপ বমি করে দুর্গন্ধযুক্ত বস্তাপচা ময়লা চশমার কাঁচ ঘসে ঘসে, ঘসে ঘসে পৃথিবী জুড়ে ব্লার এফেক্ট। কাঞ্চা গুলি গলার নলি চেপে বসে থাকে। শ্বেতপরি ঢেউ এর উদ্দাম ঝাপটা পাগল বাতাসের ফার্নেস হল্কা কোনো কিছুতেই হেলদোল নেই তার। কালশিটে পরা সুখের অ্যালবাম মগজের দেরাজে […]

কবিতা বিলাস

পাতার পর পাতা উলটে যাই হিজিবিজি কালো পিঁপড়ের জঙ্গল। মস্তিষ্কের চারপাশে গভীর পরিখা, অনধিকার প্রবেশ নিষেধ। অথৈ জলে নাকানিচোবানি হারিয়ে যাওয়া শব্দের সন্ধানে। কাঁঠাল পাতার আঁঠার অন্বেষণ জুড়ে নিতে চাই আধ পোড়া কবিতার ছাই। করনসুধায় টালমাটাল ব্যাকরণ অশিক্ষিতের কবিতা বিলাস এ ছেদবিন্দু।

তুই?

সোঁদা ঘামের গন্ধ জড়িয়ে ছিল আষ্ঠেপৃষ্ঠে, তুই ছিলি! বাইরে তখন বালক বাতাস উড়িয়ে দিচ্ছে ধুলো। বন্ধ চোখে এগিয়ে দিয়েছিলি ভেজা ঠোঁট, এলোমেলো চুল করে, আবার গোছানো, আদু কন্ঠে ‘এমনটাই থেকো’ তুই ছিলি! আজো আমি একই আছি। তুই?

অস্পৃশ্য

ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিন বছরের পর বছর সময় নষ্টের ঠিকাদার আমি……… দায়িত্ব নিয়ে ঘড়ির কাঁটা চিবিয়ে চলেছি। বুদ্ধি কি অস্পৃশ্য?

অকর্মণ্য

ইলশেগুঁড়ি, ঝমঝমে বৃষ্টি দিনমান অবিরাম। শিক্ত বসনা যুবতী গাছেরা রশ্মির অপেক্ষায় নিরুপায়, মাতাল বাতাস নাছোড়বান্দা। মাঠ জুড়ে ভেজা সবুজের কার্পেট দামাল জলের খেলাঘর। পানারি ভাসানো ব্যস্ত নয়ানজুলিতে মাটির ছেলেদের কই উৎসব। ধবল গাই তাড়িয়ে ঘর ফিরছে মুন্ডুরি। টিনের ছাদে জলতরঙ্গ উত্তাল সঙ্গীতে মাতোয়ারা পরিবেশ শুধু আমার কিছু করার নেই। ক্লান্ত কলমের স্ট্রাইক, একঘেয়ে ফেসবুকও ভেঙচি […]

তোষণ

মানবতার শিশু আজ কেঁদে কেটে মরে নিভৃতে কাঁদে বিচারের বাণী আফ্রিকা থেকে এশিয়া পর্যন্ত শকুনী দৃষ্টি দেয় বিশ্বকর্মারা মুখে তাদের ভালোবাসার ফুলঝুরি অন্তরে বিষ। তাদের কথা মত তুর্কি নাচন নাচে আর কুম্ভকর্ণের মত ঘুমিয়ে থাকে আমাদের কর্তারা সামনে হাটু গেড়ে বসে থাকে নিষ্কর্মা পীর-পুরোহিত।   (কবিতাটি ‘শব্দনীড় এবং প্রথমআলো ব্লগে প্রকাশিত)