যে-তুমি নক্ষত্র আমার

তাহলে দরোজারই সমুক্ষে সেই দরোজা তোমার দরোজা !
কত সড়কেই না আমি সন্ধান করেছি এমন একটি দরোজা
যেখানে আলো পড়লেই সবুজ! কিন্তু বিবর্ণ এই সময়!
মাছের পেটের ভেতরে প্রত্যাদিষ্ট একজন কতকাল অপেক্ষায় আছে বেরোবার।
তার শ্বাস-প্রশ্বাসÑসে তো আমারই।
অগণন নক্ষত্র ছিল আকাশে, তার ভেতরে তুমি একটি।
একটি বেদনা-বৃক্ষের সবুজ লেবু ফলিয়ে চলেছে বিষণœতার বিপরীতে।
দাঁড়াও, একবার দাঁড়াও তুমিÑবলছি আমার নিজেকে।
আর, এটাও বলে চলেছি, সড়ক আমাকে ফেরাবেই আমার প্রার্থিত দরোজায়।
নিপুণ তীর। তীক্ষè তীর। রক্তমুখী ভোর।
এইসব দেখে দেখে নিজের ভেতরে নিজেরই বিচলন
আমি অনুভব করে চলেছি সমুদ্রের মাছের মতো আজ কত কতকাল।
কাল? তার বর্ণটাই বা কেমন? কৃষ্ণ বা পাটল যেন জমাট রক্ত?
নাকি মাঠ ভেসে যাওয়া সর্ষেফুলের হলুদ আমার গ্রামে?
এই আয়না, ওই দৃশ্যপট। এই মাঠ, ওই সমুদ্র।
খুরে খুরে উৎপাটিত নক্ষত্রসকল থেকে একটি একটি করে অগ্নিকণা।
বিষাদিত সময়ের আঘাতে গুঁড়িয়ে যাচ্ছে আমার আয়না।
চূর্ণিত মুখ, ত্বরিত গতি, পায়ের নিচে সড়ক, রক্ত যেখানে জমাট।
আমি তো পৌঁছে যাবারই স্বপ্ন দেখছি এখনো
এখনো সন্ধান করে চলেছি নক্ষত্রের নিচে তোমার দরোজা বা তুমিই!
যে-তুমি আমার নক্ষত্র এবং আমার লোহিতে যে-তুমি সবুজ॥

১.১২.২০১০ ঢাকা