সকালবেলায় আলোয় বাজে বিদায় ব্যথার ভৈরবী

সকালবেলায় আলোয় বাজে বিদায় ব্যথার ভৈরবী– আন্‌ বাঁশি তোর, আয় কবি॥ শিশিরশিহর শরতপ্রাতে শিউলিফুলের গন্ধসাথে গান রেখে যাস আকুল হাওয়ার, নাই যদি রোস নাই র’বি॥ এমন উষা আসবে আবার সোনায় রঙিন দিগন্তে, কুন্দের দুল সীমন্তে। কপোতকূজনকরুণ ছায়ায় শ্যামল কোমল মধুর মায়ায় তোমার গানের নূপুরমুখর জাগবে আবার এই ছবি॥ Sakal Belar Aloy Baje

আমার রাত পোহালো শারদ প্রাতে

আমার রাত পোহালো শারদ প্রাতে। বাঁশি, তোমায় দিয়ে যাব কাহার হাতে। তোমার বুকে বাজল ধ্বনি বিদায়গাথা, আগমনী, কত যে– ফাল্গুনে শ্রাবণে, কত প্রভাতে রাতে॥ যে কথা রয় প্রাণের ভিতর অগোচরে গানে গানে নিয়েছিলে চুরি করে। সময় যে তার হল গত নিশিশেষের তারার মতো– শেষ করে দাও শিউলিফুলের মরণ-সাথে॥ Amar rath pohalo

তোমার অসীমে প্রাণ মন লয়ে

তোমার অসীমে প্রাণ মন লয়ে যত দূরে আমি ধাই– কোথাও দুঃখ, কোথাও মৃত্যু, কোথা বিচ্ছেদ নাই॥ মৃত্যু সে ধরে মৃত্যুর রূপ, দুঃখ হয় হে দুঃখের কূপ, তোমা হতে যবে হইয়ে বিমুখ আপনার পানে চাই॥ হে পূর্ণ, তব চরণের কাছে যাহা-কিছু সব আছে আছে আছে– নাই নাই ভয়, সে শুধু আমারই, নিশিদিন কাঁদি তাই। অন্তরগ্লানি সংসারভার […]

আমি চঞ্চল হে

আমি চঞ্চল হে, আমি সুদূরের পিয়াসি। দিন চলে যায়, আমি আনমনে তারি আশা চেয়ে থাকি বাতায়নে– ওগো, প্রাণে মনে আমি যে তাহার পরশ পাবার প্রয়াসী॥ ওগো সুদূর, বিপুল সুদূর, তুমি যে বাজাও ব্যাকুল বাঁশরি– মোর ডানা নাই, আছি এক ঠাঁই সে কথা যে যাই পাশরি॥ আমি উন্মনা হে, হে সুদূর, আমি উদাসী॥ রৌদ্র-মাখানো অলস বেলায় […]

আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে

আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে, আসে বৃষ্টির সুবাস বাতাস বেয়ে॥ এই পুরাতন হৃদয় আমার আজি পুলকে দুলিয়া উঠিছে আবার বাজি নূতন মেঘের ঘনিমার পানে চেয়ে॥ রহিয়া রহিয়া বিপুল মাঠের ‘পরে নব তৃণদলে বাদলের ছায়া পড়ে। ‘এসেছে এসেছে’ এই কথা বলে প্রাণ, ‘এসেছে এসেছে’ উঠিতেছে এই গান– নয়নে এসেছে, হৃদয়ে এসেছে ধেয়ে॥ Abar eseeche ashar

নিশিদিন মোর পরানে প্রিয়তম মম

নিশিদিন মোর পরানে প্রিয়তম মম কত-না বেদনা দিয়ে বারতা পাঠালে ॥ ভরিলে চিত্ত মম নিত্য তুমি প্রেমে প্রাণে গানে হায় থাকি আড়ালে ॥ নিশিদিন মোর পরানে প্রিয়তম মম

বিরহ মধুর হল আজি মধুরাতে

বিরহ মধুর হল আজি মধুরাতে। গভীর রাগিণী উঠে বাজি বেদনাতে॥ ভরি দিয়া পূর্ণিমানিশা অধীর অদর্শনতৃষা কী করুণ মরীচিকা আনে আঁখিপাতে॥ সুদূরের সুগন্ধধারা বায়ুভরে পরানে আমার পথহারা ঘুরে মরে। কার বাণী কোন্‌ সুরে তালে মর্মরে পল্লবজালে, বাজে মম মঞ্জীররাজি সাথে সাথে॥ বিরহ মধুর হল আজি মধুরাতে

দীপ নিভে গেছে মম

দীপ নিভে গেছে মম নিশীথ সমীরে দীপ নিভে গেছে মম ধীরে ধীরে এসে তুমি যেওনা গো ফিরে দীপ নিভে গেছে মম এ পথে যখনই যাবে আধারে চিনিতে পাবে রজণীগন্ধারও গন্ধ ভরেছে মন্দিরে ধীরে ধীরে এসে তুমি যেওনাগো ফিরে দীপ নিভে গেছে মম আমারে পড়িবে মনে কখন সে লাগি প্রহরে প্রহরে আমি গান গেয়ে জাগি আমারে […]

সুখহীন নিশিদিন পরাধীন হয়ে ভ্রমিছ দীনপ্রাণে।

সুখহীন নিশিদিন পরাধীন হয়ে ভ্রমিছ দীনপ্রাণে। সতত হায় ভাবনা শত শত, নিয়ত ভীত পীড়িত– শির নত কত অপমানে ॥ জানো না রে অধ-ঊর্ধ্বে বাহির-অন্তরে ঘেরি তোরে নিত্য বাজে সেই অভয়-আশ্রয়।… তোলো আনত শির, ত্যজো রে ভয়ভার, সতত সরলচিতে চাহো তাঁরি প্রেমমুখপানে ॥ রাগ: নট-মল্লার তাল: ত্রিতাল রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1306 রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1899 স্বরলিপিকার: ইন্দিরা দেবী […]

তুমি কোন্‌ ভাঙনের পথে এলে সুপ্তরাতে

তুমি কোন্‌ ভাঙনের পথে এলে সুপ্তরাতে। আমার ভাঙল যা তা ধন্য হল চরণপাতে॥ আমি রাখব গেঁথে তারে রক্তমণির হারে, বক্ষে দুলিবে গোপনে নিভৃত বেদনাতে॥ তুমি কোলে নিয়েছিলে সেতার, মীড় দিলে নিষ্ঠুর করে– ছিন্ন যবে হল তার ফেলে গেলে ভূমি-‘পরে। নীরব তাহারি গান আমি তাই জানি তোমারি দান– ফেরে সে ফাল্গুন-হাওয়ায়-হাওয়ায় সুরহারা মূর্ছনাতে॥ তুমি কোন্‌ ভাঙনের […]