বই হাতে মেয়েটি

দোকানে ঢুকতেই প্রথমে চোখে পড়লো সিঁড়ি থেকে লাল গালিচা ভেতরের দিকে চলে গিয়েছে, দুই পাশে ফুলের টব সেখানে নানা রঙের ফুল ফুটে আছে। হেঁটে যেতে যেতে গন্ধও পাওয়া গেল কয়েকটা টবের ফুল থেকে। বোঝা গেল শুধু শোভা বর্ধন নয়, সুগন্ধি করে তুলেছে পরিবেশ। ইরার মন সি্নগ্ধতায় ভরে এলো, রাস্তায় ধুলো-বালি, কালো ধোঁয়া, ডিজেলের গন্ধ এখন তার মনে পড়ছে না, অথচ এই তো কিছুক্ষণ আগেই ভয়ে দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে হেঁটে আসতে হয়েছে তাকে। আসার সময় ভেবেছে এমন একটা ভয়াবহ শহরে লোকজন বাস করছে কীভাবে? খুন-জখম-অপহরণ, এসব অপরাধের খবর কাগজে তো রয়েছেই আর বাইরে বেরোলে নিঃশ্বাস নিতে হয় বিষাক্ত বাতাস, চোখ দিয়ে দেখতে হয় নানারকমের কদর্যতা, কানে প্রবেশ করে গাড়ির হর্ন বাজানো আর চারদিক থেকে ধেয়ে আসা কোলাহলের শব্দ।
হঠাৎ করেই চোখে পড়ল দোকানটা ইরার। দেখে সে থমকে দাঁড়ালো। ভ্রূ কুঁচকালো, কিছুক্ষণ ভাবলো। তারপর হাতখানা বাহুর নিচে চেপে ধরে হেঁটে এলো। তার চোখে কৌতুক, মনে কৌতূহল।
দরজায় বের হতেই চমৎকার একটা ফ্রেশনারের গন্ধ আলিঙ্গন করলো তাকে। লাইনাক ফুলের সুগন্ধে। সে চোখ বুজে কিছুক্ষণ সেই গন্ধ শুঁকলো। চোখ খুলতেই ভিতরের উজ্জ্বল আলোর সবকিছু সোনার পাতে মোড়ানো মনে হলো। আয়নাটা উজ্জ্বল কিন্তু চোখ ধাঁধানো নয়। বেশ মোলায়েম আর সি্নগ্ধ অনেকটা পূর্ণিমা রাতের জ্যোৎস্নার মতো। একটা মেয়ে প্রায় দৌড়ে এসে খুব সৌজন্যের সঙ্গে প্রশ্ন করলো, আপনি কি কোনো বিশেষ লোকের বই খুঁজছেন? অথবা বিশেষ শ্রেণির বই? ইরা একটু থতমত খেয়ে গেল। সামলে বললো, কেন বলুন তো?
মেয়েটি সপ্রতিভ হয়ে বললো, আপনাকে সঠিক আলমারির কাছে নিয়ে যাবো। ঠিক যে র‌্যাকে আপনার পছন্দের বইগুলো আছে সেখানে অযথা সময় ব্যয় না করে পেঁৗছে যাবেন।
ইরা বললো, চমৎকার। এই শহরে সব বইয়ের দোকানেই কি এমন ব্যবস্থা? এ ধরনের আপ্যায়ন করা হয়ে থাকে? মেয়েটি হেসে বললো, না। আমরাই প্রথম।
ইরা বললো, আই অ্যাম ইমপ্রেসড। তারপর বললো, কোনো বিশেষ বই কিনবো বলে ঢুকিনি। ব্রাউজ করবো। পছন্দ হলে কিনবো। আপত্তি আছে?
