আরো চাই যে, আরো চাই গো

আরো চাই যে, আরো চাই গো– আরো যে চাই।      ভাণ্ডারী যে সুধা আমায় বিতরে নাই ॥ সকালবেলার আলোয় ভরা         এই-যে আকাশ বসুন্ধরা      এরে আমার জীবন-মাঝে কুড়ানো চাই–      সকল ধন যে বাইরে আমার, ভিতরে নাই ॥      প্রাণের বীণায় আরো আঘাত, আরো যে চাই।      গুণীর পরশ পেয়ে সে যে শিহরে নাই। দিনরজনীর […]

আমি আশায় আশায় থাকি

আমি     আশায় আশায় থাকি। আমার    তৃষিত-আকুল আঁখি॥           ঘুমে-জাগরণে-মেশা    প্রাণে স্বপনের নেশা–               দূর দিগন্তে চেয়ে কাহারে ডাকি॥      বনে বনে করে কানাকানি    অশ্রুত বাণী,           কী গাহে পাখি।      কী কব না পাই ভাষা,    মোর    জীবন রঙিন কুয়াশা               ফেলেছে ঢাকি। রাগ: কাফি-কানাড়া তাল: কাহারবা রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1346 রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1939 স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার ami-ashay-ashay-thaki

আমার প্রিয়ার ছায়া

    আমার   প্রিয়ার ছায়া আকাশে আজ ভাসে, হায় হায়! বৃষ্টিসজল বিষণ্ন নিশ্বাসে,   হায়॥           আমার প্রিয়া মেঘের ফাঁকে ফাঁকে           সন্ধ্যাতারায় লুকিয়ে দেখে কাকে,           সন্ধ্যাদীপের লুপ্ত আলো স্মরণে তার আসে,   হায়॥ বারি-ঝরা বনের গন্ধ নিয়া পরশ-হারা বরণমালা গাঁথে আমার প্রিয়া।           আমার প্রিয়া ঘন শ্রাবণধারায়           আকাশ ছেয়ে মনের কথা হারায়।           আমার প্রিয়ার আঁচল দোলে           নিবিড় বনের শ্যামল […]

দূরে কোথায় দূরে দূরে

   দূরে কোথায় দূরে দূরে      আমার  মন বেড়ায় গো ঘুরে ঘুরে। যে বাঁশিতে বাতাস কাঁদে সেই বাঁশিটির সুরে সুরে ॥ যে  বাঁশিতে বাতাস কাঁদে সেই বাঁশিটির সুরে সুরে॥ যে পথ সকল দেশ পারায়ে       উদাস হয়ে যায় হারায়ে সে পথ বেয়ে কাঙাল পরান যেতে চায় কোন্‌ অচিনপুরে ॥   রাগ: ভৈরবী তাল: মুক্তছন্দ রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1318 রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1911 স্বরলিপিকার: সুধীরচন্দ্র কর […]

ফিরবে না তা জানি, তা জানি–

ফিরবে না তা জানি, তা জানি– আহা,  তবু তোমার পথ চেয়ে জ্বলুক প্রদীপখানি॥           গাঁথবে না মালা   জানি মনে, আহা,  তবু ধরুক মুকুল আমার বকুলবনে প্রাণে   ওই পরশের পিয়াস আনি॥           কোথায় তুমি পথভোলা, তবু          থাক্‌-না আমার দুয়ার খোলা।           রাত্রি আমার গীতহীনা, আহা,  তবু বাঁধুক সুরে বাঁধুক তোমার বীণা– তারে   ঘিরে ফিরুক কাঙাল বাণী॥ রাগ: ভৈরব-কীর্তন তাল: ষষ্ঠী রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): পৌষ, ১৩২৯ রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1923 […]

একদিন যারা মেরেছিল তাঁরে গিয়ে

একদিন যারা মেরেছিল তাঁরে গিয়ে রাজার দোহাই দিয়ে এ যুগে তারাই জন্ম নিয়েছে আজি, মন্দিরে তারা এসেছে ভক্ত সাজি– ঘাতক সৈন্যে ডাকি ‘মারো মারো’ ওঠে হাঁকি । গর্জনে মিশে পূজামন্ত্রের স্বর– মানবপুত্র তীব্র ব্যথায় কহেন, হে ঈশ্বর ! এ পানপাত্র নিদারুণ বিষে ভরা দূরে ফেলে দাও, দূরে ফেলে দাও ত্বরা ।।   রাগ: মিশ্র ইমন […]

আমাদের যাত্রা হল শুরু এখন

আমাদের   যাত্রা হল শুরু   এখন,   ওগো কর্ণধার।                   তোমারে         করি নমস্কার। এখন        বাতাস ছুটুক, তুফান উঠুক, ফিরব না গো আর–                    তোমারে         করি নমস্কার॥ আমরা   দিয়ে তোমার জয়ধ্বনি   বিপদ বাধা নাহি গণি                                   ওগো কর্ণধার। এখন    মাভৈঃ বলি ভাসাই তরী, দাও গো করি পার–                    তোমারে    করি নমস্কার॥ এখন    রইল যাত্রা আপন ঘরে   চাব না পথ তাদের তরে                                   ওগো কর্ণধার। যখন    তোমার […]

সখী প্রতিদিন হায় এসে ফিরে যায় কে

সখী,    প্রতিদিন হায় এসে ফিরে যায় কে। তারে   আমার মাথার একটি কুসুম দে॥ যদি     শুধায় কে দিল কোন্‌ ফুলকাননে, মোর    শপথ, আমার নামটি বলিস নে॥ সখী,    সে আসি ধুলায় বসে যে তরুর তলে সেথা    আসন-বিছায়ে রাখিস বকুলদলে। সে যে   করুণা জাগায় সকরুণ নয়নে– যেন     কী বলিতে চায়, না বলিয়া যায় সে॥ sakhi-pratidin-haye-eshe-phire-jai

কেন তোমরা আমায় ডাকো

কেন     তোমরা আমায় ডাকো,     আমার মন না মানে।                পাই নে সময় গানে গানে ॥ পথ আমারে শুধায় লোকে,    পথ কি আমার পড়ে চোখে,          চলি যে কোন্‌ দিকের পানে     গানে গানে ॥          দাও না ছুটি, ধর ত্রুটি,        নিই নে কানে।                মন ভেসে যায় গানে গানে। আজ যে কুসুম-ফোটার বেলা, আকাশে আজ রঙের মেলা,          […]

সবার মাঝারে তোমারে স্বীকার করিব হে

 সবার মাঝারে তোমারে স্বীকার করিব হে।           সবার মাঝারে তোমারে হৃদয়ে বরিব হে ॥           শুধু আপনার মনে নয়,    আপন ঘরের কোণে নয়, শুধু আপনার রচনার মাঝে নহে– তোমার মহিমা যেথা উজ্জ্বল রহে           সেই সবা-মাঝে তোমারে স্বীকার করিব হে।           দ্যুলোকে ভূলোকে তোমারে হৃদয়ে বরিব হে ॥           সকলই তেয়াগি তোমারে স্বীকার করিব হে।           সকলই গ্রহণ করিয়া তোমারে বরিব হে। […]