অল্প-একটু আকাশ

অতঃপর সে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াল।
জুঁইয়ের গন্ধে বাতাস যেখানে মন্থর হয়ে আছে ;
এবং, রেলিংয়ে ভর দিয়ে
যেখান থেকে অল্প-একটু আকাশ দেখা যায়।
আকাশ!
এতক্ষণে তার মনে পড়ল,
সারাটা সকাল, সারাটা বিকেল আর সন্ধ্যা
কাজের পাথরে মাথা ঠুকতে ঠুকতে, মাথা ঠুকতে ঠুকতে
মাথা ঠোকাই তার সার হয়েছে।
কোনো-কিছুই সে শুনতে পায়নি ;
না একটা গান, না একটু হাসি।
এখন শুনবে।
কোনো-কিছুই সে দেখতে পায়নি ;
না একটা ফুল, না একটু আকাশ।
এখন দেখবে।
রুগ্ন স্ত্রীকে মেজার-গ্লাসে-মাপা ওষুধ খাইয়ে,
কুঁচকে-যাওয়া বালিশটাকে গুছিয়ে রেখে,
ঘুমন্ত ছেলের ইজেরের দড়িটাকে আর-একটু আলগা করে দিয়ে,
সে তাই বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াল।
১৮ ভাদ্র, ১৩৬৪