হাত বাড়াই, ছুঁতে পারি না…

  বাহ, আমি এলাম আর তুমি সূর্যের মত হেসে উঠলে ! পরমূহুর্তেই চারপাশে ছড়িয়ে দিলে কালোচুল, যাতে মেঘের লুকোচুরি ফুঁড়ে আরো উজ্জ্বল ভাবে আলো ছড়ায় তোমার সুদূর মুখছবি, ছড়ায় উত্তাপ – আমাকে দহন করে আরো তীব্রভাবে… এ সোনামুখ তোমার? খুব চেনা চেনা লাগে, আবার খুব দূরের মনে হয়… কোন আকাশে ছড়াও তোমার আলো, অবাক আমি […]

তোমার কাছে

তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি আমি, যদিও অনেক দেরী হলো। তোমার মাথার সমস্ত চুল এখন সাদা ; আমিও আর শিশুটি নেই, তোমার পায়ের শুকনো পাতা চোখের জলে ধুয়ে দেবো! কী করে যে ক্ষমা চাইবো? তোমার মাথার সমস্ত চুঁল এখন সাদা ; এই কী ক্ষমা চাওয়ার সময়! অথচ দুরে ঘন্টা বাজছে আর দেরী নয়— যেতেই হবে। […]

শেষ প্রেমের কবিতা

দেরি হল, তোমারো কিছুটা দেরি হলো, আমারো কিছুটা দেরি হলো, তা হোক, তুমি তো জানো এর চেয়ে আরো ছাড়াছাড়ি, এর চেয়ে আরো দেরি মানুষের হয়। অতএব যদি পারো, একবার শেষবার এসো। হাত ধরাধরি করে এসো গান গাই, বসি ওই দীঘির সিঁড়িতে। এসো স্বপ্ন, রাজহাঁস, বকুলের মালা এতদিন পরে, একবার শেষবার এসো।

মৃত্তিকার ঘন অন্ধকারে

মৃত্যুপরে মৃত্তিকায় এই দেহ প্রোথিত ফসল, অন্তিম প্রার্থনা শেষে ফিরে যায় সকল স্বজন চল্লিশ কদম দূরে পৌঁছুতে না পৌঁছুতে তখন— বলা হয় ফেরেশতা কবরে নামে সংখ্যায় দুজন— সম্ভবত সেই তারা যারা ছিল কাঁধের ওপরে যখন জীবিত ছিল এই লোক, কাঁধের ওপরে যারা প্রতি মুহূর্তের পাপপুণ্য যা কিছু সে করে সব লিখে রাখে তারা বিবরণ বিশ্বস্ত […]

ক্ষমা করো দৈন্যতা

ও মেয়ে যখন, বটঝুড়ি দোলনায়, কাটছে মেয়েবেলা, তোর স্বপ্নে চাঁদের বুড়ি, চোখে তারার মেলা। ভয়ংকর মানুষ রূপি, ক্ষুধার্ত এক কুকুর, কেড়ে নিলো তোর, এক্কা দোক্কা ভোর। ও মেয়ে তোকে ঘিরে, মিডিয়া কর্মী,জুম ক্যামেরা আলোর ঝলকানি, সভ্যতা কি বুঝবে, তোর ব্যথা কতখানি? তোর জন্য সব চ্যানেলে, ধিক্কার প্রতিবাদ, তাতে কি ঘুচবে তোর, জীবনের অভিঘাৎ? ও মেয়ে […]

বাংলাদেশের বায়োস্কোপের ছবি

ইলিশ মাছের গন্ধ ছাড়ে ময়রাপাড়ায় মিষ্টি। চমচমিয়ে পড়তে থাকে ইলশেগুঁড়ি বিষ্টি। দোকান যদি বন্ধ তবু কান থাকে তো খোলা। চাঁদের বুড়ি পূর্ণিমাতে ঢালে আতপ-গোলা। সেগুন গাছ উচ্চ এবং বেগুন গাছটি খর্ব। নামের মিলে করছে দাবি উচ্চ শিরের গর্ব। গোলমালটি বেশ জমেছে, চৌকো হয়ে বসি। গানের গলা দিচ্ছি ছেড়ে, অংকটাকে কষি। কথা ছড়ায় ক্রমে- এক কান […]

আরো কিছুকাল

ফুলের গন্ধের মতো থেকে যাবো তোমার রুমালে ধূপের গন্ধের মতো তোমাদের শান্ত সন্ধ্যাকালে সমস্ত দিনের শেষে থেকে যাবো নদী পারাপার তখনো যাত্রীর দেখা পাওয়া যাবে এই নদী পার। ভোরের প্রথম আলো হয়ে চুমো খাবো ওই গালে ছায়া লয়ে সরে যাবো বেলাটি পোহালে। কিন্তু তার আগে আমি আরো কিছুকাল থেকে যাবো কবিতার পঙ্ক্তি হাতে অপার কাঙাল […]

মৃত্তিকার ঘন অন্ধকারে

মৃত্যুপরে মৃত্তিকায় এই দেহ প্রোথিত ফসল, অন্তিম প্রার্থনা শেষে ফিরে যায় সকল স্বজন চল্লিশ কদম দূরে পৌঁছুতে না পৌঁছুতে তখন— বলা হয় ফেরেশতা কবরে নামে সংখ্যায় দুজন— সম্ভবত সেই তারা যারা ছিল কাঁধের ওপরে যখন জীবিত ছিল এই লোক, কাঁধের ওপরে যারা প্রতি মুহূর্তের পাপপুণ্য যা কিছু সে করে সব লিখে রাখে তারা বিবরণ বিশ্বস্ত […]

যদি মনে করো

যদি মনে করো ভালোবাসা মরে গেছে যদি মনে করো ভালোবাসা আর নেই যদি মনে করো ভালোবাসা বলে কখনো ছিল না কিছু— তখন তাকিয়ে দেখো বাগানের দিকে— সূর্যের দিকে শিমলতা চেয়ে আছে! অথবা গাছের গুঁড়িতে পিঁপড়ে বাসা করে দেখে নিয়ো, বেরিয়েছে ওরা তোমার গলার মতির মালার মতো দীর্ঘ সারিতে মানুষের দিকে শর্করা সন্ধানে, যদি মনে করো […]

ভিখারি বানাও কিন্তু তুমি তো তেমন গৌরী নও

আমাকে কি নিতে চাও? কত জরি ছড়াও সুন্দরী দুই হাতে ঝরাও ঝালর আমাকে কি নেবে তুমি? কখনো দেখিনি আগে চোখে এত নিরুপম ভালোবাসা তোমার মেদুর হাসি ধরেছি বিশ্বের পাশাপাশি আণবী ছটায় জ্বলে ঠোঁট আমাকে কি নিতে চাও? নেবে কোন শূন্য মাঠ থেকে? হায় তুমি অন্নপূর্ণা আজ! চাও শুধু সমর্পণ, একে একে সব নাও খুলে মেদ […]