কথোপকথন-১৪

-দেখ, অনন্তকাল ঝিঁ ঝিঁ পোকার মতো আমরা কথা বলছি অথচ কোন কথাই শেষ হলো না এখনও। একটা লাল গোলাপের কান্নার গল্পো শোনাবে বলেছিলে কবে বলবে ? -চলো উঠি । বড্ডো গরম এখানে । -দেখ,অনন্তকাল শুকনো বাশপাতার মতো আমরা ঘুরছি অথচ কেউ কাউকে ছুঁতে পারলুম না এখনো । একটা কালো হরিণকে কোজাগরী উপহার দেওয়ার কথা ছিল […]

কথোপকথন- ৩৯

তোমাকে বাজাই সমুদ্র-শাঁখ তুমি গাছে ফুল আসে ফুলেরা কিশোরী হয় । ডালপালাগুলো সবুজ পাতার খামে চিঠি লিখে লিখে প্রেম নিবেদন করে । ফ্রক ছেড়ে শাড়ি পরে সমগ্র বনভূমি । তোমাকে ভাসাই মেঘের নৌকো তুমি তুমি জান লাল প্রবালের নীল দ্বীপ । অমরাবতীর দরজায় এসে নামো, খাট-পালঙ্ক পেতে দেয় জোৎস্নারা । বুড়ি চাঁদ এসে ঝাড়-লন্ঠন জ্বালে […]

কথোপকথন-৩৫

লোকে বলে শুনি সেলায়ে তোমার পাকা হাত সুঁচ দিয়ে লেখো কবিতা গোয়েন্দা নাকি? আমার যা কিছু লুকোনো জানতে হবে কি সবই তা? তর্ক কোর না, জুড়ে দেবে কিনা এখুনিই হৃৎপিন্ডের ক্ষতটা। দিতে পারে তবে মজুরী পরবে বিস্তর জোগাতে পারবে অতটা ? কাজ যদি হয় নিখুত , ভেবেছ পালাব গর্তে? হৃৎপিন্ডের ভিতরে থাকে যে ঝর্না দিতে […]

কথোপকথন-৩০

তুমি আমার সর্বনাশ করেছ শুভঙ্কর কিচ্ছু ভাল লাগে না আমার কিচ্ছু না জলন্ত উনুনে ভিজা কয়লার ধোঁয়া আর শ্বাস কষ্ট ঘিরে ফেলেছে আমার দশ দিগন্ত এখন বৃষ্টি নামলে কানে আসে নদীর পাড় ভাঙ্গার অকল্যান শব্দ এখন জোছনা ফোটলেই দেখতে পাই অন্ধকার শশান যাত্রীর মত ছুটে ছলেছি মৃতদেহের খোজে কিচ্ছু ভাল লাগে না, আমার কিচ্ছু না […]

কথোপকথন-২৭

হঠাৎ এলে যে ? বেশ তো ভুলে ছিলে। ভুলে ছিলামও। গাছে এটে ছিল ছায়াময় স্মৃতির ছাপানো ছবিরা। রোগা হয়ে গেছ। আমিও? হতে পারে। বালি ঢুকেছে জলস্রোতের গভিরে। বেলা তো বাড়ছে । নীলিমা নীল হয়ে যাবে ক্রমশ । কিছু লাল ফুল এখনো তোবুওফুটেছে। জানি না কে ফোটায়। সেকি তোমারই চকিত আলোক? অথবা আমার চৌক কুঠরীর গোপন […]

কথোপকথন–২৩

-কাল তোমাকে ভেবেছি বহুবার কাল ছিল আমার জন্ম দিন। পরেছিলাম তোমারি দেওয়া হার । – আমার হার কি আমার চেয়েও বড়? বালিকে তুমি বিলোলে আলিঙ্গন সমুদ্রকে দিলে না কুটো খড়ও। -বাতাস ছিল , বাতাসে ছিল পাখি আকাশ ছিল , আকাশে ছিল চাঁদ তাদের বললে, খবর দিত নাকি? – আজ্ঞে মশাই বলেছিলাম তাও। তারা বললে , […]

কথোপকথন– ২১

-তোমাদের ওখানে এখন লোডশেডিং কি রকম? -বোলো না। দিন নেই, রাত নেই, জ্বালিয়ে মারছে। -তুমি তখন কী করো? -দরজা খুলে দিই জানালা খুলে দিই র্পদা খুলে দিই। আজকাল হাওয়াও হয়েছে তেমনি ফন্দিবাজ । যেমনি অন্ধকার, অমনি মানুষের ত্রিসীমানা ছেড়ে দৌড় -তুমি তখন কি করো? -গায়ে জামা-কাপড় রাখতে পারি না। সব খুলে দিই, চোখের চশমা, চুলের […]

কথোপকথন-১৩

‘-তোমার মধ্যে অনন্তকাল বসবাসের ইচ্ছে তোমার মধ্যেই জমিজমা ঘরবাড়ি, আপাতত একতলা হাসছো কেন? বলো হাসছো কেন? -একতলা আমার একবিন্দু পছন্দ নয়। সকাল সন্ধে চাঁদের সঙ্গে গপ্পো গুজব হবে তেমন উঁচু না হলে আবার বাড়ি নাকি? -আচ্ছা তাই হবে। চাঁদের গা ছুঁয়ে বাড়ি, রহস্য উপন্যাসের মত ঘোরানো প্যাঁচানো সিঁড়ি…’

কথোপকথন– ১১

-তুমি আজকাল বড় সিগারেট খাচ্ছ শুভঙ্কর এখুনি ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি । কিন্তু তার বদলে ? বড্ড হ্যাংলা। যেন খাওনি কখনো? -খেয়েছি। কিন্তু আমার খিদের কাছে সে সব নস্যি। কলকাতাকে এক খাবলায় চিবিয়ে খেতে পারি আমি। আকাশটাকে ওমলেটের মত চিরে চিরে নক্ষত্রগুলোকে চিনেবাদামের মত টুকটাক করে পাহাড়গুলোকে পাঁপড় ভাজার মত মড়মড়িয়ে আর গঙ্গা ? সেতো এক […]

কথোপকথন-৯

‘আজ তোমাকে অনেক নামে ডাকতে ইচ্ছে করছে। ডাকবো? আজকে তুমি প্রথম শ্রাবণ, সঙ্গে চাঁপার গন্ধ মাখবো? গভীরতর গানের ভিতর খেয়া দেওয়ার নৌকো চলছে। একটু আগে হাসলে যেন আকাশ সোনার আংটি গলছে। এখন তোমায় ‘কুরুস কাঠি’ এই নামেতে ডাকবো শুনছো? ছিলাম সুতো, তাকে হাজার চৌকো ও গোল নকশায় বুনছো।’