আমি থাকবো তোমার অপেক্ষায়…

আজ আমি যাব সেখানে, দিগন্তের শেষ সীমান্তে, অস্তমিত রবির শেষ আভা ছোঁয়াবে যেখানে ঠিক সেখানে, আমি থাকবো তোমার অপেক্ষায়। গোধূলির লাল টিপ কপালে পড়ে, কুয়াশার সাদা চাঁদর গায়ে জড়িয়ে, বাতাসের দুরন্তপনার কাজল দৃষ্টির তেপান্তরে এঁকে, আমি থাকবো তোমার অপেক্ষায়। গুচ্ছ পাতার মত  বুনন করে কথামালা উপহার দেব বলে, সন্ধ্যা প্রদীপের আলোর মত, মিষ্টি আলো তোমার […]

কিছু শব্দ উড়ে যায়

কিছু শব্দ উড়ে যায়, কিছু শব্দ ডানা মুড়ে থাকে, তরল পারার মতো কিছু শব্দ গলে পড়ে যায়। এমন সে কোন শব্দ নক্ষত্রের মতো ফুটে থাকে_ তুমি কি দেখেছো তাকে হৃদয়েশ্বরের আয়নায়? দ্যাখোনি যখন কালো অন্ধকার উঠে আসে_ গ্রাসে। যখন সৌজন্য যায় কবরে মাটি কল্পতায়, যখন স্তব্ধতা গিলে খেতে থাকে কামুকেরা ত্রাসে, তখন তাকিয়ে দেখো শুদ্ধতার […]

যে-তুমি নক্ষত্র আমার

তাহলে দরোজারই সমুক্ষে সেই দরোজা তোমার দরোজা ! কত সড়কেই না আমি সন্ধান করেছি এমন একটি দরোজা যেখানে আলো পড়লেই সবুজ! কিন্তু বিবর্ণ এই সময়! মাছের পেটের ভেতরে প্রত্যাদিষ্ট একজন কতকাল অপেক্ষায় আছে বেরোবার। তার শ্বাস-প্রশ্বাসÑসে তো আমারই। অগণন নক্ষত্র ছিল আকাশে, তার ভেতরে তুমি একটি। একটি বেদনা-বৃক্ষের সবুজ লেবু ফলিয়ে চলেছে বিষণœতার বিপরীতে। দাঁড়াও, […]

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে

এই পৃথিবীতে আর আকাশ দেখিনি আমি এতো_ অবনত_ ঘুমন্ত শিশুর মুখে যেন চুমো খাবে পিতা নামিয়েছে_ মুখ; প্রান্তর এতোটা বড় যেন মাতৃশরীরের ঘ্রাণলাগা শাড়ি; আদিকবি পয়ারের মতো অন্তমিল নদী এতো শান্তস্বর; এতোই সজল মাটি কৃষকের পিঠ যেন ঘামে ভিজে আছে; যদিও বৃষ্টির কাল নয় তবু গাছ এতো ধোয়ানো সবুজ; দেখিনি এমন করে পাখিদের কাছে ব্যর্থ […]

নিঃসঙ্গ কবি, নির্জন রেস্তোরাঁ

মাথার ভেতরে লেখা। অদূরে রেস্তোরাঁ। আষাঢ় সেজেছে খুব মেঘে মেঘে-মনে সে করাবে বিরহ বিপন্ন দিন-রাস্তাঘাট আদ্যোপান্ত খোঁড়া। মাটির পাহাড়গুলো কতদিনে কে জানে সরাবে! এরই মধ্যে পথ করে নিতে হবে আজ। অপেক্ষায় কবিতা ও কফি। হঠাৎ বৃষ্টির শুরু, ধমকাল বাজ। পিছলে পা পড়ে গেল কবি। সমস্ত শরীরে কাদা। এভাবে কি যাওয়া যেতে পারে? বিমূঢ় দাঁড়িয়ে থেকে […]

একেই বুঝি মানুষ বলে

নষ্ট জলে পা ধুয়েছো এখন উপায় কি? আচ্ছাদিত বুকের বোঁটা চুমোয় কেটেছি। কথার কোলে ইচ্ছেগুলো বাৎসায়নের রতি, মানে এবং অন্য মানে দুটোই জেনেছি। নষ্ট জলে ধুইয়ে দেবে কখন আমার গা, তোমার দিকে হাঁটবে কখন আমার দুটো পা? সেই দিকে মন পড়েই আছে, দিন তো হলো শেষ; তোমার মধ্যে পবিত্রতার একটি মহাদেশ এবং এক জলের ধারা […]

আমি একটুখানি দাঁড়াব

আমি একটুখানি দাঁড়াব এবং দাঁড়িয়ে চলে যাব; শুধু একটু থেমেই আমি আবার এগিয়ে যাব; না, আমি থেকে যেতে আসিনি; এ আমার গন্তব্য নয়; আমি এই একটুখানি দাঁড়িয়েই এখান থেকে চলে যাব। আমি চলে যাব তোমাদের এই শহরের ভেতর দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি এর মার্চপাস্টের যে সমীকরণ এবং এর হেলিকপ্টারের যে চংক্রমণ, তার তল দিয়ে তড়িঘড়ি; আমি […]

আমার পরিচয়

আমি জন্মেছি বাংলায় আমি বাংলায় কথা বলি। আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি। চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে। তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে ? আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে। আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে আমি তো এসেছি পালযুগ নামে […]

পরানের গহীর ভিতর-১১

কি আছে তোমার দ্যাশে? নদী আছে? আছে নাকি ঘর? ঘরের ভিতরে আছে পরানের নিকটে যে থাকে? উত্তর সিথানে গাছ, সেই গাছে পাখির কোটর আছে নাকি? পাখিরা কি মানুষের গলা নিয়া ডাকে? যখন তোমার দ্যাখা জানা নাই পাবো কি পাবো না, যখন গাছের তলে এই দেহ দিবে কালঘুম, যথন ফুরায়া যাবে জীবনের নীল শাড়ি-বোনা তখন কি […]

পরানের গহীর ভিতর-১

জামার ভিতর থিকা যাদুমন্ত্রে বারায় ডাহুক, চুলের ভিতর থিকা আকবর বাদশার মোহর, মানুষ বেকুব চুপ,হাটবারে সকলে দেখুক কেমন মোচড় দিয়া টাকা নিয়া যায় বাজিকর ৷ চক্ষের ভিতর থিকা সোহাগের পাখিরে উড়াও, বুকের ভিতর থিকা পিরীতের পূর্ণিমার চান, নিজেই তাজ্জব তুমি – একদিকে যাইবার চাও অথচ আরেক দিকে খুব জোরে দেয় কেউ টান৷ সে তোমার পাওনার […]