মা, ভালো আছো তো ?

 
স্তম্ভিত জনতার উচ্ছ্বাস ফেটে পরে আর্তনাদে
চারদিকে হাহাকার, দুর্যোগের হুঙ্কার,
অপর পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্যে
কেঁদে মরে বাংলাদেশ ।
চেয়ে রয় সেলুকাস
ভণ্ডামির চূড়ান্ত সীমায় গণতন্ত্র,
উচ্ছিষ্ট অনাহার বুকের ফাটলে
চারদিকে চিৎকার, নিঃশব্দ জুয়া খেলা
বাংলা মা, তুমি সত্যিই ভালো আছো তো ?

নত মুখে আমার বাংলা মা
আধো আধো জল গড়িয়ে পরছে-
আর কত মা ? আর কত কাঁদবে ?
বেয়াল্লিশ বছরের কান্না আর কত ?
যে শাড়ি কিনেছিলে ৭১ এ
সেই শাড়ির আঁচলে আঁচলে আজ কত রাজনীতি;
মা, মাগো, তুমি এভাবে কেঁদো না
যে আঁচলে রূপকথা আকার কথা ছিল,
সেই আঁচলের কলঙ্ক দেখে স্তব্ধ হয়ে গেছি মা;
মা আমার, তুমি কি সত্যিই ভালো আছো ?

ত্রিশূলের ব্যভিচারে তোমার শরীরে আজ
কত কালিমা ! কত কালিক ইতিহাস !
তোমার কান্নায় একদিন সব ভেসে যাবে মা আমার;
মুক্তি পাবে গণতন্ত্র, পূর্ণত্ব পাবে আকাশ
হায়েনার লোভাতুর চোখ দ্বিতীয়বার তাকাবে না
যতবার তাকাবে মা,
তোমার মাটির কসম;
আমরা ততবার মুক্তিযোদ্ধা হবো ।
তোমার শরীরে কোন কালো দাগ থাকবে না মা,
তুমি হবে চিরসুন্দর, অনন্তযৌবনা মাতৃভূমি আমার ।
চোখ মুছে তাকিয়ে দেখো মা-
একবার তাকাও মা, একবার তাকাও আমার দিকে;
বল মা, তুমি সত্যিই ভালো আছো ?

 

 

 

– জিহান আল হামাদী
২৯শে মার্চ’২০১৩