মনে রেখো তুমি কবিকে তোমার

তখন আসীন পূর্ণিমা চাঁদ আকাশ সিংহাসনে_
কবিও কলম হাতে নিয়ে খুব
মেধাবী নদীতে দিচ্ছিল ডুব,
জ্যোৎস্নার রূপ ভাষায় ফোটাবে_ এই ছিল তার মনে।

হঠাৎ কখন ধেয়ে আসে বেগে বিরূপ ঝড়ের মেঘ,
চাবুকের মতো মারছে যে হাওয়া
বিঘি্নত হয় তার লিখে যাওয়া।
যুদ্ধেই তবে যেতে হয় বুঝি_ দেখা দিলো উদ্বেগ।

এবং তখনও তার দুই চোখে রূপকল্পের ভিড়।
উদ্বেগ ঠেলে ওঠে উত্তাপ_
লিখনের এই এক অভিশাপ
যেন চিন্তার পাখিদের ঝাঁক পায় ফিরে তার নীড়।

অথবা এমন যন্ত্রণা ছিঁড়ে হাতে তুলে নেবে অস্ত্র!
যার ব্যবহার মাত্র শরীরে
দাবানল এক জ্বলবে গভীরে
যাতে জ্যোৎস্নার পরী পুড়বার ভয়ে হবে সন্ত্রস্ত।

লিখে যাওয়াটাই যুদ্ধ কলমে_ ক’জন খবর রাখে?
কবিতার প্রতি পঙ্ক্তিতে তার
রক্ত-শ্রাবণ মেধা বরষার!
ভাষায় ভাসানো নৌকোটি তার অঘোর দুর্বিপাকে।

তবু এ নৌকো! এখনও এ নদী মানবিক ঢেউ তুলে!
দেশ ইতিহাস যুদ্ধ জীবন
প্রতি পঙ্ক্তিতে তারই বিবরণ।
এতটুকু শুধু চাওয়া যেন তাকে মানুষ যায় না ভুলে।

রেখো মা দাসেরে এ মিনতি পদে, যদিবা সবাই ভোলে
মনে রেখো তুমি কবিকে তোমার,
তার ভূমিকাও ছিলো যোদ্ধার।
সেও একজন সন্তান ছিল, তুলে নিও তাকে কোলে

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ঢাকা