কথোপকথন-৩০

তুমি আমার সর্বনাশ করেছ শুভঙ্কর কিচ্ছু ভাল লাগে না আমার কিচ্ছু না জলন্ত উনুনে ভিজা কয়লার ধোঁয়া আর শ্বাস কষ্ট ঘিরে ফেলেছে আমার দশ দিগন্ত এখন বৃষ্টি নামলে কানে আসে নদীর পাড় ভাঙ্গার অকল্যান শব্দ এখন জোছনা ফোটলেই দেখতে পাই অন্ধকার শশান যাত্রীর মত ছুটে ছলেছি মৃতদেহের খোজে কিচ্ছু ভাল লাগে না, আমার কিচ্ছু না […]

কথোপকথন-২৭

হঠাৎ এলে যে ? বেশ তো ভুলে ছিলে। ভুলে ছিলামও। গাছে এটে ছিল ছায়াময় স্মৃতির ছাপানো ছবিরা। রোগা হয়ে গেছ। আমিও? হতে পারে। বালি ঢুকেছে জলস্রোতের গভিরে। বেলা তো বাড়ছে । নীলিমা নীল হয়ে যাবে ক্রমশ । কিছু লাল ফুল এখনো তোবুওফুটেছে। জানি না কে ফোটায়। সেকি তোমারই চকিত আলোক? অথবা আমার চৌক কুঠরীর গোপন […]

কথোপকথন-১৩

‘-তোমার মধ্যে অনন্তকাল বসবাসের ইচ্ছে তোমার মধ্যেই জমিজমা ঘরবাড়ি, আপাতত একতলা হাসছো কেন? বলো হাসছো কেন? -একতলা আমার একবিন্দু পছন্দ নয়। সকাল সন্ধে চাঁদের সঙ্গে গপ্পো গুজব হবে তেমন উঁচু না হলে আবার বাড়ি নাকি? -আচ্ছা তাই হবে। চাঁদের গা ছুঁয়ে বাড়ি, রহস্য উপন্যাসের মত ঘোরানো প্যাঁচানো সিঁড়ি…’

কথোপকথন-৯

‘আজ তোমাকে অনেক নামে ডাকতে ইচ্ছে করছে। ডাকবো? আজকে তুমি প্রথম শ্রাবণ, সঙ্গে চাঁপার গন্ধ মাখবো? গভীরতর গানের ভিতর খেয়া দেওয়ার নৌকো চলছে। একটু আগে হাসলে যেন আকাশ সোনার আংটি গলছে। এখন তোমায় ‘কুরুস কাঠি’ এই নামেতে ডাকবো শুনছো? ছিলাম সুতো, তাকে হাজার চৌকো ও গোল নকশায় বুনছো।’

কথোপকথন-৭

তোমার চিঠি আজ বিকেলের চারটে নাগাদ পেলাম। দেরী হলেও জবাব দিলে সপ্তকোটি সেলাম। আমার জন্যে কান্নাকাটি? মনকে পাথর বানাও। চারুলতা আসছে আবার। দেখবে কিনা জানাও। কখন কোথায় দেখা হচ্ছে লেখোনি এক ফোঁটাও। পিঠে পরীর ডানা দিলে এবার হাওয়ায় ছোটাও। আসবে কি সেই রেস্টুরেন্টে সিতাংসু যার মালিক? রুপোলী ধান খুঁটবে বলে ছটফটাচ্ছে শালিক।