মেয়েটি হেসে বললো, না। আপত্তি থাকবে কেন! যতক্ষণ খুশি দেখুন ঘুরে ঘুরে। দরকার বোধ করলে ইশারা করবেন আমাকে, আমার সহকর্মীদের। আমরা সাহায্য করতে এগিয়ে যাবো। ইরা দেখলো তার সামনে দাঁড়ানো মেয়েটির মতো আরো কয়েকজন মেয়ে দোকানের ভিতর রয়েছে। কেউ কাস্টমারের সঙ্গে কথা বলছে, কেউ এমনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে।
দোকানটার এক পাশে সোফা-টেবিল পাতা। সেখানে কয়েকজন বসে কফি খাচ্ছে! নিচু স্বরে কথা বলছে নিজেদের মধ্যে। ছোট আমেরিকায় ‘বর্ডার’ বইয়ের দোকানের কথা মনে পড়লো_ ইরার। আইডিয়াটা কি সেখান থেকেই নেয়া? হতে পারে, ভালো আন্তর্জাতিকতার হাওয়া বয়ে যাচ্ছে সব জায়গায়। ঢাকার মতো শ্রীহীন, বিশৃঙ্খল শহরেও বিদেশি দৃশ্যের অভাব নেই। সেসব সমুদ্রে দ্বীপের মতো দাঁড়িয়ে আছে, বৈপরীত্য একই সঙ্গে রয়েছে। ইয়েস, ঢাকা ইজ এ নিটি অফ কনট্রাস্ট। রাস্তায় বিএমডবস্নুর পাশাপাশি ঝক্কড় মার্কা রিকশাও চলছে। টাইসুট পরা মানুষের সঙ্গে লুঙ্গি-গেঞ্জি পরা মানুষও হাঁটছে।
ইরা দোকানটার চারিদিকে চোখ ঘুরিয়ে দেখলো। ঝকঝকে আলমারি আর র‌্যাকে নানা রঙের মলাট নিয়ে বইগুলো সাজানো আছে। বেশকিছু বইয়ের প্রচ্ছদ প্রদর্শন করা হয়েছে, প্রায়ই হার্ড ব্যাক। বাকি বই র‌্যাকে গাট্টি বেঁধে রাখা। সবকিছু নিখুঁতভাবে সাজানো। কোনো বিশৃঙ্খলা নেই। সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ার মতো হলো ভিতরে বইয়ের প্রশস্ত জায়গা। ফার্নিচার দিয়ে দোকানের সব স্পেস ভর্তি করে রাখা হয়নি। এক পাশে অনেক জায়গা রাখা হয়েছে। মাঝে মাঝে বসবার জন্য কুশন জাতীয় আসন। কয়েকটা কুশনে বসে বসে বই পড়ছে কয়েকজন।
চিলড্রেন সেকশনে ছেলে-মেয়েরা ঘুরছে, র‌্যাক থেকে বই টেনে বের করছে। তাদের সাহায্য করছে দোকানের স্টাফ। একমাত্র সেই দোকানেই কিছু কথা শোনা যাচ্ছে, ছেলেমেয়ে উচ্ছল হয়ে কথা বলছে বইয়ের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে। তার মানে শব্দ হচ্ছে কিন্তু কোলাহল সৃষ্টি হয় নি।
ইরা ধীরেসুস্থে অগ্রসর হলো, চোখ বুলিয়ে গেল আলমিরার ওপর লেখা টাইটনের অক্ষরগুলোতে। ফিকশন। নন-ফিকশন। ট্রাভেলস। বায়োগ্রাফি। বিলিপিয়ন। পলিটিক্স। মিথলজি। হিস্ট্রি। অ্যাসট্রোলজি। র‌্যাকগুলোতে ফিকশনের বই-ই বেশি। আমেরিকাতেও তাই দেখেছে সে। পাঠক ফিকশন পড়তে ভালোবাসে বেশি। ইরাও। সে ফিকশনের আলমারিগুলোর দিকে এগুলো। ইংরেজি, বাংলা দুই ভাষার বই-ই রয়েছে এ সেকশনে। ইরা দেখলো ইংরেজিতে লেখা বাংলাদেশি লোকদের বইয়ের সংখ্যা কম। সেই তুলনায় বাংলা অনেক বেশি। গ্লোবালাইজেশনের যুগে এভাবে পিছিয়ে থাকার কী কারণ থাকতে পারে তা ভাবতে গিয়ে তার কল্পনা রঞ্জিত হলো।
