শরীরী স্বপ্ন

এখনও ফেরাও যদি ফিরতে পারি, নড়ছে শরীর, পেছনে নবাববাড়ি, ঘোলা জলে ভেসে যাচ্ছে বুড়িগঙ্গা ধবল শাড়ির পাড়ে রজঃচিহ্ন, হা-হুতাশে কেটে যাচ্ছে কোকিল সময়। (কিছু সময় এখনও কি হাতে আছে?) পারো যদি মুছে দাও এই পদছাপ, বালির স্তূপ থেকে জেগে উঠুক পাখিদের দল, নরম বাতাসে ওরা ডানা মেলে উড়ে যাক জোছনার দেশে, বয়সের ক্ষতচিহ্ন পায়ে ঠেলে […]

জীবনানন্দের সাথে জোছনায়

জোছনায় হাঁটতে হাঁটতে যখন বহুদূর পেরিয়ে এসেছি কাঁধের ওপর হাত রাখলেন জীবনানন্দ, সামনের শস্যক্ষেত দেখিয়ে বললেন, নিড়ানি দাও, সন্তান হবে, না হয় শস্য হবে। আমি বললাম, চাবিটা দিন এ শস্যক্ষেতে প্রবেশ করতে চাবি লাগে, হেমন্তের হিমমাখা চাবিটা তিনি চিবিয়ে খেয়ে ফেললেন আমার সামনেই, পকেট থেকে রুমাল বের করে তার গিঁট থেকে খুলে দিলেন বনলতার প্রেম। […]

একটু পেলে ছুটি

আকাশ যখন তারার বাগান হয় বাতাস যখন নদীর মতো বয় রাতের কানে আঁধার কথা কয় খুকুর বুকে জমতে থাকে ভয় তখন আমার ইচ্ছে জাগে একটু পেলে ছুটি ওই আকাশে তারার মতো ফুটি। সাত-সকালে শিশির যখন ঝরে নরম ছোঁয়ায় ফুলের ওপর পড়ে সূর্যমুখী পাপড়ি মেলে ধরে সেই সুবাসে যায় না থাকা ঘরে তখন আমার ইচ্ছে জাগে […]

জোছনাবাড়ি

আকাশ কাটে মেঘের সুতো নীল জলে তার স্বপ্ন ভাসে নৌকো হয়ে, পাল তুলে দেয় অবুঝ মাঝি, কাশবনে ফুল তাঁতের শাড়ি, মন যেতে চায় জোছনাবাড়ি। কেন নেবে নাও ছিন্ন হাসি পরবাসী মনটা কাঁদে ঘরের ছাদে, হিম কুয়াশার অন্ধকারে একা একা স্বপ্ন দেখি, দুঃখবোধের লাগাম থেকে বেরিয়ে আসে সাপের ফণা, তন্দ্রা হরিণ ঘুমিয়ে থাকে গোলপাতাতে লেপ্টে থাকে […]