মৃত্যুর শরীর ভেঙে

বিদ্যুতেরও সাধ্য নেই রুদ্ধ করে রক্তের প্রবাহ—
যেভাবে রাতের ঘরে এলে তুমি দাঁড়ালে যখন
শরীরের বস্ত্র ছেড়ে, চুলে ঝড়, যখন উধাও
লজ্জার সকল শীল, মরে যাই আমি যে তখন!
বিপুল সমুদ্র দেখে ছোট এক জাহাজের মাঝি—
ধ্রুবতারা লক্ষ্যহারা, কম্পাসের কাঁটাও বিকল—
তখন যে হয় তার হাহাকার, কীভাবে যে বাঁচি—
চারদিকে নাচে তার রাক্ষুসীর জল ছলচ্ছল।
সেই মতো তোমার সমুখে আমি একান্ত বাসরে
নতজানু ক্রমে হই সাক্ষাত মৃত্যুর দেখা পেয়ে—
সমুদ্র তখন নয় ভেসে থাকি রতির চাদরে,
হর্ষের বদ্বীপমুখে প্রাণপণে চলি দাঁড় বেয়ে—
তোমার সম্মত দেহে—সারারাত—সারারাত আমি
মৃত্যুর শরীর ভেঙে রতিপথ ধরে স্বর্গগামী ।