নিত্যযাত্রী

যেভাবে একফালি মেঘের জলদেশে কিছুকাল থেকে আসে
ঝর্ণার আপেলবাগান পেরিয়ে যাওয়া
গা-বাঁচানি যানজট বা সাজানো পথ অবরোধের সঙ্গে পেরোতে চাওয়া
সময়ের সম্পর্কের কথা আমরা জানি ;
কেননা শেষাবধি ঈশ্বরও তো দুরকমের , হয় সে মানুষের মত দেখতে
নয়তো কোনো কিছুরই মত দেখতে নয়, অর্থাৎ যাকে বলা হয় নিরাকার—
সাবঅ্যাটমিক লেভেলে বাড়তে থাকে ফাঁক দিয়ে গলে যাওয়ার মনোভাব
নটা পঁচিশের যানজটে আটকে যায় রিঙ্কুদের স্কুল যাওয়ার সময়
মিস্টার সান্যালের অফিসটাইম ভবতোষবাবুর কার্যক্রম
পিছিয়ে যায় পথের ধারের গাছটিতে ফুল আসার সময়
আর বেশ কিছু সময়মনস্ক কীটপতঙ্গের বিলিব্যবস্হা,
যেভাবে ফল-ঠোকরানো পাখিদের তোড়জোড়
স্হিরভুলুনি প্রজাপতিদের উড়ে যাওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখে–
গণিতেও একইসঙ্গে কথা ওঠে সসীম অসীম আর অপরিমেয় সূক্ষ্মের
গাড়িঘোড়া শব্দটি থেকে ঘোড়া বেরিয়ে চলে যায় নিখিলের আস্তাবলে
তবু জানা হয়ে ওঠে না অনিত্যযাত্রী নারদের বাহন কেন ঢেঁকি শীতলার গাধা
যানচলাচল ইশারাময় করে তোলে ট্র্যাফিক সংকেত পেছনে খালাসি
পথঅবরোধের সঙ্গে দূরদর্শীরা মিলিয়ে দেন পারানির কড়ি—
মর্ত্যধামে মার খাচ্ছে সুধীরের অটোরিক্সার খেপ তার কামাবার সময়
তবু সম্পর্কের জটিলতার ঈষৎ হদিস দিতে
পেছনে লেখা আছে ‘বৌদির আশীর্বাদ’