বাংলা ফিকশনের আলমারিগুলোর সামনে একজন যুবক অলস ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে। তার বেশভূষা, চোখ-মুখের অভিব্যক্তি, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বলছে না সে এই বুক শপের স্টাফ। কাস্টমারদের সার্ভিস দেখার জন্য সে ব্যস্ত হয়ে নেই। মুখে মধুর হাসিও ঝুলছে না। বেশ একটা দার্শনিক ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আলমারির বইগুলো দেখছে। ইরা যখন ফিকশনের আলমারির কাছে পেঁৗছালো যুবকটি সেই সময় একই আলমারির সামনে দাঁড়িয়ে র‌্যাকে রাখা বইগুলো গুনতে শুরু করেছে। তাহলে দোকানের স্টাফই হবে, ভাবলো ইরা। হয়তো ওর কাজ শুধুই বই গোনা। কাস্টমার সার্ভিস তার আওতায় না থাকায় মার্টলি ঘুমন্ত না, চলাফেরাতেও আলসেমির ভাব।
ইরা কাছে গিয়ে যুবকটিকে বললো, বাংলা ফিকশনের বেশ ভালো স্টক।
যুবকটি তার দিকে না তাকিয়ে বললো, হ্যাঁ।
ইরা বিব্রতবোধ করলো তাকে উপেক্ষা করার ভঙ্গি দেখে। সামনে গিয়ে বললো, বই গোনা আপনার কাজ বুঝি? যুবকটি আগের মতই তার দিকে না তাকিয়ে বললো, কাজ? না কাজ হনে কেন? অভ্যাস বলতে পারেন।
অভ্যাস? কীসের অভ্যাস?
কেন, বই গোনার। যুবকটি এবার মৃদ হাসলো। সব বই গোনেন? যখনই আসেন? ইরার স্বরে বিস্ময়। না। সব বই গুনি না। এই র‌্যাকের বইগুলো গুনে দেখি। বলে যুবকটি একটা বই র‌্যাক থেকে তুলে তাকে দেখালো। লেখকের নাম ইমন কল্যাণ। ধ্রুপদী গানের স্বর। আজকাল বাংলাদেশে এই নামেই নামকরণ হচ্ছে। এমন নামও আছে যার অর্থ বোঝা কঠিন।
ইরা র‌্যাক থেকে ইমন কল্যাণের লেখা একটা বই হাতে নিয়ে পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে বললো, খুব জনপ্রিয় বুঝি?
যুবকটি বললো, একেবারে উল্টো। মোটেও জনপ্রিয় নয়। এ যে বিক্রিই হয় না।
কী করে বুঝলেন? ইরা যুবকটির দিকে তাকালো। মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, চুলগুলো এলোমেলো। পরনের পাজামা-পাঞ্জাবিতে ভাঁজ নেই, কিছুটা ময়লাও দেখাচ্ছে।
যুবকটি বললো, বিক্রি হয় না। আমি যখনই আসি গুনে দেখি। একটাও বিক্রি হয় না।
ইরা অবাক হয়ে বলে, তাহলে রেখেছে কেন?
নতুন বেরিয়েছে সেই জন্য হয়তো। বিক্রি না হলে বেশিদিন এই আলমারিতে রাখবে না।
কী করবে?
সরিয়ে ফেলবে। না হয় নিয়ে যেতে বলবে।
লেখকের মুখ মন খারাপ হবে তাহলে! কী বলেন? ইরা বইটার পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে বললো।
হয়তো খুব মন খারাপ করবে না। একটু একটু করবে। নিশ্চয়ই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে।
ইরা বললো, বেচারা!
