যা ছিল

শুকনো নদীর জলে পা ডুবিয়ে দুপুরের ক্ষণিক কৌতুকে
মন স্বচ্ছ হতে গিয়ে থমকে যায়
পাথরের শ্যাওলার ছোপ, ঝিরঝিরে স্রোতের মধ্যে
বামের খোসা
নদীর ওপার থেকে অনায়াসে নীরা নাম্মী মহিলাটি
কুর্চি ফুল নিয়ে আসে
গাছের শিকড়ে রাখে সোয়েটা
সিগারেট টেনে আমি মন-খারাপ ধোঁয়া ছেড়ে
ভেঙে দিই বালির প্রাসাদ!

একদিন নদী ছিল চঞ্চলা নতর্কী,
তার তীরে
রমণীর লাস্য ছিল আরও রমণীয়
প্রবল ঢেউয়ের মতো হৃদয়ের ওঠানামা
ভুল ভাঙাবার মতো অকস্মাৎ কূল ভেঙে পড়া
নদীর ওপার ছিল দীর্ঘশ্বাস যত দূরে যায়-
নীরা, মনে পড়ে, এই নদীর তরঙ্গে
তোমার শরীরখানি একদিন
অপ্সরার রূপ নিয়েছিল?
জলের দর্পণে আমি ডুব দিয়ে পাতাল খুঁজেছি
দেখেছি তা স্বর্গ থেকে দূরে নয়, কে কাকে হারায়
তোমার বুবের বাছে নীল জল ছলচ্ছল-সীমাহীন মায়া
আমার নিভৃত সুখ, আমার দুরাশা
এখন এ শীর্ণ নদী … বুকে বড় কষ্ট হয়…
জলের সম্মুখ ছাড়া নারীকে মানায় না!