কথোপকথন– ১১

-তুমি আজকাল বড় সিগারেট খাচ্ছ শুভঙ্কর এখুনি ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি । কিন্তু তার বদলে ? বড্ড হ্যাংলা। যেন খাওনি কখনো? -খেয়েছি। কিন্তু আমার খিদের কাছে সে সব নস্যি। কলকাতাকে এক খাবলায় চিবিয়ে খেতে পারি আমি। আকাশটাকে ওমলেটের মত চিরে চিরে নক্ষত্রগুলোকে চিনেবাদামের মত টুকটাক করে পাহাড়গুলোকে পাঁপড় ভাজার মত মড়মড়িয়ে আর গঙ্গা ? সেতো এক […]

কথোপকথন-৬

কালকে এলে না, আজ চলে গেল দিন এখন মেঘলা, বৃষ্টি অনতি দূরে ! ভয়াল বৃষ্টি, কলকাতা ডুবে যাবে । এখনো কি তুমি খুঁজছো নেলপলিশ ? শাড়ি পরা ছিল ? তাহলে এলে না কেন ? জুতো ছেঁড়া ছিল ? জুতো ছেঁড়া ছিল নাকো ? কাজল ছিল না ? কি হবে কাজল পরে তোমার চোখের হরিণকে আমি […]

কথোপকথন -৫

আমি তোমার পান্থপাদপ তুমি আমার অতিথশালা । হঠাৎ কেন মেঘ চেঁচালো – দরজাটা কই, মস্ত তালা ? তুমি আমার সমুদ্রতীর আমি তোমার উড়ন্ত চুল । হঠাৎ কেন মেঘ চেঁচালো – সমস্ত ভুল , সমস্ত ভুল ? আমি তোমার হস্তরেখা তুমি আমার ভর্তি মুঠো । হঠাৎ কেন মেঘ চেঁচালো – কোথায় যাবি, নৌকো ফুটো ? 15 […]

কথোপকথন– ৪

– যে কোন একটা ফুলের নাম বল – দুঃখ । – যে কোন একটা নদীর নাম বল – বেদনা । – যে কোন একটা গাছের নাম বল – দীর্ঘশ্বাস । – যে কোন একটা নক্ষত্রের নাম বল – অশ্রু । – এবার আমি তোমার ভবিষ্যত বলে দিতে পারি । – বলো । – খুব সুখী […]

কথোপকথন–৩

তোমার বন্ধু কে ? দীর্ঘশ্বাস ? আমার ও তাই । আমার শূন্যতা গননাহীন । তোমার ও তাই ? দুরের পথ দিয়ে ঋতুরা যায় ডাকলে দরোজায় আসে না কেউ । অযথা বাশি শুনে বাইরে যাই বাতাসে হাসাহাসি বিদ্রুপের । তোমার সাজি ছিল, বাগান নেই আমার ও তাই । আমার নদী ছিল, নৌকা নেই তোমার ও তাই […]

কথোপকথন-২/১

– কি করছো? – ছবি আকঁছি। – ওটা তো একটা বিন্দু। – তুমি ছুঁয়ে দিলেই বৃত্ত হবে। কেন্দ্র হবে তুমি। আর আমি হবো বৃত্তাবর্ত। – কিন্তু আমি যে বৃত্তে আবদ্ধ হতে চাই না। আমি চাই অসীমের অধিকার। – একটু অপেক্ষা করো। . . . এবার দেখো। – ওটা কি? ওটা তো মেঘ। – তুমি ছুঁয়ে […]

আবহমান ভগ্নী-ভ্রাতা

ডাইনে বাঁয়ে দুইদিকে দুই বাংলা আমার আপন স্বজন দুজন মাতা। ভালোবাসার সাঁকোর ওপর পা টলমল পা টলমল পা বাড়ালেই পদ্মা নদী হাত বাড়ালেই পদ্ম পাতা এবার পাবো। আজান-বাজান ভাটিয়ালীর কন্ঠনালীর ছন্দগাথা প্রবহমান নদীনালায় গুনতে যাবো। পাঁজর পোড়া গর্ত খোঁড়া হাটের মাঠের ঘরের ঘাটের সব দরজা জানলা খুলে খুঁজতে যাবো অগ্নিবরণ ভোরবেলাতে আমরা কজন আবহমান ভগ্নি-ভ্রাতা। […]

অনেককেই তো অনেক দিলে

আমি ছাড়া অনেককেই তো অনেক দিলে। এর আকাশে ওর আকাশে ওষ্ঠপুটের অনেক পাখি উড়িয়ে দিলে পায়রাকে ধান খুটিতে দিলে খোয়াই জুড়ে বুকের দুটো পর্দাঢাকা জানলা খুলে কতজনকে হাত-ডোবানো বৃষ্টি দিলে। কত মুখের রোদের রেখা মুছিয়ে দিলে নীল রুমালে। আমি ছাড়া অনেককেই তো অনেক দিলে। চায়ের কাপে মিষ্টি দিলে হাসির থেকে নকশাকাটা কাঁচের গ্লাসে সরবতে সুখ […]

নিষিদ্ধ ভালোবাসার তিন সাক্ষী

তুমি যখন শাড়ির আড়াল থেকে শরীরের জ্যোৎস্নাকে একটু একটু করে খুলছিলে, পর্দা সরে গিয়ে অকস্মাৎ এক আলোকিত মঞ্চ, সবুজ বিছানায় সাদা বাগান, তুমি হাত রেখেছিলে আমার উৎক্ষিপ্ত শাখায় আমি তোমার উদ্বেলিত পল্লবে, ঠিক তখনই একটা ধুমসো সাদা বেড়াল মুখ বাড়িয়েছিল খোলা জানালায়। অন্ধকারে ও আমাদের ভেবেছিল রুই মৃগেলের হাড় কাঁটা। পৃথিবীর নরনারীরা যখন নাইতে নামে […]

যূথী ও তার প্রেমিকেরা

আকাশে বাতাসে তুমুল দ্বন্দ্ব কে আগে কাড়বে যূথীর গন্ধ কার হাতে বড় নখ। স্বর্গে মর্তে যে যার গর্তে যূথীকে গলার মালায় পরতে ভীষণ উত্তেজক।। মেঘের ভঙ্গী গোঁয়ার মহিষ রোদ রাগী ঘোড়া, সুর্ঘ সহিস, বজ্র বানায় বোমা। বিদ্যুৎ চায় বিদীর্ণ মাটি গাছে গাছে খাড়া সড়কি ও লাঠি নদী গিরি বন ভয়ে অচেতন থ্রম্বসিসের কোম।। আকাশে বাতাসে […]