যদি পারো দু:খ দাও, আমি দু:খ পেতে ভালোবাসি দাও দু:খ, দু:খ দাও – আমি দু:খ পেতে ভালোবাসি। তুমি সুখ নিয়ে থাকো, সুখে থাকো, দরজা হাট-খোলা। আকাশের নিচে, ঘরে , শিমূলের সোহাগে স্তম্ভিত আমি পদপ্রান্ত থেকে সেই স্তম্ভ নিরীক্ষণ করি। যেভাবে বৃক্ষের নিচে দাঁড়ায় পথিক, সেইভাবে একা একা দেখি ঐ সুন্দরের সংশ্লিষ্ট পতাকা। ভালো হোক মন্দ […]

চন্দ্রমল্লিকার মাংস ঝরে আছে ঘাসে ‘সে যেন এখনি চলে আসে’ হিমের নরম মোম হাঁটু ভেঙে কাৎ পেট্টলের গন্ধ পাই এদিকে দৈবাৎ কাছাকাছি নিজের মনেরই কাছে নিত্য বসে আছি দেয়ালে দেয়ালে হাটের কাচকড় কুপি অনেকেই জ্বালে নিভন্ত লন্ঠন অস্তিত্ব সজাগ করে বারান্দার কোণ বসে থাকে ‘কোনদিন পাবে না আমাকে— কোনদিনই পাবে না আমাকে!

অনুবাদঃ শক্তি চট্টোপাধ্যায় বস্তুত, একটা মানুষ কতোদিন বাঁচে? হাজার দিন? না, শুধু একটি দিন? এক সপ্তাহ? না কয়েক শতাব্দী? কতোদিন পর্যন্ত একটা মানুষ মরতে খরচ করে? কী মানে হয় ‘চিরকালের জন্য’ কথাটার? এইসব ভাবনা-চিন্তার ভেতর গড়াতে-গড়াতে আমি আশপাশটা পরিষ্কার করবো বলে ঠিক করে ফেললাম। আমি খুঁজে বের করলাম জ্ঞানীগুণী পুরুতমশাইদের, তাদের পুজোপাঠ শেষ হওয়া পর্যন্ত […]

মানুষ বড়ো কাঁদছে, তুমি মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াও মানুষই ফাঁদ পাতছে, তুমি পাখির মতো পাশে দাঁড়াও মানুষ বড়ো একলা, তুমি তাহার পাশে এসে দাঁড়াও। তোমাকে সেই সকাল থেকে তোমার মতো মনে পড়ছে সন্ধ্যে হলে মনে পড়ছে, রাতের বেলা মনে পড়ছে মানুষ বড়ো একলা, তুমি তাহার পাশে এসে দাঁড়াও। এসে দাঁড়াও ভেসে দাঁড়াও এবং ভালোবেসে দাঁড়াও […]

যাবো না আর ঘরের মধ্যে অই কপালে কী পরেছো যাবো না আর ঘরে সব শেষের তারা মিলালো আকাশ খুঁজে তাঁকে পাবে না ধ’রে-বেঁধে নিতেও পারো তবু সে-মন ঘরে যাবে না বালক আজও বকুল কুড়ায় তুমি কপালে কী পরেছো কখন যেন পরে? সবার বয়স হয় আমার বালক-বয়স বাড়ে না কেন চতুর্দিকে সহজ শান্ত হৃদয় কেন স্রোতসফেন […]

ভালোবাসা সবই খায় – এঁটো পাতা, হেমন্তের খড় রুগ্ন বাগানের কোণে পড়ে থাকা লতার শেকড় সবই খায়, খায় না আমাকে এবং হাঁ করে রোজ আমারই সন্মুখে বসে থাকে। আমি একটু একটু করে তাকে অবসন্ন হাওয়া দিতে পারি একটু এনে দিতে পারি আমরুলের পাতার প্রকৃতি স্মৃতির কাঁথায় তার স্পর্শ – যিনি উপস্থিত নেই এইসব – দিতে […]

অথচ জননী জানি সাংবুগীন কারু পারঙ্গমা প্রসন্ন প্রভায় বৃক্ষ করেছেন পিঙ্গল শিশুকে রাত্রির মমতা পর্ণে ব্রহ্মব্রতে কজ্জলে কিংশুকে বিমলিন স্তনধারে সে আমার প্রথম পরমা আমাকে নন্দিত করে হিরন্ময় প্রভাতের ফুলে ওষুধির সন্ধা হলো, অন্তজলি সুরভি সুষমা আমার ইন্দ্রিয়ে অন্ধ দেহভরে বিষণ্ন বকুলে স্বৈরাচারী অস্ত্রী রাম স্বপ্নে বলে, অবিপ্রের ক্ষমা? অবিপ্র তোমায় বলি সর্বস্ব দেহের দাসী, […]

ছেলেটা খুব ভুল করেছে শক্ত পাথর ভেঙে মানুষ ছিলো নরম, কেটে, ছড়িয়ে দিলে পারতো ! অন্ধ ছেলে, বন্ধ ছেলে, জীবন আছে জানলায় ! পাথর কেটে পথথ বানানো, তাই হয়েছে ব্যর্থ । মাথায় ক্যারা, ওদের ফেরা… যতোই থাক রপ্ত নিজের গলা দুহাতে টিপে বরণ করা মৃত্যু…. ছেলেটা খুব ভুল করেছে শক্ত পাথর ভেঙে মানুষ ছিলো নরম, […]

বুকের মধ্যে বৃষ্টি নামে, নৌকা টলোমলো কূল ছেড়ে আজ অকূলে যাই এমনও সম্বল নেই নিকটে – হয়তো ছিল বৃষ্টি আসার আগে চলচ্ছক্তিহীন হয়েছি, তাই কি মনে জাগে পড়োবাড়ির স্মৃতি ? আমার মধ্যে স্বপ্নে-মেশা দিনও ? চলচ্ছক্তিহীন হয়েছি, চলচ্ছক্তিহীন। বৃষ্টি নামলো যখন আমি উঠান পানে একা দৌড়ে গিয়ে, ভেবেছিলাম তোমার পাবো দেখা হয়তো মেঘে-বৃষ্টিতে বা শিউলিগাছের […]

ও চির প্রনম্য অগ্নি আমাকে পোড়াও প্রথমে পোঁড়াও ওই পা দুটি যা ছলৎ শক্তি হীন । তারপর যে হাতে আজ প্রেম পরিচ্ছন্নতা কিছু নেই এখন বাহুর ফাদে ফুলের বর এখন কাঁধের পরে দায়িত্বহীনতা ওদের পুঁড়িয়ে এসো , এসো হৃদয়ের কাছে দাঁড়াও লহমা। তারপর ,ধংস করো সত্য মিথ্যা রঙ্গে শীতে স্তব্ধ জ্ঞান পীট । রক্ষা করো, […]