আলফা পুরুষ কবিতা

কী দিয়ে তৈরি তুই ? নারীকে কবিতায়

আনা যাবেনাকো বলে তোর হুমকি

অবন্তিকা ! কোন ঋতু দিয়ে গড়া ? স্কচ

না সিংগল মল্ট ? নাকি তুই হোমিওপ্যাথির

শিশি থেকে উবে-যাওয়া ৩৫ হাজার ফিট

ওপর আকাশে, প্লেনের হোল্ডে রাখা শীতে

নদীর মোচড়ানো বাঁকে ইলিশের ঝাঁক ?

আলোকে দেশলাই বলে ভাবলি কী ভাবে?

কেন ? কেন ? কেন ? কেন ? অ্যাঁ ? অবি,

অবন্তিকা ? ভুলে গেলি তোরই ছোঁয়া পেয়ে

আড়মোড়া ভেঙেছিল চকমকি পুরুষ-পাথর ?

বল তুই, বলে ফ্যাল, মিটিয়ে নে যত ঝাল

জমা করে রেখেছিস স্কচ-খাওয়া জিভে ;

তোরই বাড়িকে ঘিরে তুষারের তীব্র আলো

সূর্য ওঠেনি আজ পনেরো দিনের বেশি

তবু তোর মুখশ্রী শীতে আলোকিত কেন ?

আসলে অন্যের ওপরে রাগ, উপলক্ষ আমি,

হ্যাঁ, হ্যাঁ, খুলে বল, দাঁতে দাঁত দিয়ে বল

যে ভাবে ইচ্ছে তুই উগরে দে স্টক তোর…

 

তোকে নিয়ে লিখতে পারব না, এ-নিষেধ

অমান্য করেই তবে পাতছি চোরা শব্দফাঁদ

অবন্তিকা প্রিয়তমা খুকিবাদী হে প্রেমিকা

এই নে মাটির পোড়ানো আংটি, হাঁটু গেড়ে

দিচ্ছি তোর ক্রুদ্ধ আঙুলে, নিবি বা ফেলে দিবি

তা তোর অ্যাড্রেনালিন বুঝবে অবন্তিকা

আমি তো নাচার যতক্ষণ না যাচ্ছিস

মগজের ছাইগাদা-বিস্মৃতির উড়ো-আবডালে