মানুষ মূলত যোদ্ধা

জন্ম যদি প্রাকৃতিক, মৃত্যু কেন প্রাকৃতিক নয়?
মানুষ মূলত যোদ্ধা, মানুষের নেই পরাজয়।

প্রকৃতির মুখোমুখি চিরকাল অতিপ্রাকৃতিক
হন্তারক জীবেদের দন্তনখ অতিদানবিক
ক্ষুধার দোহাই তুলে যত্রতত্র হাড়মাংস খায়
ত্রিভুবনে অন্য সব প্রাণী-অপ্রাণীর;
না, তাদের তো নেই কোনো দায়
আকাশপাতাল জুড়ে সৃষ্টিসাম্য অটুট রাখার;
ক্ষমতার ক্ষুধা-মুখে এ ব্রহ্মাণ্ড তাদের আহার।

নিরীশ্বর নয় তারা, বন্ধু তারা শুধু শয়তানের,
ঈশ্বরের নাম নিয়ে তারা সব প্রতিদ্বন্দ্বী খোদ ঈশ্বরের;
বাঘ বা ভালুক নয়, সাপ নয়, হিংস্র কোনো পশু নয় তারা –
মনুষ্যসুরতধারী, তারা কেউ মনুষ্যত্ব দেয় না পাহারা;
ভোজালি, কুঠার, ছুরি, গুপ্ত সব মারণাস্ত্র হাতে
মানুষ, বৃক্ষ ও প্রাণী হত্যা করে নিশীথে বা প্রাতে;
তারা সব হতে চায় মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী অগ্নি-অধীশ্বর,
স্বর্গ-মর্ত্য-ত্রিভুবনে নেই কোনো প্রাকৃতিক ঘর।

মানুষেরা প্রেম-জাত; শস্য, মাটি, সমতা ও মমতার প্রকৃত সাধক।
অমানুষ ঘৃণা-জাত; চিরকাল জনযোদ্ধা-মানুষের ঘোষিত ঘাতক।

ঘৃণা ও প্রেমের যুদ্ধ, এই যুদ্ধ ঘাতকে-মানবে –
মমতা ও ক্ষমতার এই যুদ্ধ, এই যুদ্ধ মানবে-দানবে।
এই যুদ্ধ জন্মযুদ্ধ, এই যুদ্ধে গণযোদ্ধা চির মৃত্যুঞ্জয়;

মানুষ প্রাকৃত যদি, মানুষেরই প্রকৃত বিজয়।

১৪ ডিসেম্বর ২০১৩