যুবকটি বললো, বেচারা হতে যাবে কেন? সে কি জানে না সবাই জনপ্রিয় লেখক হতে পারে না। এর জন্য অনেক কিছু দরকার হয়।
ইরা বললো, এই অনেক কিছুর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী? যুবক হেসে বললো, ভাগ্য।
ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন আলমারি থেকে বেশকিছু বই কিনলো ইরা। তার বই পড়ার অভ্যাস অনেক দিনের। দেশে এলেই অনেক বাংলা বই কিনে নিয়ে যায়। আমেরিকায় বাংলা বই সব জায়গায় পাওয়া যায় না। নিইউয়র্কে যেতে হয় বই কেনার জন্য। কখনো উৎসবেও বই বিক্রি হয়। ইরা এখন ফাইনাল ইয়ারে। তার জন্য ঘোরাঘুরি করা সম্ভব হয় না। মায়ের শরীর খারাপ শুনে ঢাকা এসেছে। এই সুযোগে বই কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

বইয়ের ব্যাগ নিয়ে কফি খাওয়ার জন্য সোজা গেটের দিকে রওয়ানা হলো ইরা। একটা সোফাসেটের এক পাশে যুবকটি বসে কফি খাচ্ছে। হাতে সংবাদপত্র। কোনো বই কেনে নি। শুধুই ব্রাউজ করার অভ্যাস? যাদের বই বিক্রি হয় না র‌্যাকে রাখা তাদের বইও গুনে বেড়ানোই এখানে আসার উদ্দেশ্য? বেশ অদ্ভুত মনের বটে। ইরা যুবকটির সামনে দাঁড়িয়ে বললো, আপনার সামনে বসতে পারি? সিটটা খালি আছে মনে হচ্ছে।
বসুন। হ্যাঁ খালি আছে। ইরা বইয়ের দুটো ব্যাগ কফি টেবিলের ওপর রাখলো। যুবকটি কিছুক্ষণ ব্যাগগুলো দেখলো। তারপর থেমে বললো, অনেক বই কিনে ফেলেছেন দেখছি। ইরা বসতে বসতে বললো, অনেক আর কোথায়? আবার আসতে হবে। এখানে চমৎকার কালেকশন আছে। যুবকটি ইতস্তত করে বললো, কী বই কিনলেন দেখতে পারি?
অবশ্যই। দেখুন। আপনার তো বই ব্রাউজ করা, গুনে দেখার অভ্যেস। বলেই সে লাজুক হলো। কটাক্ষ করা হলো কি? সে ঠোঁট কামড়ে বললো, সরি। কিছু মনে করে কিন্তু কথাগুলো বলিনি। যুবকটি হেসে বললো, সরি বলার কিছু নেই। যা সত্যি তাই বলেছেন।
ইরা বিব্রত হয়ে বললো, কিন্তু আপনার সঙ্গে আমার এমন কোন পরিচয় নেই যার জন্য এমন কথা বলতে পারি।
যুবকটি হেসে বললো, পরিচয় থাকবে না কেন? এই তো কিছুক্ষণ আগে আমরা বই নিয়ে কথা বললাম। সেটাই কি পরিচয় হলো না?
ইরা বললো, ঐ সামান্য আলাপকে পরিচয় বলা যায় না।
যুবকটি বললো, আধুনিক জীবনে অমন সামান্য আলাপকেই পরিচয় বলে ধরে নেয়া যায়। দেখছেন না চারিদিকে কেমন অবস্থা। ‘কালের যাত্রার ধ্বনি শুনতে কি পাও, তারি রথ নিত্যই উধাও’ সেই কবিতার কথা মনে হয় সব সময়। ইরা হাত ব্যাগটা পাশে রাখতে রাখতে বললো, আপনি কবিতা পড়েন?
