বুদ্ধনং শরনং গচ্ছামি

বুড়ি হও, ছুড়ি হও,
তোমার কাশ-শাদা হাসির অর্থই শরৎ নয়।
তোমার দশহাতে দশ বিপদসংহারী অস্ত্র হাসে;
অথচ শরৎ হাসে না।
বাঁকখালির জলে ঢেউয়ের ত্রিভঙ্গ থেমে যায়;
অথচ আশ্বিন নেচে ওঠে না বালিতে বা ফেনায়।
ঘোর পূর্ণিমায় সোনাইছড়ির পাহাড়ে পাহাড়ে শিশির নামে।
রামুর হাজার বছরের প্রাচীন কিয়াং জোছনায় সাঁতরায়।
তখন বুদ্ধের শত ফুট দীর্ঘ শান্তিশয়ান চাঁদের দিকে তৃষিত তাকায়।
এই সুযোগে নাফ আর অাঁশনাই দরিয়ার মউজ পাড়ি দিয়ে
শরতের শত্রুরা গোঁট পাকায় গর্জন-সেগুনের ছায়ায়।
মধ্যযুগ পায়ে পায়ে আগ-বাড়ায়।
তখন বারুদ, ভোজালি, ইট, কাঠ, পাথর, লাঠি, কীরিচ,
দেশলাই কিংবা বুলেটেরা অ্যাম্বুশ করে শারদীয় পূর্ণিমায়।
অগত্যা ধর্ম ও অধর্ম মুখোমুখি দাঁড়ায়।
আর সেই কালো জোছনার কালো পূর্ণিমায় সিংহাসনত্যাগী রাজপুত্রের
পাথুরে মূর্তির বুক জেগে ওঠে সুনীতির সুরক্ষায়।
এই শরতে ধর্মান্ধরা যখন হননপ্রিয়,
তখনো মহামতি বুদ্ধ নির্বাণপ্রিয়।
এই শরতে মানবতার শহীদ তিনি,
মানবতার গাজী। শুদ্ধ তিনি,
যদিও অনিরুদ্ধ।
না, মহামতি বুদ্ধ নন ক্রুদ্ধ।
বুদ্ধের সঙ্গে সে, তুমি ও আমি:
বুদ্ধনং শরনং গচ্ছামি