তোর বহির্মুখ, মুখপুড়ি

তোর বহির্মুখী দেহ, আদরক্লান্ত ঘামে, মুখপুড়ি মেছোমেয়ে

আলুথালু মরশুমে, বেড়ে ও ফিকিরহীন, অপপ্রচারে, বুঝলি

জাহাজ ভাসাতে চাইছে পিম্পদের ঘোড়েল জোয়ারে !

হাউ সিলি ! নো ? কী বলিস, ডারলিং, সুইটি পাই ?

তোর নাব্য নগ্নতা গ্লসি কাগজের চারু মলাটে হেলান দিয়ে

পুজো সংখ্যার মোটা বেহেডদের পাশে শুয়ে করছেটা কী ?

বল তুই ? তোর কোনো সে নেই ? বোবা না বধির তুই !

অলংকার-টলংকার বেচে খেয়েছিস জানি । বডির কাঠামো

দেখছি ঝুলে গেছে দশ বছর বাদে-বাদে কিস্তি দিতে-দিতে ;

হাউ স্যাড ; চ্যাংড়া যারা জোটে তারা টেকে না কেন রে ?

বছর না যেতেই কাট মারে ! অথচ বডিতো সরেশ আজও

অক্ষরের ধাঁচে জমে একেবারে টানটান আগাপাছতলা

কন্ঠের টিউনিঙও শ্বাসকে ফুরিয়ে ফ্যালে রাত বাসি হলে ।

বেশ্যার আলতা-মাখা গোড়ালি দেখবো ভাবিনি– তাও

ব্যালেরিনা জুতোর আবডালে, অবন্তিকা, ঘামে ভেজা

প্রণামের খাতিরে তুই কত রকমের ফাঁদ পেতে রেখেছিস