বিকেলের বেহাগ

তের
এনায়েতুল্লা তুলির সঙ্গে ফেসবুকে পুরনো বন্ধনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাকে খুব উত্তেজিত আর উচ্ছ্বসিত দেখাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫ জনের সঙ্গে তাদের ফেসবুক স্ট্যাটাসে যোগাযোগ হয়েছে।আলাপ হচ্ছে। এনায়েতুল্লা তার কম বয়সের একটা আর এখনকার একটা ছবি দিয়েছেন তার নিজের ফেসবুক পেজে। নিচে লিখেছেন ‘দেন অ্যান্ড নাউ’।
ছবি দুটির নিচে বছর লেখা।
কম্পিউটার বন্ধ করে তুলি বলল, আজ রাতে আবার চেষ্টা করবো তোমার অন্য বন্ধুদের খুঁজে বের করতে।
এনায়েতুল্লা ব্যগ্র হয়ে বললেন, কুমু? কুমুর খোঁজ পাওয়া গেল না এখনো? তাকে খুঁজে বের করতে হবে দাদু।
তুলি তার দাদুর দিকে তাকাতে গিয়েও পারলো না,মুখ নিচু করলো। কিছু বলতে গিয়ে গলায় আটকে
গেল। সে মাথা নিচু করে রাখল, দাদুর দিকে তাকালো না। তাকে বেশ অস্থির দেখাচ্ছে।
এনায়েতুল্লা তুলির দিকে তাকিয়ে বললেন, কী হয়েছে
দাদু, এমন করছো কেন?
তুলি কাঁদো কাঁদো স্বরে বলল, কিছু না। এরপর দ্রুত পায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে বাথরুমে ঢুকলো সে। দরজা বন্ধ করে বেসিনের সামনে ঝুঁকে
কেঁদে ফেললো হু হু করে। এরপর আয়নায় নিজেকে দেখলো। মুখের নিচের দিক কাঁন্নায় ভিজে গিয়েছে।
আয়না অস্পষ্ট দেখাচ্ছে। সে আয়নার দিকে তাকিয়ে কান্না ভেজা গলায় বলল, গড ফর গিভ মি। ফর গিভ মি। আই কান্ট টেল দ্য ট্র। আই জাস্ট কান্ট।
এরপর ভাঙা গলায় টেনে টেনে বলল, ফর গিভ মি।
আয়নায় তার মুখ ঝাপসা দেখাচ্ছে, প্রায় দেখাই যাচ্ছে না।