জনার্দন কৈবর্তের এখন-তখন অবস্থা। যমে-মানুষে টানাটানি যাকে বলে। পাঁঠার মাংসই তার এই মরো-মরো অবস্থার জন্য দায়ী। জনার্দন স্বভাবলোভী নয়, কিন্তু পাঁঠার মাংসের কথা বললে ভরাপেটেও তার খিদে লেগে যায়। জনার্দন খুব যে হালুম-হুলুম করে খায়, এমন নয়। কিন্তু পাতে পাঁঠার মাংস পড়লে ভাতের হাঁড়ি উজাড় হয়। কৈবর্তপাড়ার কেউ যদি বলে, ‘জনার্দনদা, আমার এই গেরো গুঁড়িটা […]
জনার্দন কৈবর্ত
একটি হাত ডান হাত
দ্রোণ বলিলেন, যদি সন্তোষ করিবে। দক্ষিণ হস্তের বৃদ্ধ অঙ্গুলিটা দিবে গুরুর আজ্ঞায় সে বিলম্ব না করিল। ততক্ষণে কাটিয়া অঙ্গুলি গোটা দিল —দ্রোণ সমীপে অস্ত্রশিক্ষা হেতু একলব্যের আগমন, মহাভারত,/কাশীরাম দাস। আমার নাম একলব্য। পিতার নাম হিরণ্যধনু। মায়ের নাম বিশাখা। পিতামহ অনোমদর্শী। ‘মহাভারত’ যুগের মানুষ আমি। ‘মহাভারতে’ আমাকে নিয়ে সামান্য কথা আছে। অন্য চরিত্রগুলো নিয়ে অনেক কথা […]
তিনটি অণুগল্প
মেথর ‘আপনারা কী জাত?’ খাওয়া-টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে ব্যানার্জিগিন্নি জিজ্ঞেস করলেন। এই প্রশ্নের কী উত্তর দেবেন ঠিক করতে পারলেন না নিতাইবাবু। ফ্যালফ্যাল করে ব্যানার্জিগিন্নির দিকে তাকিয়ে থাকলেন শুধু। বাংলায় অধ্যাপনা করেই দিন ফুরাচ্ছিলেন নিতাই রাজবংশী। আজকাল ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে কতটুকুই বা আর বিদ্যে লাগে। কর্ণফুলীর পার দিয়ে এক বিকেলে হাঁটতে হাঁটতে ‘পদ্মানদীর মাঝি’ আবার পড়তে ইচ্ছে জাগল […]
ফেলে যাওয়া
‘তোমার কি সেদিনের কথা মনে পড়ে?’ ‘কোন দিনের কথা?’ ‘যেদিন আমার গা তোমার গায়ে ছোঁয়াতে দাওনি!’ ‘মানে!’ ‘তুমি সেদিন প্রথম ক্লাস করতে যাচ্ছিলে। হেঁটেই যাচ্ছিলে তুমি। আমি রিকশায়, তোমার পাশ দিয়ে। তুমি আমাকে খেয়াল করোনি অবশ্য। খেয়াল করবে কী করে! মাথা নিচু করে যে হাঁটছিলে।’ ‘তুমি কী ডায়লগটা দিয়েছিলে সেদিন! আপনি নয়, তুমিও নয়।’ ‘বলেছিলাম, […]