প্রেয়সী নয়, মাতাও নয়

সুন্দরী হেলেনকে নিয়ে রহস্যের ও কল্পনার কোনোটিরই অবধি নেই। কল্পনার কারণেই রহস্য। তাকে দেশে দেশে যুগে যুগে মানুষ স্মরণ করেছে। তার প্রধান মূর্তি লেলিহান শিখার। পুড়িয়ে মারে, ছারখার করে দেয় জনপদ ও নগর। কিন্তু তার মাতৃভূমিও রয়েছে। যার বিষয়ে হোমার বলেছেন, তার দ্বিতীয় মহাকাব্য ‘অডিসি’তে, বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই মাতৃমূর্তিটি কখনোই প্রধান হয়ে ওঠেনি। কিন্তু হোমার মাতাকেও জানতেন, যেহেতু বড় কবি ছিলেন তিনি। আরেকটি ভাবমূর্তি রয়েছে হেলেনের। সেটি কম পরিচিত। এটি প্রিয়ার নয়, মাতারও নয়, এ হচ্ছে স্ত্রীর। এই হেলেনকে পাওয়া যাবে ইউরিপিডিসের নাটকে, হেলেনের নামেই যে নাটকের নামকরণ। গ্রিসের তিন শ্রেষ্ঠ নাট্যকারের মধ্যে কনিষ্ঠতম হচ্ছেন ইউরিপিডিস (৪০৬-৪৮০ খ্রি.পূ.)। তিনিও ট্র্যাজেডিরই লেখক, যেমন অপর দুজন। তবে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। তিনি তাঁর গড়া চরিত্রের মনস্তত্ত্বটি দেখতেন কিছুটা কাছে গিয়ে। দেব-দেবীকে রাখতেন দূরে, তাদের কখনো ব্যবহার করতেন নাট্যকৌশল হিসেবে; তারা নেমে এসে মীমাংসা করে দিত ঘটনার। কিন্তু সবচেয়ে জরুরি যে সত্য, সেটা হলো মেয়েদের প্রতি ইউরিপিডিসের দৃষ্টিভঙ্গি। নারীর ব্যথা তিনি বুঝতেন হৃদয় দিয়ে। অনেক সময় মেয়েদেরই প্রধান করেছেন তিনি তাঁর নাটকে। ট্রয়ের পতনের পর অগ্নিদগ্ধ সেই নগরীর মাতা, ভগ্নি ও স্ত্রীদের অবস্থাটা কী দাঁড়াল সে বিষয়ে তাঁর মানবিক কৌতূহলের প্রকাশ দেখি একাধিক নাটকে। ‘ট্রয়ের মেয়েরা’ নামক নাটকে ইউরিপিডিস মাতা হেকুবা ও বধূ এন্ড্রোমাকিকে নায়িকা করেছেন। হেলেনও আছে সেই সঙ্গে, যে হেলেন ট্রয়ের ধ্বংসের জন্য দায়ী। নিহত হেক্টরের স্ত্রী এন্ড্রোমাকিকে প্রধান করে একটি পূর্ণাঙ্গ নাটকও আছে তাঁর। হেলেন সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির পূর্ণ পরিচয় পাওয়া যাবে ‘হেলেন’ নামের নাটকটিতে। ইউরিপিডিস ছিলেন যুদ্ধবিরোধী। যুদ্ধের প্রতি তাঁর বিরূপতা ও নারীর প্রতি তাঁর সহানুভূতি-এ দুই মনোভাব এক হয়েছে একটি স্রোতোধারায়, যার প্রকাশ পাওয়া যাবে হেলেনের চরিত্র তৈরিতে।

এই হেলেন প্রেয়সী নয়, মাতাও নয়; এ হচ্ছে স্ত্রী। গৃহহীন ও স্বামীবিরহে কাতর। তার মন পড়ে আছে স্বদেশে, যেখানে তার একমাত্র মেয়ে বড় হচ্ছে। হেলেন ভাবছে, তার মেয়ের তো কোনো দিন বিয়েই হবে না। কে দেবে বিয়ে? মেয়ের বাবা কোথায় আছে, কে জানে। আর মা, সে তো বন্দিনী, এই পরদেশে। একে একে সতেরোটি বছর কেটে গেল। অনেক কিছুই ঘটেছে, কিন্তু বন্দিনী হেলেনের মুক্তি ঘটেনি। কোনো দিন তার দেশে ফেরা হবে কি না, কে জানে। এ রকম যখন মনের অবস্থা, তখনই নাটকের সূচনা।

