কাশবনে বৃষ্টি

সারাদিন রোদ নেই ঝড়ো হাওয়া কন্কন্,
যেন ডানা ঝাপটায় ঝন্ঝন্ শন্শন্।

কাঁপে ডাল কাঁপে পাতা কাঁপে হাড়-মজ্জা,
বৃষ্টি ও বিজুলির এ কী রণসজ্জা!

পূর্ণকুটির কাঁপে, কাঁপে জল কংশের,
জ্যৈষ্ঠ বাঁজায় বাঁশি চরাচর ধ্বংসের।

কখনোবা ঝিরিঝিরি কখনোবা অঝোরে,
মাঠ-ঘাট-প্রান্তরে ঝরছে সে সজোরে।

আর কতো জল আছে আর কতো ঝরবে,
ছোট্ট এ- পৃথিবীটা কতো জল ধরবে?

আকাশে কি মেঘ ছাড়া আর কিছু ছিলো না?
কেউ সেই প্রশ্নের উত্তর দিলো না।

শুধু জল ছলছল অবিরল ঝরলো,
নদী-নালা-খাল-বিল সবকিছু ভরলো।

বুঝি আজ আনন্দে আকাশের চিত্ত,
ভরে আছে তাই এতো তাণ্ডব নৃত্য।

নাকি আজ উন্মুখ চাতকের দৃষ্টি,
পড়লো মেঘের চোখে, তাই এতো বৃষ্টি?

কারণটা যাই হোক, কার্যটা বিশ্রী,
বৃষ্টির জলে জানি মাখা নেই মিশ্রী।