গভরমেন্টের টাকা

[ মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত,
প্রিয় মুহিত ভাইকে, তাঁর আশি বছর পূর্তিতে
এই কবিতাটি তাঁকে উৎসর্গ করা হলো।]

আম উঠেছে, জাম উঠেছে, কাঁঠাল পাকা-পাকা,
কিন্তু কিছুই কেনা যাচ্ছে না, পকেটে নেই টাকা।
‘কোথায় পাবো টাকা? কোথায় গেছে টাকা?’

ধমক দিয়ে বাবা বললেন, ‘পকেট আমার ফাঁকা।’
মায়ের কথা কী আর বলবো, টাকার কথা শুনে-
জ্বলে উঠলেন তেলে-বেগুনে : ‘চুরি করবো নাকি?’

অগত্যা তার বিশ্ববেকার কাকা ছিলেন বাকি,
খোকন গেলো কাকার কাছে ছুটে।
বায়না শুনে কাকা বললেন,
‘বটে, এই বয়সেই চিনে গেছিস, বাহ।’

খোকন বললো, ‘নাহ, তুমি দিলেই চিনবো।
দাওনা কাকা- একটা জিনিস কিনবো।’

কাকা তখন পকেট থেকে একটা টাকা এনে,
হেসে বললেন- ‘নে নে।’
খোকন দেখলো- টাকা কোথায়? রঙিন কাগজ।
তার উপরে রঙিন ছবি অাঁকা।
তবে কিনা কাগজটা বেশ কড়কড়ে ও শক্ত।
তাই কি সবাই এই কাগজের ভক্ত?

ছোট্ট খোকন ভেবে পায় না,
কেমন করে কাগজ হলো টাকা।
সে বললো- ‘কাকা, টাকা মানে কি
কাগজে হরিণ আঁকা?’

কাকা দেখলেন- ভারী বিপদ,
এই বয়সেই কী মারাত্মক প্রশ্ন।
নাছোড়বান্দা ছেলে। হেসে বললেন-
‘এমন উদ্ভট প্রশ্ন কোথায় পেলে?’

খোকন বললো- ‘কোথায় আবার, মাথায়।
আচ্ছা কাকা, আমি যদি অনেকগুলি
হরিণ আঁকি খাতায়, অনেক টাকা হবে?’

যেন গলায় ব্যাঙ ঢুকেছে, এমনিভাবে কেশে,
কাকা ভাবলেন, ছেলেটা কি পাগল হবে শেষে?
নিয়ম আছে, নম্বর আছে, আছে জলের ছাপ।
না-না, এসব কথা চিন্তা করাও পাপ।

হেসে বললেন হাত ঢুকিয়ে ইস্ত্রি করা প্যান্টে-
‘আমরা আঁকলে হবে না হে,
কাগজগুলি টাকা হবে আঁকলে গভরমেন্টে।’