জায়গাটা কোথায়? না, ট্রয়ে নয়। রাজপুত্র প্যারিসের দেশে নয়, হেলেন বন্দি হয়ে রয়েছে মিসরে। ইউরিপিডিস হেলেনকে ট্রয়ে পাঠায়নি। যেতে দেয়নি বিপজ্জনক ওই নগরে। প্যারিস তার জাহাজে হেলেন মনে করে যাকে নিয়ে গেছে সে হেলেন নয়, হেলেনের একটি প্রতিমূর্তি মাত্র। হেলেনের মতো দেখতে, কিন্তু হেলেন নয়। আসল হেলেনকে জাহাজ থেকে উধাও করে নিয়ে গেছে দেব-দেবীরা। তাকে রাখা হয়েছে মিসরের রাজপ্রাসাদে।

ঘটনাটি এমনিতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও দেব-দেবীর পক্ষে তো কিছুই অসম্ভব নয়। কী? দেবী হীরে তো খুবই অসন্তুষ্ট ছিল প্যারিসের ওপর। প্যারিস প্রতিদ্বন্দ্বী তিন দেবীর মধ্যে অ্যাফ্রোদিতিকে শ্রেষ্ঠ সুন্দরী-এই ঘোষণা দেওয়ার পুরস্কার হিসেবে হেলেনকে পেয়েছে। স্পার্টার রানি হেলেনকে জাহাজে করে ট্রয়ের রাজপুত্র প্যারিস নিয়ে যাচ্ছে নিজের দেশে। মহা আনন্দ তার। কিন্তু হীরে বাদ সাধল। দেবরাজ জিউসকে বুঝিয়েসুঝিয়ে রাজি করল হেলেনকে সরিয়ে দিতে। জিউসই তো আসলে হেলেনের প্রকৃত পিতা। তিনি রাজি হলেন, তিনি পাঠালেন দেবদূত হারমিসকে। হারমিসই ঘটাল ঘটনা। জাহাজ থেকে হেলেনকে অদৃশ্য করে দিল। সেখানে ওই সুন্দরীর একটি প্রতিমূর্তি দিল রেখে। সেই নকল হেলেনকে নিয়ে মহানন্দে চলে গেছে প্যারিস, আপন দেশে।

এদিকে আসল হেলেনকে নিয়ে আসা হলো মিসরে। প্যারিসের জাহাজ চলে গেছে ট্রয়ে। বুঝল না সেই বীর যে কাকে নিয়ে যাচ্ছে। ওদিকে হেলেনের অপমানিত ক্ষুব্ধ স্বামী মেনেলাউস ডাক দিয়েছে গ্রিসের সব বীরকে। এসো সবাই, রানি হেলেনকে উদ্ধার করা চাই। এই বীরেরা প্রায় সবাই একসময় হেলেনের পাণিপ্রার্থী ছিল, হেলেনকে পায়নি। কিন্তু শপথ করেছিল যে হেলেনের কোনো বিপদ হলে তার সম্মান তারা রক্ষা করবে। যুদ্ধের ডাকে তারা সবাই সাড়া দিল। সাজাল নৌবহর। আক্রমণ করল ট্রয়।

কিন্তু কিসের জন্য? ইউরিপিডিসের নাটকে হেলেন তো ট্রয়ে যায়ইনি। সে তো রয়েছে অন্যত্র, মিসরে। তার মানসম্মান মোটেই পদদলিত হয়নি ট্রোজানদের দ্বারা। কিন্তু সে খবর কে রাখে? দুই পক্ষের মহা মহা বীর একটানা যুদ্ধ করল দশ বছর ধরে। কত মানুষ প্রাণ হারাল, ধ্বংস হলো কত জনপদ, যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে পুড়ে ছারখার হয়ে গেল ট্রয়। গ্রিকরা জিতল, কিন্তু জিতল না আসলে। তাদের পক্ষের কতজন যে প্রাণ দিয়েছে তার হিসাব নেই। যুদ্ধ শেষে দেশে ফেরার পথে ঝড়ে পড়ে, পথ হারিয়ে, ঘটনা-দুর্ঘটনায় আরো বহু মানুষ হারিয়ে গেল চিরতরে। অর্থহীন একটি যুদ্ধ। মানুষের মূর্খতার জন্য যেটা ঘটল, তা চিরস্থায়ী ক্ষতি করে গেল মানুষের। একেবারেই অপ্রয়োজনীয়, সম্পূর্ণ অবান্তর ছিল এই সংঘর্ষ। ইউরিপিডিস এটাই দেখাচ্ছেন। কেননা হেলেন তো ট্রয়ে নেই, রয়েছে সে মিসরে।

