কথোপকথন-৩৭

ভালবাসা,সেও আজ হয়ে গেছে ষড়যন্ত্রময়।
নন্দিনী! এসব কথা তমার কখনো মনে হয়?
চক্রান্তের মত যেন,সারা গায়ে অপরাধ প্রবনতা মেখে
একটি যুবুক আজ যুবতির কাছাকাছি এসে
সাদা রুমালের গায়ে ফুলতোলা শেখে।
যেন এই কাছেয়াসা সমাজের পক্কে খুব বিপজ্জনক।
যেন ওরা আগ্নেয়াস্ত্র পেয়ে গেছে মল্লিকবাগানে
যেন ওরা হাইজ্যাকের নথিপত্র জানে
এসেছে বারুদ ভরে গোপন কামানে।

একটি যুবুক যদি প্রতিদিন পাখি-রং বিকেল বেলায়
তার কোনো নায়িকার হাতে রাখে হাত
যেন এই কলকাতার সাপা-খোপে খাবে।
এই সব ফিসফাস,চারিদিকে অবিরল এই সব
ছুঁচোর কেত্তন,
একটি যুবুক এসে যুবতীর কাছাকাছি বসেছে যখন।
নন্দিনী! তোমার মনে পড়ে?
মামাশ্বশুরের মত বিচক্ষন মুখভঙ্গী করে
একবার এক বুড়ো হাড় এসে প্রশ্ন করেছিল,
মেয়েটির সঙ্গে কেন এত মাখামাখি
মেয়েটির মধ্যে কোন গুপ্তধন আছে-টাছে নাকি?
লুকনো এয়ারপোর্ট আছে?
জাল-নোট ছাপাবার কারখানা আছে?
আন্তর্জাতিক কোন পাকচক্র আছে?
তাহলে কিসের জন্যে ছুঁচ ও সুতোর মত
শীত-গ্রীস্ম এত কাছে কাছে?