বাংলাদেশ চায় না তোমাকে, তুমি চলে যাও, যাও কত যে মায়ের খালি বুক ফেলে দীর্ঘশ্বাস_ রক্ত মাখা হাত, তুমি ক্ষমা চাও, ক্ষমা ভিক্ষা চাও। তোমাকে চায় না এই সোনালী ধানের খেত, কচি দূর্বা, দীর্ঘ শালবন চায় না ভোরের পাখি, কলা পাতা, গায়ের উঠোন; কত না পিতার বক্ষে তুমি জ্বেলেছ আগুন তুমি চলে যাও, যাও; তোমাকে […]

আমি একটি বন্ধু খুঁজছিলাম যে আমার পিতৃশোক ভাগ করে নেবে, নেবে আমার ফুসফূস থেকে দুষিত বাতাস ; বেড়ে গেলে শহরময় শীতের প্রকোপ তার মুখ মনে হবে সবুজ চয়ের প্যাকেট, এখানে ওখানে দেখা দিলে সংক্রামক রোগ, ক্ষয়কাশ উইয়ে-খাওয়া কারেন্সি নোটের মতো আমার ফুসফুসটিকে তীক্ষ্ণ দাঁতে ছিদ্র করে দিলে, সন্দেহজনকভাবে পুলিশ ঘুরলে পিছে, ডবল ডেকার থেকে সে […]

শীতপাখির চোখে কী অরণ্যঘুম, কী জলস্বপ্ন তার কিছুই জানা হয় না, একেকটি দুপুর শেষ হয়ে যায়; শীতপাখির ঠোঁটে ঘাসের ভেতর কুড়িয়ে পাওয়া শিশিরবিন্দুর মত শাদা বোতাম, এই বোতাম আমি কবে হারিয়ে ফেলেছিলাম সন্ধেবেলা, কবে কাক-জ্যোৎস্নায় খুঁজতে বেড়িয়েছিলাম হাতের এই হারানো আংটি এবার এই মধ্যশীতে বিদেশি শীতের পাখিকে একখণ্ড ঘুঙুর পরিয়ে দেবো। এই শীতপাখি যখন গ্রীষ্ম […]

কখনো কখনো সিলভিয়া প্লাথের মৃত্যুর মতো এই কঠিন শীতকাল শতাব্দীর এই ভয়াবহ তুষারপ্রবাহ; এই শীতে উলঙ্গ গাছের মতো দাঁড়িয়েছি আমরা দু’জনে। এখানে কেবল সব মৃত পূর্বপুরুষের ঠাণ্ডা হাত, মৃত রমণীদের ঠাণ্ডা স্তন আজ উভয় গোলার্ধে মৃত মানুষের শরীরের মতো শীত অবিরাম শৈত্যপ্রবাহ; এই শীত সব মৃত নক্ষত্রের ঘোলা চোখ, বরফে ঢাকা মাছের আড়ত মানুষে মানুষে […]

আমি কি কফিন থেকে তোমাদের ডেকে বলব কবে আমার জন্মদিন, তোমরা কেউ না কেউ আমার হাতে একটা গোলাপ ফুল দাও কেউ না কেউ আমার জন্য চারুকলার সামনে এসে একটু দাঁড়াও, কারো না কারো হাতে থাকুক, র্যাপিং পেপারে মোড়ানো একটা বাক্স; আজকের দিনে অন্তত কেউ একজন আমার মুখে একটা মিষ্টি তুলে দিক কেউ আমাকে হাতপাখার একটু […]

এই যে জীবন উজাড় করে বর্ষার মেঘের মতো তোমাকে ভিজিয়ে দিচ্ছি তুমি কখনোই তার কিছু অনুভব করলে না; তুমি বুঝলে না এই সহস্র সহস্র চুম্বনের ব্যাকুলতা নিয়ে আমি তোমার জন্য দাঁড়িয়ে আছি, তোমাকে ভিজিয়ে দেওয়ার জন্য হাজার বছর ধরে আমি মেঘ হয়েছি সমুদ্রে, লক্ষ লক্ষ শীতরাত্রি ভেদ করে তোমার জন্য ফুটেছি গোলাপ; শিশির হয়েছি শত […]

মনটা ভীষণ উড়ূ উড়ূ, আমি যেন উড়ো পাতা, ঝাউবনের কান্না শুনি বুকের মধ্যে সারা দুপুর_ উড়তে উড়তে কোথায় যাবো, ঠিকানা ঠিক কোথায় পাবো নাকি শেষে হারিয়ে যাবো, এই আমি উড়ো পাতা, উড়ো পাতা! মনটা ভীষণ উড়ূ উড়ূ টেবিলে বই, লেখার কাগজ, ঝড় বয়ে যায় মনের ভেতর; সব উড়ে যায় আমিও যাই। মনটা ভীষণ উড়ূ উড়ূ […]

মাটির সন্তান আমি মাটির কাছে ফিরে এসেছি, হাতে একমুষ্টি ভিক্ষার ধান্য তুমি নেবে এই ধান্য? অন্য কোন প্রাচুর্য চেয়ো না আমার আপাদমস্তক আচ্ছন্ন কালো ঘামে ক্লান্তির কর্কশ দাগে আমি ঘুমিয়ে পড়তে পারি ঘুমানোর সময়ের আগেই। তবু এই প্রকৃতির নিঃস্ব উলঙ্গ ছেলে খালি গায়ে শীত মেখে এসেছি এখানে কাঙাল এখানে কী সংবর্ধনা পাবে? মুষ্টিভিক্ষা করি এই […]

রুমালখানি ফেলে এলাম দূর বনে, গাছের দুঃখ মুছিয়ে দিতে আমার কথা মনে আছে বোকা হরিণ? পাগলী মেয়ে কেউ কখনো এই প্রবাসে বৃষ্টি ভেজে? তুমি এখন ঘুমাতে যাও বকুল তোমার বিষণ্নতা খালি চোখে দাঁড়িয়ে দেখি চশমার এই কালো ফ্রেমে এত শিশির কখন জমে শিশির নাকি বিষাদ অশ্রু, সবই ধু-ধু বিস্মরণে ভূবিদ্যা পড়ার মতো জাদুঘরবা কোথায় পাবে, […]

ভালোওবাসি না আমি, মন্দও বাসি না, দুই পায়ে লুটি মেঘ হয়ে ঝরি আমি, ফুল হয়ে ফুটি; যদি এই ভালোবাসা হয়, তবে আমিই সর্বাগ্রে আছি, তার জন্য এক কোটি একশ বছরও যদি লাগে। তবে এক বাক্যে রাজি এই দণ্ড মাথা পেতে নিতে এই শাদা পৃষ্ঠা ভরে যতবার বলো দস্তখত দিতে সাঁতার দেই না আমি সব নিয়ে […]