দুই

ইউরিপিডিসের নাটকে হেলেন বিচ্ছিন্নতায় পীড়িত ও বিরহে কাতর এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে উদ্বিগ্ন। অনেকটা রামায়ণের সীতার মতো। রামায়ণ রচিত হয়েছে ইউরিপিডিসের নাটকের প্রায় ১০০ বছর আগে। সীতাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল রাবণ। রাক্ষস সে। সীতাকে বিয়ে করতে চেয়েছে, কিন্তু সীতার সম্মতি পায়নি। শেষ পর্যন্ত লঙ্কা পুড়েছে। সীতার কারণেই বলা যায়। সীতা না থাকলে লঙ্কাকাণ্ড ঘটত না। কিন্তু সীতার সেভাবে দেখা হয়নি। সীতা হেলেন নয়, অগ্নিশিখা নয়, লেলিহান। লঙ্কা পুড়েছে রাবণের পাপে। সীতার মূর্তি আদর্শ স্ত্রীর, চিরকালের স্ত্রী সে, সীতাসাধ্বী।

ইউরিপিডিসের হেলেনও তা-ই। স্ত্রী সে মেনেলাউসের। সব সময় স্বদেশে ফেরার কথা ভাবছে। কিন্তু যেখানে পার্থক্য দুজনের মধ্যে, সেটা হলো এই যে ইউরিপিডিসের হেলেন নিষ্ক্রিয় নয়, বাল্মীকির সীতা যেমন ছিল। হেলেনের ভাবমূর্তি উল্টো রকমের। সে অত্যন্ত তৎপর। এই নাটক তারই নাটক, সব কিছু সে-ই করে। এবং শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়ে দেশে ফেরে তার নিজের বুদ্ধিতেই। মেনেলাউসের হেলেন তুলনায় হীনপ্রভ, বুদ্ধিতে খাটো, উদ্ভাবনায় পশ্চাৎপদ। মেনেলাউসের নিজের সাধ্য ছিল না হেলেনকে উদ্ধার করে; উদ্ধার করবে কী, নিশ্চিহ্নই হয়ে যেত সে বৈরী দেশে পড়ে।

নাটকের ঘটনাপ্রবাহ এ রকম। হেলেন এখন বিশেষ বিপদে আছে। হেলেন যখন মিসরে আসে, তখন সে দেশের রাজা ছিলেন প্রতিউস। খুব ভালো মানুষ তিনি। হেলেনের কাহিনী শুনে বলেছেন, অবশ্যই থাকবে সে মিসরে। তত দিন থাকবে, যত দিন না তার স্বামী এসে তাকে নিয়ে যায়। থাকবে সসম্মানে। কিন্তু হায়, মিসরের সেই রাজা এখন আর নেই। তিনি মারা গেছেন। তাঁর পুত্র এখন রাজা। এই পুত্রের ভাবভঙ্গি একেবারেই ভিন্ন রকমের। তার রক্ত গরম, সে খেপেছে, হেলেনকে সে বিয়ে করবে। বন্ধুদের নিয়ে শিকারে গেছে তরুণ রাজা। ফিরে এসেই বিয়ের কাজটা শেষ করার ইচ্ছে। হেলেনের বিপদটা সেখানেই। নীল নদের পাশে মৃত রাজার স্মৃতিসৌধের কাছে দাঁড়িয়ে হেলেন নিজের ভাগ্যের কথা ভাবছে। মুক্তির কোনো উপায় খোলা নেই তার জন্য। কে তাকে বাঁচাবে?

ওদিকে মেনেলাউস ট্রয় থেকে নকল হেলেনকে উদ্ধার করে নিয়ে রওনা দিয়েছে দেশের দিকে। পথে ঝড়ে পড়েছে তার জাহাজ। জাহাজটা শেষ পর্যন্ত ডুবেই গেল। কোনোমতে কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে অজানা এক দেশে এসে পৌঁছেছে সে। অবস্থা সঙ্গিন। খাবার নেই, বস্ত্র নেই, জাহাজ নেই। সঙ্গে আছে হেলেন। একটি গুহার মধ্যে নকল হেলেনকে লুকিয়ে রেখে, গুহার মুখে পাহারায় লোক বসিয়ে মেনেলাউস ঘুরছে সাহায্যের খোঁজে। অত বড় রাজা মেনেলাউস; তার সে কী দুদর্শা! ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌঁছে রাজবাড়ির দরজায়। সেখানে এক মহিলা প্রহরী তাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় আর কি। বলছে, ‘ভাগো, জানো না আমাদের রাজা গ্রিকদের দেখতে পারেন না? গ্রিক রমণী হেলেনকে তিনি জোর করে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। তুমি যাও, কেটে পড়ো। তোমাকে দেখতে পেলে আমার গর্দান যাবে।’ মেনেলাউস পড়ল মহা দুশ্চিন্তায়। একটু আগেই তো সে স্বয়ং হেলেনকে রেখে এলো গুহায়। এ আবার কী কথা শোনাচ্ছে?

