শান্তির ডিক্রি


নিজের হাতে জমি চাষ করেন এমন একজন সাধারণ

কৃষককে জিজ্ঞেস করুন, আপনি কি চান শান্তি?

তাঁর উত্তর হবে: এই তো আমার সবচেয়ে প্রিয় চাওয়া।

চাই, প্রাণপণে চাই, শতমুখে চাই।

জিজ্ঞেস করুন কারখানার একজন সাধারণ শ্রমিককে,

আপনি কী চান? তারও উত্তর হবে – শান্তি ….

একটু শান্তির জন্যই তো এই অহোরাত্র শ্রম।

জিজ্ঞেস করুন একটি বনের পাখিকে, সে-ও বলবে, শান্তি….

অবশ্য যুদ্ধবাজরা বলতে পারেন, পাখিটি অন্য কথা বলেছে।

জিজ্ঞেস করুন অরণ্যের যে কোন বৃক্ষকে, সম্ভাব্য

পরমাণু যুদ্ধের মোকাবিলায় সে প্রস্তুত আছে কিনা?

পাতা নাড়িয়ে, আপ্রাণ প্রয়াসে সে বলে উঠবে না, না, না, ..।

নদীর জল ও আকাশের মেঘপঞ্জকে জিজ্ঞেস করুন,

হিরোশিমার পরমানু – ভস্মের দগ্ধ স্মৃতি আজও ভুলতে পারেনি।

কৃষক-শ্রমিক, পাখি-পতঙ্গ, বৃক্ষ-নদী-মেঘ,

সবাই আজ যুদ্ধের বিরুদ্ধে সমবেত শান্তির মিছিলে।

যুক্তরাষ্ট্রে,

ইউরোপে,

এশিয়ায়,

আফ্রিকায়,

ল্যাটিনে,

– কোথায় নয়?

যেখানে মিসাইল সেখানেই শান্তির কপোত।

এবার জিজ্ঞেস করুন লাখ-লাখ একর জমির মালিকদের,

অঢেল খাদ্য ফলিয়ে বিশ্বের খাদ্য-বাজারকে

যারা নিয়ন্ত্রন করতে চায়; খাদ্যকে যারা রূপান্তরিত করে অস্ত্রে।

জিজ্ঞেস করুন বড়-বড় শিল্প-কারখানার সেইসব মালিকদের,

যারা তাদের উৎপন্ন সামগ্রীর চকবাজার বলে ভাবেন

এই বুভূক্ষ পৃথিবীকে __________;

যারা পৃথিবীজুড়ে চান শোষণের জাল বিস্তার করতে।

পৃথিবীর মোট-সম্পদের সিংহভাগ যাদের কুক্ষিগত,

জিগজ্ঞস করুন সেই দুইশ পরিবারের বড়-কর্তাদের:

রকফেলার,

ম্যাক-ডোনাল্ড,

লক-হিড…

কী সুন্দর একগুচ্ছ থোকা থোকা নাম।

ক্ষীণকন্ঠে হয়তো তারাও বলবেন শান্তির কথা,