যুবকটি বললো, মাঝে মাঝে।
ব্যাগ থেকে বইগুলো বার করে যুবক উল্টেপাল্টে দেখছে। কোনোটার পাতাও উল্টে দেখছে। হঠাৎ একসঙ্গে পাঁচটা বই হাতে নিয়ে সে অবাক হয়ে বললো, ইমন কল্যাণের বই কিনেছেন দেখছি।
হ্যাঁ।
পাঁচ কপি।
পাঁচ কপি কেন?
বন্ধু-বান্ধবীদের দেবো। ইরা হেসে বলল।
যুবকটি বললো, কিন্তু ওই লেখক তো জনপ্রিয় না। তার বই বিক্রিই হয় না। এমন বই রাখবেন কেন? অন্যকে পড়তে দেবেন কেন?
ইরা বললো, কেন জনপ্রিয় নন, তা তো পড়ার পরই জানা যাবে।
ইমন কল্যাণের পাঁচটা বই কিনলেন আপনি? বিস্ময়ে যুবকের মুখের হাঁ বন্ধ হতে চায় না।
হ্যাঁ। দেখতেই পাচ্ছেন।
কিন্তু আমি অমনই। আমার স্বভাবটাই হলো উল্টো পথে যাওয়া।
যুবকটি বললো, আপনাকে কফি খাওয়াতে পারছি না। পকেটে টাকা শেষ। কী লজ্জার ভ্যাপার দেখেন তো।
না। না। লজ্জা পাবেন না। সবসময় সঙ্গে টাকা থাকে না। আমার প্রায়ই এমন হয়। আমি কফির দাম দিয়েছি। আপনি আরেক কাপ কফি খাবেন? বলি?
যুবকটি তাড়াতাড়ি বললো, না। আপনি যান। তারপর বললো ইমন কল্যাণের বই পড়ে কেমন লাগলো জানা যাবে না। আপনার সঙ্গে তো আর দেখা হবে না।
ইরা হেসে বললো, জানতে চান বুঝি?
হ্যাঁ।
কেন? কৌতূহল হচ্ছে অনেক। যার বই অবিক্রীত পড়ে থাকে। সেই লেখকের পাঁচ-পাঁচটা বই কিনে ফেললেন দুম করে। এরপর কী হবে প্রতিক্রিয়াটা জানার জন্য খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
ইরা বললো, সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারবেন না। আমি পরশু আমেরিকা চলে যাচ্ছি। সেখানে অবসর সময় বইটা পড়বো। তারপর জানাতে পারবো।
কী করে জানাবেন? যুবকটি অবাক হয়ে প্রশ্ন করে।
কেন? সেল ফোনে। আপনার নিশ্চয়ই সেল ফোন আছে? নাম্বারটা দিন।
যুবক বললো, নিন। দিচ্ছি। আমি রিং করছি। আপনার নাম্বারটা দিন। সেভ করে নিতে পারবেন।
নাম্বার সেফ করার পর ইরা বললো, শুধু নাম্বারটা দিলেন। নাম বললেন না।
যুবক অপ্রস্তুত হয়ে বললো, নাম? ওই নাম্বারে ফোন করলেই পেয়ে যাবেন।
ইরা হেসে বললো, আপনি বেশ অদ্ভুত। অন্যদের মত নন।
ইরা কফি শেষ করে বইয়ের ব্যাগগুলো হাতে নিতে গেল।
যুবকটি বললো, আমি পেঁৗছে দিই। ব্যাগ দুটো বেশ ভারী।
ইরা বললো, আমার অভ্যাস আছে ভারী ভারী ব্যাগ বয়ে বেড়ানোর। আসি তাহলে। কথা হবে।
যুবকটি বললো, ধন্যবাদ।
কাউন্টারের মেয়েটি ফোনে স্টোর ইনচার্জকে বললো, ইমন কল্যাণের পাঁচটি বই বিক্রি হয়েছে। এখনই র‌্যাক থেকে সরানোর দরকার নেই। একটা কপি কাউন্টারেও ডিসপ্লে করা যেতে পারে।