নরের অধিক

এতেক গাহিয়া কবি কী কাণ্ড করিল
গণ্ড ঘষে মণ্ডকোষ চাপিয়া ধরিল
কহিল সুউচ্চ নাদে আর রক্ষা নাই
এইবার সৃষ্টিসুখে মর্ত্যগান গাই

তারপর কী বাঁধিল কী গাহিল গান
নারী করে ছত্রখান নারীর বাগান
বাগানে নরের কলি যা-কিছু ফুটিল
বীর্যর বীরত্বে হায় সকলি ভাসিল

ভাসিতে ভাসিতে ধরা নূহের বন্যায়
পূর্ণচন্দ্রে দিবালোকে ধরিল গন্নায়
ফুকারি উঠিল উলু, কোথাও আজান
কী হবে কী হবে বুবু, কী হবে বা-জান

বা-জানের মুখে কুলু, বুবু মুখ খোলা
ভাইজান কবিরত্ন, কাঁধে তার ঝোলা
শ্যালক-শ্যালিকা তার মাতে মস্করায়
বেগতিক দেখে কাজী দিতে যায় রায়

হায় হায় করে নর শুনে সেই কথা
হায় হায় করে নারী, এ রায় অযথা
বরং দুজন মিলে কুজলে মাতিল
কুঞ্জবনে ঘনপত্রে বাসরে নামিল

গান্ধর্বের পাঠ শেষে কাবিনে স্বাক্ষর
মহাকাশ পত্র তার, নক্ষত্র অক্ষর
দুই দিকে দুই মেরু মাঝখানে বাড়ি
আরশিনগর পথে চলে জোড়া গাড়ি

সেই থেকে নারী পথ, নরেরা পথিক
সেই থেকে নারীজাতি নরের অধিক