পাওয়া না-পাওয়ার কানামাছি

রঙীন রুমালে চোখ দুটো বাঁধা নিজের সঙ্গে নিজের অষ্টপ্রহর- কানামাছি খেলা ভারী চমৎকার ধাঁধা। যাকে ছোঁবার তাকে না ছুঁয়ে আকাশ ধরতে হাত বাড়িয়ে আমি ধুলো মাটির ভূয়ে। হাত বাড়ালে হাতে জলের বদলে শামুক অথচ ভেতরটা পরাগসুদ্ধ ফুলের জন্যে আপাদমস্তক কামুক। সিদুর রঙের কিছু দেখলেই মন উসখুস, ইচ্ছেয় আগুন বিশ্বাসের বাকলে সত্যিই এল ফাল্গুন? কাছে যাই, […]

একি অমঙ্গল

তোমার হাতে ছুঁচ-সুতোটি আমার হাতে ফুল দেখতে পেয়েই আকাশ জুড়ে হিংসা হুলুস্থুল। তোমার হাতে রঙের বাটি আমার হাতে তুলি দেখতে পেয়েই শুকনো মড়া চোখে জ্বালায় চুলি। তোমার হাতে ধান-দুর্বো আমার হাতে শাঁখ দেখতে পেয়েই আকাশ চিরে শকুন পাড়ে হাঁক। তোমার হাতে জলের ঘাট আমার ঠোঁটে জল দেখতে পেয়েই দৈববাণী: এ কি অমঙ্গল! Eki Omongol

কাঠের পায়ে সোনার নূপুর

পাগুলো কাঠের আর নূপুরগুলো সোনার এইভাবেই সাজানো মঞ্চে নাচতে এসেছি আমরা একটু আগে ছুটে গেল যে হলুদ বনহরিনী ওর পায়ের চেটোয় সাড়ে তিনশো কাঁটা। সারাটা বিকেল ও শুয়েছিল রক্তপাতের ভিতরে সারাটা বিকেল ওকে ক্ষতবিক্ষত করেছে স্মৃতির লম্বা লম্বা পেরেক। অথচ নাচের ঘন্টা বাজতেই এক দৌড়ে আগুনের ঠিক মাঝখানে। বাইরে যখন জলজ্যান্ত দিন সিঁড়ির বাঁকে বাঁকে […]

না

তোমার কাছে চেয়েছিলাম অনির্বচনীয়তা দাওনি। আকাশ ভর্তি মেঘ করেছে, মেঘের হাতে তানপুরা গাওনি। পায়ের কাছে পৌঁছে দিলাম নৌকা বোঝাই বন্দনা নাওনি। গোপন কথা জানিয়েছিলাম, দূত ছিল রাজহংসেরা পাওনি। চাইবে বলে রক্তকমল ভিজিয়ে দিলাম চন্দনে চাওনি। তোমার কাছে চেয়েছিলাম অনির্বচনীয়তা দাওনি।

পাওয়া না-পাওয়ার কানামাছি

রঙীন রুমালে চোখ দুটো বাঁধা নিজের সঙ্গে নিজের অষ্টপ্রহর- কানামাছি খেলা ভারী চমৎকার ধাঁধা। যাকে ছোঁবার তাকে না ছুঁয়ে আকাশ ধরতে হাত বাড়িয়ে আমি ধুলো মাটির ভূয়ে। হাত বাড়ালে হাতে জলের বদলে শামুক অথচ ভেতরটা পরাগসুদ্ধ ফুলের জন্যে আপাদমস্তক কামুক। সিদুর রঙের কিছু দেখলেই মন উসখুস, ইচ্ছেয় আগুন বিশ্বাসের বাকলে সত্যিই এল ফাল্গুন? কাছে যাই, […]

তোমাকে চেনে?

ডাইনিং টেবিলে বসে ব্রেকফাস্ট ডিনার খাচ্ছ রোজ। সে তোমাকে চেনে? যে খাট-পালঙ্গে শুয়ে স্বপ্নে তুমি চাঁদ সদাগর সে তোমাকে চেনে? যে আয়নাকে শরীরের সব তিল, সর্বস্ব দেখালে সে তোমাকে চেনে? যেন মেয়ে-দেখা, এত বেছে ঐ পর্দা কিনেছিলে ও তোমাকে চেনে? এই কালো টেলিফোন, ওয়ার্ডরোব, লং প্লেয়িং, টিভি এই সব থাক্-থাক্ বই, সোফা, নেপালী মুখোশ কে […]

দৈবক্রমেই তোমার সঙ্গে দেখা

দৈবক্রমেই তোমার সঙ্গে দেখা তখন তুমি সাঁকোর পরে একা মড়মড়িয়ে ভাঙছে তখন সাঁকো, সাঁকোর নীচে খরস্রোতা বান বাঁধ ভেঙেছে নগর ছত্রখান চেঁচিয়ে বলি, বাঁচতে হলে বাঁকো। তখন তুমি নিজের দিকে ঝুঁকে গোপন কিছু লুকিয়ে নিলে বুকে শুধিয়েছিলে, তুমি কোথায় থাকো? আমি থাকি বজ্রে, বন্যা-জলে যেসব ব্যথা অন্ধকারে জ্বলে, বাঁচতে হলে আমার সঙ্গে বাঁকো। দৈবক্রমেই তোমার […]

অথচ

তোমাকে দেখে অবাক হয়ে যাই বারবার। এত আক্রমণ পরস্পরবিরোধী এত শোকমিছিলের মধ্যেও কী অনায়াসে বুনে যাচ্ছ লাল পশমের শৃঙ্খলা। উদ্ভিদের চেয়ে নীরব, ছাপানো মহাভারতের চেয়ে উদাসীন। অথচ পিছনের দেয়ালেই রক্তছাপ অথচ বুকের শাড়ি সরালেই অনাবৃষ্টির চৌচির।

কথোপকথন–২৩

-কাল তোমাকে ভেবেছি বহুবার কাল ছিল আমার জন্ম দিন। পরেছিলাম তোমারি দেওয়া হার । – আমার হার কি আমার চেয়েও বড়? বালিকে তুমি বিলোলে আলিঙ্গন সমুদ্রকে দিলে না কুটো খড়ও। -বাতাস ছিল , বাতাসে ছিল পাখি আকাশ ছিল , আকাশে ছিল চাঁদ তাদের বললে, খবর দিত নাকি? – আজ্ঞে মশাই বলেছিলাম তাও। তারা বললে , […]

কথোপকথন– ২১

-তোমাদের ওখানে এখন লোডশেডিং কি রকম? -বোলো না। দিন নেই, রাত নেই, জ্বালিয়ে মারছে। -তুমি তখন কী করো? -দরজা খুলে দিই জানালা খুলে দিই র্পদা খুলে দিই। আজকাল হাওয়াও হয়েছে তেমনি ফন্দিবাজ । যেমনি অন্ধকার, অমনি মানুষের ত্রিসীমানা ছেড়ে দৌড় -তুমি তখন কি করো? -গায়ে জামা-কাপড় রাখতে পারি না। সব খুলে দিই, চোখের চশমা, চুলের […]