আমিও তোমার মতো হবো স্বেচ্ছাচারী

আমিও তোমার মতো হবো স্বেচ্ছাচারী– খুলে নেবো শাড়ি পৃথিবীর সব প্রেমিকার যেমন চাঁদের আলো ছিঁড়ে নেয় অরণ্যের অন্ধকার তেমনি তোমার। তুমি কি আমাকে চেনো, দেখেছো কি বুনো ঝাকড়া চুল? দেখেছো কি কিভাবে ফুলের থেকে মধু চুষে খায় চঞ্চল বালক আমিও এমন লোক— খায় দায় হিংসায় জ্বলে পুড়ে যায় যদি তুমি শুয়ে থাকো অন্য কারো সাথে […]

বৈশাখের সূর্যমুখী

চৈত্রের গভীর রাতে স্বপ্নের রোদ্দুরে সূর্যমুখী! স্বপ্নঘোরে যাই যত দূরে আমারই সেদিকে ফিরে থাকে। চড়াই-উতরাই বাঁকে প্রতি পা ফেলায়— সে আমার দিকেই তাকায়। কবিতার শব্দধ্বনি দ্বিগুণ হলুদ হয়ে ওঠে তো তখনি, ঝরে পড়ে পাপড়িতে তার— স্বপ্ন সাধ উল্লাস বিষাদ সবকিছু নিয়ে এই নদী এই মাঠ এই আকাশ পেরিয়ে সৃজনের সূর্যমুখী সামান্য এ জীবন আমার।

বৈশাখের সোনালি ডানায়

পাখি ওই অপেক্ষায় মেলে দিয়ে ডানা খুঁজে নিচ্ছে আকাশের নীলের ঠিকানা। আমিও উড়াল দেবো, সোনার গুঁড়োর মতো আলো মেখে নেবো ডানায়! যে-ডানা আমি শব্দে শব্দে পাবো রূপকথা রঙিন ছটায়, নিচে ফেলে যাবো পৃথিবীর অন্ধকার, ধসে পড়া ঘর_ উড়ে যাবো তবুও তো নিজেরই ভেতর!_ যেখানে করণ আজও করে শিল্পবোধ এবং ভোরের আলো, দুপুরের রোদ। আমি সেই […]

প্রেমিকা

এই গল্প-প্রবন্ধটি দুঃখের অথবা কৌতুকেরই কি না, বর্তমান লেখকের জানা নাই। এর বিবরণটি যখন মিসেস রাহনুমা দিয়েছিলেন, তখন খুব হালকাভাবেই ঘটনাটিকে গ্রহণ করা গিয়েছিল, কিন্তু এখন যতই দিন যাচ্ছে, ততটা হালকা আর মনে হচ্ছে না। বিতর্কের চেয়ে গল্পটিতে বরং প্রবেশ করা যাক। সবটাই মিসেস রাহনুমার কাছ থেকে শুনে বয়ান করা নয়, তিনি তো বয়ান করেছেন […]

দেখেছি যে একবার

দেখেছি যে একবার_ সেই দেখা ফুরোলো না আর সেই লাল ডুরে, সেই উঠোনে লেবুর গাছ, তারই তলে কোমল ছায়ার অগাধ ভেতরে ডুবে বালিকা সাজায় তার আপন সংসার। আমার ভেতরে সেই মেয়েটি যে রেখে গেছে তার পুতুল বরের ছবি, আমি যেন সেই রব বধূটির পাশে শুয়ে যখন জ্যোছনার লেবুগন্ধ আলো নেশাতুর রাতের বাসরে জ্বলে, বুকে অভ্র […]

ভালোবেসে

এই আমি এক্ষুণি এলাম আর এক্ষুণি সময় হলো তোমার যাবার? কিছুটা না হয় দেরী করে যেতে অপেক্ষাটি ছুঁতে- কিছুটা না হয় সেচ করে যেতে বীজটিকে পুঁতে! তা নয়! উঠেই গেলে সম্পন্ন সমুদ্র বুকে বিকেলটি ঠেলে প্রান্তরে পা ফেলে। তারপর এলো সন্ধ্যা,নক্ষত্র তখন তার আগুনের অক্ষরে অক্ষরে সারারাত ধরে লিখে গেলো কার নাম আকাশের পটে? সে […]

চাই আমি তোমাকেই

চাই আমি তোমাকেই, রক্তের ভেতরে চাই, নিঃশ্বাসের চেয়ে আরো বিশ্বস্ত শোধক; আমি চাই একটি গর্ভিনী মাছ আকালের দেশ দিয়ে প্রবাহিত নদীর ভেতরে; যখন পুড়ছে গ্রাম, পান্ডুলিপি পুড়ে যাচ্ছে, ঘন্টার চিৎকারে লাল তোমাকেই চাই; যখন হাতের রশি তরঙ্গের দাঁতে কাটে, বিপন্ন সুনীলে চাই তোমার জাহাজ। বুঝি না তোমার কানে পশে কিনা শব্দহীন সংকেতের অবিরাম এই ধ্বনিগুলো। […]

মনে রেখো তুমি কবিকে তোমার

তখন আসীন পূর্ণিমা চাঁদ আকাশ সিংহাসনে_ কবিও কলম হাতে নিয়ে খুব মেধাবী নদীতে দিচ্ছিল ডুব, জ্যোৎস্নার রূপ ভাষায় ফোটাবে_ এই ছিল তার মনে। হঠাৎ কখন ধেয়ে আসে বেগে বিরূপ ঝড়ের মেঘ, চাবুকের মতো মারছে যে হাওয়া বিঘি্নত হয় তার লিখে যাওয়া। যুদ্ধেই তবে যেতে হয় বুঝি_ দেখা দিলো উদ্বেগ। এবং তখনও তার দুই চোখে রূপকল্পের […]

সেবার শীতের অগ্নি

সেবার অঘ্রানে শীত হাড়ে হিম নিয়ে নেমেছিল, সেবার শত্রুর সাথে গ্রীষ্মকালে যুদ্ধ শুরু হয়। পুরনো বন্দুক! আর, কার্তুজেরও খুব টান ছিল— কেবল প্রচুর ছিল আগুনের কাঠ বনময়। তবুও আগুন জ্বেলে অঘ্রানের শীত তাড়াবার উপায় ছিল না—হেতু, অবস্থান শত্রু জেনে যাবে। হিম সহ্য করে যাচ্ছি, আমাদের হাত-পা অসাড়, অথচ আঙুল ছিল ট্রিগারেই—সতর্কতা চাপে! এবং করোটি জুড়ে […]

অমাবস্যা চিরে যাক

কী কথা তাহার সাথে? তার সাথে? প্রশ্ন প্রেমিকের যখন প্রেমিকা তার কথা বলে অপরের সাথে। ওটি কি কাব্যেই শুধু? ওই ভাষা- জীবনানন্দের। এখনও কি তরুণ প্রেমিক তার প্রমিত ভাষায়? পথ চলতে থেমে যাই!- ওর লগে তুই কি করোস? কিয়ের প্যাচাল এত? উত্তরে সে, তুই কি জেলাস? দিন পরে দিন যায়, সরোদের টংকারে খরজ। বানরের হাতে […]