ভ্রমণকাহিনী

আমি সব ভিসা অফিসের অনলাইন তোমার জন্য খোলা রেখেছি তুমি পৃথিবীর যে-কোনো শহরে ঘুরে বেড়াতে পার; আমি বহুদিন ভিসার জন্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ক্লান্ত তুমি যাও আমি চুপচাপ বসে থাকি। কোথায় ঘুরবো আমি, শহরগুলো সব ডিশলাইনের বিজ্ঞাপন পৃথিবীর বেশিরভাগ নদী এখন ঘুমের দেশের মতো পাহাড়গুলো এতো নির্জন যে সেদিকে বেশিক্ষণ তাকানো যায় না; হয়তো শিশুর মতো […]

ক্যালগেরি

আমার জন্ম বাংলাদেশে কিন্তু বার্লিন একদিন আমি খুব পছন্দ করেছিলাম, বার্লিনই আমার প্রথম দেখা পশ্চিম প্রথম প্রেমের মতো প্রথম দেখা সব কিছুই সুন্দর, বার্লিন, তোমাকে আমি ভুলিনি; আমার এখনো মনে পড়ে তোমার মেয়েদের শীতকাল শীতের উদ্ভিদের মতো মসৃণ ঊরু, উষ্ণ ঠোঁট লাল গণ্ডদেশজুড়ে পাকা আপেলের মাদকতা, আমি সেসব কিছুই ভুলিনি, তোমার অশ্রু, তোমার ভালোবাসা তোমার […]

শরৎসন্ধ্যার সংবেদনা

শিউলি ফোটা_ ভোর বেলার মতো শরৎকালে সন্ধ্যাআকাশ এই আকাশখানিরে ভালোবেসে আমার দু’চোখ ঝাপসা হয়ে আসে; কত শৈশব কত শিউলি ফুলের মালা গাঁথা কত নদীর জীবনী পাঠ, আমি খুঁজতে খুঁজতে কোন বিষাদঅরণ্যে হারিয়ে যাই। সেখানে সাদা মেঘের চিত্রকলা, অক্ষরের মতো শিশির বিন্দু আমি চোখ ফেরাতে পারি না, মন ফেরাতে পারি না করজোড়ে দাঁড়িয়ে থাকি; কখন আমাকে […]

সামারে সবাই খুব ব্যস্ত

এই সামার তোমাদের বসন্ত কাল , তোমরা খুব ব্যস্ত এ অঞ্চল থেকে সে অঞ্চল উড়ে বেড়াও তোমরা, কখনো পাহাড়ে কখনো সমুদ্রে পাখির মতো এই ওড়াউড়ি সামারে তোমার এই চঞ্চলতা, আমারও খুব পছন্দ; এবার সামারে এতো বৃষ্টি, বর্ষার এতো জলরঙ গ্রীষ্মের দেশে দুপুরে লোকে ঘুমায় তোমরা সামার কাটাও লেকে বা সি-বিচে৷ সামার যেন এখানে ভালোবাসার বর্ষা […]

আরেকটু বিলম্ব হবে

আরেকটু বিলম্ব হবে, আরেকটু দাঁড়াবো, আর একবার দেখে নেবো ঐ হলুদ পাখিটি দেখে নেবো দূর্বাঘাস পিঁপড়ে ফড়িং। আর একবার দেখে নেবো উঠানের শাদা হাঁসগুলি পাতায় বৃষ্টির ফোঁটা, ভোরের শিশির, ভরা নদী, ভরা মেঘ, ভর পূর্ণিমা; দেখে নেবো এতোদিন দ্যাখা এই দীঘি, পুকুরের জল আর একবার দেখে নেবো খোলা মাঠ, ফাঁকা ঘরবাড়ি। আরেকটু বিলম্ব হবে, আরেকটু […]

বৃষ্টিতে ভিজেছে গাছ

এই গাছ বৃষ্টিতে ভিজেছে, আহা গন্ধ ধুয়ে যাবে কোথায় বর্ষার ছাতা, রেনকোট, সিল্কের পাঞ্জাবি, গাছের রয়েছে মায়া, গাছের রয়েছে ঘরবাড়ি গাছের ভিতরে আমি গাছের ক্রন্দনধ্বনি শুনি গাছেরও সঙ্কট বাড়ে দ্রব্যমূল্য জলের সংসারে অন্তহীনভাবে গাছ আছে মগ্ন পরার্থে সেবায় গাছের শরীরে সেই আলো ঝরে, লাবণ্য যে ঝরে এই সেবাপরায়ণ বৃক্ষ পেয়েছে কি আকাশের চিঠি পেয়েছে মেঘের […]

স্বপ্নের শিখরে

আমি এই অন্তহীন কুয়াশায় তোমার মুখটি ছাড়া কিছুই দেখি না এই বৃষ্টির অবেলা, সীমাহীন আঁধারের গ্রীবা, এই ছিন্ন বস্ত্র এখন কোথায় পাবো হরিৎ বৃক্ষের দ্যাখা মায়াময় শস্যের খামার? শেষ হয়ে গেছে কবে স্বপ্নের ভিতরে জেগে ওঠা আদর্শ আবাস। আজ বসে আছি এই ম্লান গোধূলিবেলার শীতে তমসার তীরে অতল শিশির যেন গ্রাস করে সম্পূর্ণ আমাকে সিংহের […]

বন রহস্য

রুমালখানি ফেলে এলাম দূর বনে, গাছের দুঃখ মুছিয়ে দিতে আমার কথা মনে আছে বোকা হরিণ? পাগলী মেয়ে কেউ কখনো এই প্রবাসে বৃষ্টি ভেজে? তুমি এখন ঘুমাতে যাও বকুল তোমার বিষণ্নতা খালি চোখে দাঁড়িয়ে দেখি চশমার এই কালো ফ্রেমে এত শিশির কখন জমে শিশির নাকি বিষাদ অশ্রু, সবই ধু-ধু বিস্মরণে ভূবিদ্যা পড়ার মতো জাদুঘরবা কোথায় পাবে, […]

তুমি মুখ তুলে চাওনি বলে

তুমি মুখ তুলে চাওনি বলেই দেখো আমি সব কাজে মনোযোগহীন সবখানে খাপছাড়া ; তাই বহুদিন কবিতাও পড়ে আছে অসম্পূর্ণ একটি পঙক্তি মেলানো হয়নি আর তুমি ফিরে তাকাওনি বলে, কতো প্রগাঢ় ইমেজ ঝরে গেছে তোমার সামান্যতম স্নেহের অভাবে । তুমি মুখ তুলে তাকাওনি বলে কিভাবে যে ক্ষয়ে গেছি অন্তরে-বাহিরে কিভাবে যে হয়ে গেছি নিঃস্ব, রিক্ত, উদ্দামহীন […]

চিঠি দিও

করুণা করে হলেও চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও আঙ্গুলের মিহিন সেলাই ভুল বানানেও লিখো প্রিয়, বেশি হলে কেটে ফেলো তাও, এটুকু সামান্য দাবি, চিঠি দিও, তোমার শাড়ির মতো অক্ষরের পাড়-বোনা একখানি চিঠি। চুলের মতন কোনো চিহ্ন দিও বিস্ময় বোঝাতে যদি চাও বর্ণণা আলস্য লাগে তোমার চোখের মতো চিহ্ন কিছু দিও! আজো তো অমল আমি […]