নেকড়ে বংশ

রগেতে পিস্তল চেপে বলছে: দোগলা ফের এসেছো এখানে

থাবা মেরে ছিঁড়ে ফেলব ধর্ষক্ষুধাতুর ওষ্ঠ

খসখসে জিভে চেটে নেব নখের রোদ্দুরকণা

জটায়ুর কবজালাগানো লৌহডানা ঝাপটানোর বাজনা বন্ধ করে দেব

শরীরে এখন ঝুলকালিমাখা দৈন্য হায় যেটুকু বেঁচেছে

বাকল আড়াল করে সেগুনের এঁকে-রাখা আঁশ

 

একদিন আমারও হসন্ত গোলাপি ছিল রেফও সবুজ ছিল

য-ফলাতে মনে হত নারীর রেশমি তলপেট

কড়া প্রস্রাবের গন্ধে মথিত হাজত ছিল স্বাধীন শহরে

 

শব্দনালিকা আজ ফোঁসে ক্ষোভে : তর্জনীর পোড়া মাংস খেতে দাও

দাঁতে কেটে ছিন্ন করছি নাভিসূত্র

নেকড়ে বালিকার কাছে দীক্ষা নিয়ে দুর্গন্ধ মেখেছি টাকরায়

দুচোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুঁড়ে মারো

মুখাগ্নি করার কালে দেখব না কার থ্যাঁতা মড়া

তপ্ত সাঁড়াশি দিয়ে ছিঁড়ে নাও ধাতুকোষ বংশলোপ হোক