শূন্যতায় ভর করে

শূন্যতায় ভর করে

সৃজন মুহূর্তের আগে মনটা থাকে শূন্য ক্যানভাসের মতো। শূন্য হলেও একেবারে শূন্য নয়। এই শূন্যতারও একটা রঙ বা ধরন আছে। এটাই মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে। তারপর মনের ওপর ভাসতে থাকে নানা ছায়াছবি, স্মৃতি-বিস্মৃতির কাহিনী। বহু মুখ মনে পড়ে, যা এখন ভুলে গিয়েছি। কিংবা মনের কোণে পুরনো আসবাবপত্রের মতো পড়ে আছে, যা ফেলতেও পারি না আবার […]

আনন্দ খোঁজে মন_ সারাক্ষণ

আনন্দ খোঁজে মন সারাক্ষণ

আসলে মানুষ আনন্দের খোঁজ দীর্ঘদিন ধরেই করছে। আনন্দ এবং শান্তি এ ধারণাগুলো অনেকটাই আমাদের এ অঞ্চলের। হয়তো এশীয়ই। বরং সুখ, ফুর্তি, বিনোদন বা যাকে বলে প্লেজার  এগুলো পশ্চিমারা খুঁজেছে। তারা পেয়েছেও কিছু। কিন্তু শান্তি এই শব্দটিকে টিএস এলিয়ট শান্তিই রেখেছিলেন, পিস্ (peace)করেননি। আনন্দ শব্দটির ক্ষেত্রেও তাই। এর কারণ আছে। যেমন অভিমান শব্দটির ভালো ইংরেজি শব্দ […]

কবির হাতে সোনার ছাই

  সাঁইত্রিশ বছর আগের কথা। ৩ আগস্ট ১৯৭৫ সাল।  প্রকাশিত  হলো আবদুল মান্নান সৈয়দের নির্বাচিত কবিতা। প্রকাশক মুক্তধারা। একই সঙ্গে একই তারিখে বের হলো রফিক আজাদেরও নির্বাচিত কবিতা। ষাট-দশকের প্রথমার্ধে আবির্ভুত সমকালীন বাংলা কবিতার দুই তাৎপর্যপূর্ণ কারুকৃৎ। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশে মুক্তধারা এই দুই কবির নির্বাচিত কবিতা দিয়েই  কোনো ব্যক্তি-কবির এই ধরনের প্রতিনিধিত্বশীল রচনার একক সঙ্কলন […]

জীবন স্মৃতির আড়ালে

বহু বাঁক পেরিয়ে এমন এক সময়ের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে আমার জীবন, যখন কোনো আবেগ নেই। আছে শুধু অতীত স্মৃতি-বিস্মৃতি। এ সময়ে অনেক পরিচিত মানুষের মুখ মনে পড়ে। যদিওবা ঝাপসা সব কিছু; তবুও নিজের অজান্তেই অতীত রোমন্থন করে সময় কাটাই। দৃষ্টির মতো স্মৃতিও দ্বিধা-বিহ্বলতায় পরিপূর্ণ। তবুও তাদের কথাই মনে আসে বারবার, যারা আমার এই পথ চলার […]

অপেক্ষা

কবির প্রতীক্ষা শেষ হয় না

মানুষ জীবনে যা চায়, যা কিছুর জন্য মানুষ অপেক্ষা এবং প্রতীক্ষায় থাকে_ তার সবটা কি পায়? সব স্বপ্নের রঙ মানুষ দু’হাতে পারে না আঁকড়াতে। নিজের সম্পর্কে একটা অস্পষ্ট, একটা বিচ্ছিন্ন ধারণা তো বরাবরই ছিল আমার। কবি হবো_ এমন ধারণা কৈশোর উত্তীর্ণ বয়সেই স্থির করি এবং এমত জীবন যাপন আরম্ভ করি। আর বাবা এই ভাবনা ও […]

নান্দনিক সৃষ্টিসত্তা

দূরত্বটা যে কত কম বা কত বেশি, তা মাপার কোনো উপায় নেই। হয়তো তা মুহূর্তমাত্র, হয়তো তা অনন্তকাল। যে ভুবনে হুমায়ূন প্রবেশ করেছে, তা থেকে ফেরারও কোনো উপায় নেই। স্বীকার্য, হুমায়ূন সেখানে গেছে আমাদের সকলের আগে। যাব; আমরাও যাব। কিন্তু কখন যাব, কীভাবে যাব আমরা জানি না। শেষ পর্যন্ত তার যুদ্ধটা চলছিল ঠিকই; কিন্তু যে […]

হে রজনীগন্ধার স্রষ্টা

না, পূর্ণ হলো না এমনকি একটি বছর; হুমায়ূন, তুমি আবার বেলভ্যূ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা-কেন্দ্রে। কেন এমন হলো? কেন এমন হবে? না, আমরা মানি না; আমরা মানতে পারি না এমন অশুভ সংবাদ। এইতো সেদিন তুমি ফিরে এসেছিলো জননী ও জন্মভূমির কাছে। তোমার সাধের নুহাশপল্লীতে। ফিরে যাবার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে পূর্ণ আরোগ্যের। তারপর ফিরে আসার । রক্ষিত […]

আল মাহমুদ

আল মাহমুদ কবিতার সঙ্গে বসবাস

আল মাহমুদের কবিতার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার অনেক পরে তার সঙ্গে আলাপ এবং পরিচয়। আমি যখন খুব তাস খেলতাম [এখনও সুযোগ পেলে খেলি], সে সময় আল মাহমুদের ‘ব্রে’ নামে একটি কবিতা পড়েছিলাম। কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল এ মুহূর্তে ঠিক মনে পড়ছে না, কবিতাটি পড়ে আমি কেঁপে উঠেছিলাম। তাস নিয়ে যে কবিতা লেখা যায়, এটা আমার জানা […]