বাড়িদখল

দরোজায় লাথি মেরে বেহায়া চিৎকার তুলছি মাঝরাত্তিরে যারই বাড়ি হোক এটা খুলতে হবেই নাতো ভেঙে ঢুকে যাব সামলাও নিজস্ব স্ত্রীলোক বাঁদি সোনাদানা ইষ্টদেবতা ফেরেবের কাগজপত্তর নথি আজ থেকে এবাসা আমার ভোর হলে রাস্তায় সমস্ত আসবাব ছুঁড়ে ফেলে দোব শষ্যের গ্রীষ্মবর্ষা পাপোশের নারিকেলসারি-ছায়া পোশাকের মেঘলা দুপুর গয়নার ভালোবাসা বাসনের দিনান্তের খিদে সদর দরোজা দিয়ে ধাক্কা মেরে […]

মেশোমশায় পর্ব

যুধিষ্ঠির আববে পাণ্ডবের বাচ্চা যুধিষ্ঠির বহুতল বাড়ি থেকে নেবে আয় গলির মোড়েতে নিয়ায় ল্যাংবোট কৃষ্ণ ভীম বা নকুল কে কে আছে পেটো হকিস্টিক ক্ষুর সোডার বোতল ছুরি সাইকেল চেন বলেদে দ্রৌপদীকে আলসে থেকে ঝুঁকে দেখেনিক আমার সঙ্গে আজ কেউ নেই কিছু নেই ধৃষ্টদ্যুম্ন দুর্যোধন নেই তোদেরই অঙ্গুলিহেলনে কেটে তর্জনীও দিয়েছি শৈশবে দাঁড়াচ্ছি পা-ফাঁক করে দন্তস্ফূট […]

ঢিল

দেখলুম তোকে মধ্যবয়সিনী মাটি থেকে পাথর-টুকরো তুলে বোরখা থেকে মুখ বের করে তুই ছোঁড়ার জন্য একটু হেলেছিলি কপালে রেখায় জমা ঘৃণা চিবুকে কাঁপছে তোর ক্রোধ জীবনে প্রথমবার পথে নেমেছিস যে-ইঁট ছুঁড়বি তুই তার তো কারণ অনেক উদ্দেশ্য বিশাল ওই একটি ঢিল ছুঁড়ে ভাঙছিস তোর চারিদকে তোলা রাষ্ট্রের পুরুষালি সমাজ ও ধর্ম ইত্যাদির প্রাকার পরিখা ঘেরাটোপে […]

তোর বহির্মুখ, মুখপুড়ি

তোর বহির্মুখী দেহ, আদরক্লান্ত ঘামে, মুখপুড়ি মেছোমেয়ে আলুথালু মরশুমে, বেড়ে ও ফিকিরহীন, অপপ্রচারে, বুঝলি জাহাজ ভাসাতে চাইছে পিম্পদের ঘোড়েল জোয়ারে ! হাউ সিলি ! নো ? কী বলিস, ডারলিং, সুইটি পাই ? তোর নাব্য নগ্নতা গ্লসি কাগজের চারু মলাটে হেলান দিয়ে পুজো সংখ্যার মোটা বেহেডদের পাশে শুয়ে করছেটা কী ? বল তুই ? তোর কোনো […]

সবুজ দেবকন্যা

ওঃ তু্ই-ই তাহলে সেই সুন্দরী দেবকন্যা তুলুজ লত্রেক র‌্যাঁবো ভেরলেন বদল্যার ভ্যান গঘ মদিগলিয়ানি আরো কে কে পড়েছি কৈশোরে, কোমর আঁকড়ে তোর চলে যেত আলো নেশা আলো আরো মিঠে ঝলমলে বিভ্রমের মাংস মেজাজি রঙে বড় বেশি সাজুগুজু-করা মেয়েদের নাচে স্পন্দনের ছাঁদ ভেঙে আলতো তুলে নিত মোচড়ানো সংবেদন কাগজে ক্যানভাসে   অ্যামস্টারডাম শহরের ভিড়েঠাসা খালপাড়ে হাঁ […]

ম্যালেরিয়া

দেখলি তো অবন্তিকা মশাবধুরাও তোর প্রেমিকগুলোর রক্ত চেনে ! মেঝেয় ছড়ানো তোর গুঁড়োগুঁড়ো মুখচ্ছবি উড়িয়ে পড়েছে সটকে তোর যত পার্টটাইম সুবেশ ডিউডদল । জ্বরদেহ চাইছে রে জড়িয়ে ধরুক তোর গা-ময় ছড়ানো শীত– নিভিয়ে ফেলুক কেউ তাপের স্হানিক নিম শুকনো ঠোঁটের শ্লেষে যা তুই চিরটাকাল আমারই জন্য শুধু রাখলি ঘুমের ভানে— এরম ব্যবস্হা ভালো অন্তত তাহলে […]

নয়নিমা

ব্যায়াম করিস তুই অবন্তিকা, নরম গোলাপি ম্যাটে শুয়ে, মিহি মিহি বাজনায় বডি তোর মৃদঙ্গ তালের ঢঙে ফুল-অন উরুকে ফোলায় পা দুটো ওপরে ওঠে, উলঙ্গ সাঁতারু, আয়নার পারা গুঁড়ো গুঁড়ো ভাসাস সঙ্গীতে ধোয়া উড়ন্ত বকের ডানা, কাকে দিবি বলে কাঁচা মাটি মাখছিস আঁটোসাঁটো লোভনীয় পাছাকে দুলিয়ে ?

কী বিষয় কী বিষয়

আররে রবীন্দ্রনাথ তোমার সঙ্গেই তো নেচেছিলুম সেদিন আঙুলের ইতিহাসে একতারার হাফবাউল ড়িং ড়াং তুলে ফ্রিস্কুল স্ট্রিটের জমঘট থেকে সদর স্ট্রিটের লবঙ্গবাজারে যেতে-যেতে তুমি বললে, আমাগো শিলাইদহ থিকা আসতাসি আলুমুদ্দিন দপতর যামু   আগুন আর জলের তৈরি তোমার ঠোঁটে তখনও একচিলতে ব্রহ্মসঙ্গীত লেগেছিল কী গরম কী গরম গ্যাবার্ডিনের আলখাল্লা ফেলে দিলে ছুঁড়ে দেখলুম তোমার ফর্সা গায়ে […]

অমরত্ব

সালিশি-সভার শেষে তাড়া করে পিটিয়ে মেরেছে যারা, তারা তোকেও রেয়াত করল না অবন্তিকা । আমরা দু’জনে পচে চলেছি হুগলি ঘোলা জলে ভেসে ; কী দোষ বলতো আমাদের ? বউ তুই বৈভবশালীর ; আমি গোপন প্রেমিক ছোটোলোক । সাম্যবাদ নিয়ে কত কথা চালাচালি হল তিরিশ বছরে ; প্রেমিকের জন্য নয় । কে জানে কাদের জ্ঞানে লেগেছে […]

প্রিয়াংকা বড়ুয়া

প্রিয়াংকা বড়ুয়া তোর ঠোঁটের মিহিন আলো আমাকে দে না একটু   ইলেকট্রিসিটি নেই বছর কয়েক হল আমার আঙুলে-হাতে   তোর ওই হাসি থেকে একটু কি নিভা দিবি আমার শুকনো ঠোঁটে   যখনি বলবি তুই কবিতার খাতা থেকে তুলে দিয়ে দেব তোকে   আগুনও আছে নাকি তোর দেহে কোনো খাঁজে চাইতে বিব্রত লাগে   জোনাকির সবুজাভ […]