মৃত্তিকার ঘন অন্ধকারে

মৃত্যুপরে মৃত্তিকায় এই দেহ প্রোথিত ফসল,

অন্তিম প্রার্থনা শেষে ফিরে যায় সকল স্বজন

চল্লিশ কদম দূরে
পৌঁছুতে না পৌঁছুতে তখন—

বলা হয় ফেরেশতা কবরে নামে সংখ্যায় দুজন—

সম্ভবত সেই তারা যারা ছিল কাঁধের ওপরে

যখন জীবিত ছিল এই লোক, কাঁধের ওপরে

যারা প্রতি মুহূর্তের পাপপুণ্য যা কিছু সে করে

সব লিখে রাখে তারা বিবরণ বিশ্বস্ত অক্ষরে।

এখন এ কবরের মৃত্তিকার ঘন অন্ধকারে

স্বর্গীয় আলোটি ফোটে

সে আলোয় পড়া যেতে পারে

তাদের প্রতিটি পাতা—জীবিতেরা এমন ওধারে

যেতে যেতে গল্প করে—

লোকটি কি বেঁচে যেতে পারে

এইবার শেষবার—বস্তুত যে ছিল পাপী-তাপী?

আমি তো দুর্বৃত্ত হেন, এইসব নেই ভাবাভাবি

২৭ জুলাই ২০১৬

সৈয়দ শামসুল হক কবিতাটি লিখেছিলেন লন্ডনে, হাসপাতালের রোগশয্যায়। প্রথমা প্রকাশন থেকে ‘শব্দই চিকিৎসিত করে’ নামে কবির প্রকাশিতব্য কাব্যগ্রন্থের পাণ্ডুলিপি থেকে কবিতাটি ছাপা হলো।