সমুদ্রকাল

অভিঘাত ভেদ করে

কাঠ ও কিউবিকল পলিমার।

জভিঘাত ঢেউ

জাহাজের খোল ইম্প্যাক্ট জোন।

টানা গুঞ্জন সচল ইঞ্জিন রুম।

অপার সাগরে মিউজিক সিস্টেম

রবীন্দ্রসঙ্গীতঃ

‘কে সে যায় ফিরে ফিরে

ব্যাকুল নয়ন নীরে’

অভিঘাত মরণশীল হার্ট বিট।

 

পেট, নোঙ্গর-বন্ধ

অধুনা বন্দরে খোল

তবুও ঘুরছে

ফিরছে ছড়াচ্ছে নোম্যাড মেঘের পুলিশ

ওরা খুঁজছে কৃষ্ণগহ্বর

দেশ ও কালে চেতনার কোল

আমার মায়ের মুখ।

 

আনত পোর্ট সাইড আনত

যে পাশে দৃশ্যমানতা

স্টারবোর্ড উত্তাল গগনমুখী

ভীষণ রোলিং

ভয়েজ অন্তিম নেই।

 

পাবের সামনে দিয়ে চলে গেল

একচোখা দোতলা বাস।

পাঁজরে স্লট মেশিন

স্লটে ফেলা কারেন্ট চিরকুট

পুরনো প্রেমের নোট।

হাতের কাছেই আছে

মকবুলের পাগলা ঘোড়া

লাল ফিতের লাগাম।

স্বত: লাল চুল।

ফেনা কাটা বোবাভাঁড়।

অমিত সাগর কল্লোল।

 

অথচ বগলে অনধিগম্য দূরতা।

পাছায় গামছা

কাঁধে নেতিয়ে পড়া দালির ঘড়ি,

ল্যানোলিন স্পর্শ নীল।

আমার বগলে অন্ধকার হাঁড়িমাটি

ও উনুন।

খাঁচার ভেতরে গাছ

পোশাক-ফুলের বাগান

পোষা ফুল ও উল

ভেড়ার নক্ষত্র-জাতক।

আমার হাত ধরে গাছ হাঁটে,

হাঁটে ছবি,ছায়া ও ক্যানভাস।

 

থালার অপার কানায়

জল ও কাল অবিচ্ছিন্ন কালো।

চিতিয়ে ভাসমান মরা কাকের পেট,

সিল্যুট, ধুসর নয়।

সিল্যুট জাহাজের ডেক।

ভাঁজেভাঁজে পাভাঙ্গা

উর্ধমুখী পায়ের আঙুল

একদিন যারা পুণ্য খুঁটে খেত

সেই সব ডেরিক।

 

অন্ধকার গভীর।

দেখা যায় না নিজের

আঙুল ও লিখন।

নিকষ কালো আকাশ ও আর্ম স্পেস।

মা কালী

তোর গায়ে ছড়িয়ে দিলাম নক্ষত্রের ফুল।

ব্রিজে জেগে আছে বড় ম

ত্রিনয়ন।

 

অকারণ খেললি মন রুলেট

পোর্টে ও কিনারায়।

সঠিক নাবিক পিরামিড দেখে কোণাকুনি,

অঞ্জলিপুটে মধ্য আঙুল,একমুখী উর্ধমুখী।

নত হতে হতে বেঁকে যায় উটের গ্রীবা,

অন্বেষণ অনুগামী।