অল্প পরেই স্বামী-স্ত্রীতে দেখা। আসল হেলেনের সঙ্গে তার স্বামী মেনেলাউসের অত্যন্ত নাটকীয় সেই সাক্ষাৎকার। দেখা গেল স্ত্রী খুবই বুদ্ধিমতী। সে জানে বিপদ ঘটবে এক্ষুনি। নতুন রাজাভগ্নি রাজকন্যার আছে দিব্য দৃষ্টি। সে দেখতে পায় কোথায় কী ঘটছে। রাজা এক্ষুনি জেনে ফেলবে এবং সঙ্গে সঙ্গে মেনেলাউসের জীবন শেষ।

হেলেন একেবারে পায়ে পড়ে গেল রাজকন্যার। বলল, বাঁচাও আমাদের। রাজকন্যার মায়া হলো, এই পর্যন্ত রাজি হলো যে সে তার ভাইকে জানাবে না কী ঘটছে। এই পর্যন্তই, এর বেশি নয়। কিন্তু পালানোর উপায় কী? কোন পথে? কিভাবে? মেনেলাউস বলছে লড়বে সে। হেলেন তার স্বামীকে নিবৃত্ত করে। বলে, তুমি তো একা, রাজার বিরাট বাহিনীর সঙ্গে পারবে কী করে?

মেনেলাউসের বুদ্ধিতে কুলায় না। সে বলে, তাহলে রাজবাড়ির লোকদের বলেকয়ে একটা রথ জোগাড় করো। তাতে করে চলো আমরা পালাই। হেলেন বলে, পালাবে কোন দিকে? পথঘাটের তুমি কী জানো?

বুদ্ধি শেষ, হেলেনই ঠিক করল। বলল, ‘রাজা এখনই এসে পড়বে। আমি ভান করব শোকে ভেঙে পড়েছি। কেননা খবর পেয়েছি আমার স্বামী মেনেলাউস জাহাজডুবিতে মারা গেছে। তোমাকে দেখিয়ে আমি বলব, এই যে এই লোকটি খবর এনেছে। এ ছিল আমার স্বামীর সঙ্গে। তারপর বোঝাব রাজাকে যে আমাদের গ্রিকদের মধ্যে নিয়ম হলো স্বামী যদি সমুদ্রে ডুবে মারা যায়, স্ত্রীকে তাহলে সমুদ্রের কাছে গিয়ে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন করতে হয়। এবং আয়োজনটা করতে হবে স্ত্রীকেই। অন্য কেউ করলে চলবে না! সেই অজুহাতে জাহাজে করে সমুদ্রে যাব আমরা। সেখান থেকে পালাব।

ওই ব্যবস্থাই করা হলো। জাহাজ প্রস্তুত করা হলো। হেলেন উঠল জাহাজে, সঙ্গে মেনেলাউস। ইতিমধ্যে মেনেলাউসের বাকি সঙ্গীরা এসে হাজির হয়েছে। তারাও বলল, সঙ্গে যাবে। হেলেন তো সেটাই চাইছিল। জাহাজ যখন সমুদ্রে গিয়ে পৌঁছেছে, তখন মেনেলাউস ও তার সঙ্গীরা দেখল এখনই সময়; তারা সবাই মিলে হত্যা করল মিসরীয় নাবিকদের। মৃতদেহগুলো সমুদ্রে ফেলে দিয়ে জাহাজ চলল নিজেদের দেশ স্পার্টার দিকে।

উদ্ধার পেল হেলেন। তার সম্মান মোটেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। না, তাকে কেউ স্পর্শ করেনি। তার মূর্তি বিজয়ী স্ত্রীর। ভালো কথা, যে মুহূর্তে আসল হেলেনের দেখা পেয়েছে মেনেলাউস, সেই মুহূতেই কিন্তু উধাও হয়ে গেছে নকল হেলেন। সুরক্ষিত গুহার ভেতর থেকে কেমন করে যে অদৃশ্য হয়ে গেল তা কেউ বলতে পারে না। ইউরিপিডিসের হেলেন কম পরিচিত, অন্য হেলেনের তুলনায়। এই নাট্যকার হারিয়ে দিয়েছেন পুরুষকে, তাঁর নাটকে জয়ী হয়েছে নারী। স্বামী ও জবরদখলপ্রবণ পুরুষ উভয়ের তুলনায়ই বুদ্ধিমতী ও উদ্ভাবনদক্ষ এই হেলেন। প্যারিস তাকে ধরে নিয়ে যেতে পারেনি, মিসরের রাজা পেয়েও তাকে পায়নি। স্বামী মেনেলাউসও পেত না, হেলেন যদি সহায় না হতো। কিন্তু মেনেলাউস তার যোগ্য কি? সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। পুরুষই প্রধান, সামাজিক কারণে। কিন্তু অনেক পুরুষই অযোগ্য বটে, যোগ্য নারীর তুলনায়।