যে শরতে ইলিশের বান

ভাদ্র এলো আশ্বিন এলো অথচ শরৎ এলো না,
কাশফুল ফুটলো চরে চরে, অথচ বর্ষণ গেলো না;
যেহেতু দরজায় এসে গজরাতে থাকলো কামিনী দামিনী,
যেহেতু ভয়ে ভয়ে এই বুকে সেঁধিয়ে গেলে তুমিও অশণি,
তা-নাহলে এই নাতিউষ্ণে কে আর জলাঞ্জলি দেয় বলো
অমন তুলতুলে ঠোঁট, সিগ্রেটের জ্বলজ্বলে হলাহলও
যার কাছে তুচ্ছ ঠেকে চুমুকে চুমুকে; তুমি খুব রোদে
ঘুরতে ঘুরতে যখন ধরা পড়লে বন্য এক অবরোধে,
আমি তখন মন বাড়িয়ে দিলাম শরীরকে অমান্য করে,
স্তনাগ্র পেরিয়ে লালপিঁপড়েও কামড় বসালো সুভদ্রা অধরে;

যেহেতু জোছনাভুক আমি
পেয়ে গেলাম মনপাজেরো এক মহাদামী,
সেহেতু ডুবন্ত তোমাকে পাঁজাকোলা করে ডুব দিলাম পদ্মার চরে;

আহা, সেই খুশিতে সেবার ইলিশের বান ডাকলো ঘরে ঘরে।

One thought on “যে শরতে ইলিশের বান”

Comments are closed.