ফটিক টিং

দেখতে মানুষ চামড়াধারী নাকের ফুটো, দাঁতের মাড়ি, কিন্তু বাপু হঠাৎ কেন মাথায় দুটো লম্বা শিং ? — আজ্ঞে আমি ফটিক টিং। শিং দিয়ে কি গুঁতোও নাকি ? মেজাজ বুঝি আগুন খাকি ? কিন্তু বাপু পানের সঙ্গে গিলছ কেন খাবলা হিং ? — আজ্ঞে আমি ফটিক টিং। বেশ তো দেখি হাসতে পারো যক্ষা কাশি কাশতে পারো […]

কেউ ভাল না বাসলে

সর্বনাশের ভিতরে কত ছোটাছুটি ছিল
বাল্যকালে
জ্যোৎস্নার আঁচল ধরে কত টানাটানি ছিল
বাল্যকালে
জরির পাড় বসানো কত

আমরা আবহমান ধ্বংস ও নির্মানে

মাঝে মাঝে তোমার সেই প্রিয় কবিকে ভীষন ঈর্ষা করতে ইচ্ছে করে আমার । আমার প্রিয় কবি ,কার কথা বলছো তুমি ? তোমার প্রথম চিঠির শিরোনামায় টাঙ্গিয়ে দিয়েছিলে যার কোটেশান । সেই কবেকার কথা, খোঁটা দিয়ে খুব সুখ পাচ্ছ বুঝি ? কাকের পিঠে ময়ুর পিচ্ছের মতো একাডেমী তাঁর গলায় মালা পড়িয়ে দিলো যেদিন তারপর থকেই বিসর্জনের […]

আমরা আবহমান ধ্বংস ও নির্মানে

সেদিন ছিল শনিবার আমার মনে ঘুংঘুর বেজে উঠল হঠাৎ তুমি তাহলে নিশ্চয়ই আসছো । তুমি মেজেন্টা ভালোবাস, শাড়িতে সেই রঙ তুমি বর্ষা দেখতে পাগল,তাই চোখের চার পাশে কাজল পরা মেঘ । বিছানা একটু নরম না হলে লাগবে তাই আচলের ঘের কমিয়ে তুলতুলে দুটো বালিশ এভাবে দ্বিকবিদ্বিক জেগে বসে চাঁদ চলে গেল দখিনের পথে তাঁর মুচকি […]

আমরা আবহমান ধ্বংস ও নির্মানে

আপনার মশায় দিন রাত কি এমন কাজ বলুন তো বাল্মিকী মুনি হয়ে যাচ্ছেন নাকি আধ মিনিটের দেখা দিতে আধ মাস আপনি কি ডানা আঁকছেন শিকড়ের পিটে নাকি ডানার পিটেই সেলাই করছেন শিকড় কি জানি বাবা যা কেরামতি আপনাদের ,সব ভেলকিই তো হাতের মুটোই সব কবিরাই যাদুকর সত্যি কে মিথ্যের লাল নীল রুমাল কিংবা মিথ্যেকে সত্যির […]

কথোপকথন-১

তোমার পৌঁছতে এত দেরি হল? পথে ভিড় ছিল? আমারও পৌছতে একটু দেরি হল সব পথই ফাটা। পথে এত ভিড় ছিল কেন? শবযাত্রা?কার মৃত্যু হল? আমাদের চেনা কেউ না তো? এই তো সেদিন যোগো গেল দৌড়ে গেল,এখনও ফিরল না। আগে পরে শঙ্কর,বিমল। আমাদের যাকে যাকে প্রয়োজন তারাই পালায় দুরের সমুদ্রে চলে যায় কালো নুলিয়ারা যায় যে-রকম […]

কথোপকথন-৪১

-বৃক্ষের বল্কল দেখে মনে হয় যেন আমাদের কথোপকথনগুলো যাতে না হারায় আশ্চর্য হরফে লিখে রেখেছে উল্কির মতো নিজেদের গায়। পৃথিবীর বৃক্ষগুলো মানুষের গোপনীয়তম সমস্ত সংবাদ জানে,এমনকি তোমাকে যা কখনো বলিনি হৃদয়ের সেই সব তূর্ষনাদও আর্তনাদও জানে। -নভোমন্ডলের দিকে চেয়ে থেকে ঠিক এরকমই ভেবেছি আমিও। কোন গোপন আলমারী ঘেঁটে-ঘুঁটে তোমাকে যে-সব চিঠি লিখেছি,যা কখনো লিখিনি নক্ষত্র-অক্ষরে […]

কথোপকথন-৪০

-ধরো কোনো একদিন তুমি খুব দূরে ভেসে গেলে শুধু তার তোলপাড় ঢেউগুলো আজন্ম আমার বুকের সোনালী ফ্রেমে পেনটিং-এর মতো রয়ে গেল। এবং তা ধীরে ধীরে ধুলোয়,ধোঁয়ায়,কুয়াশায় পোকামাকড়ের সুখী বাসাবাড়ি হয়ে যায় যদি? – ধরো কোনো একদিন যদি খুব দূরে ভেসে যাই আমারও সোনার কৌটো ভরা থাকবে প্রতিটি দিনের এইসব ঘন রঙে ,বসন্তবাতাসে,বৃষ্টিজলে। যখন যেমন খুশী […]

কথোপকথন-৩৯

তোমাকে বাজাই সমুদ্র-শাঁখ তুমি। গাছে ফুল আসে ফুলেরা কিশোরী হয়। ডালপালাগুলো সবুজ পাতার খামে চিঠি লিখে লিখে প্রেম নিবেদন করে। ফ্রক ছেড়ে শাড়ি পরে সমগ্র বনভুমি। তমাকে ভাসাই মেঘের নৌকা তুমি তুমি জান লাল প্রবালের নিল দ্বীপ। অমরাবতীর দরজায় এসো নামো, খাট-পালঙ্ক পেতে দেয় জোৎস্নারা। বুড়ি চাঁদ এসে ঝাড়-লন্ঠন জ্বালে। পৃথিবীর ফাটা গালে হেসে ওঠে […]

কথোপকথন-৩৭

ভালবাসা,সেও আজ হয়ে গেছে ষড়যন্ত্রময়। নন্দিনী! এসব কথা তমার কখনো মনে হয়? চক্রান্তের মত যেন,সারা গায়ে অপরাধ প্রবনতা মেখে একটি যুবুক আজ যুবতির কাছাকাছি এসে সাদা রুমালের গায়ে ফুলতোলা শেখে। যেন এই কাছেয়াসা সমাজের পক্কে খুব বিপজ্জনক। যেন ওরা আগ্নেয়াস্ত্র পেয়ে গেছে মল্লিকবাগানে যেন ওরা হাইজ্যাকের নথিপত্র জানে এসেছে বারুদ ভরে গোপন কামানে। একটি যুবুক […]