মা দিবস

মা তো আছেন
সব দেখে নিবেন, বুঝে নিবেন, সামলে নিবেন
এখন, যখনতখন, অকাতরে, নির্বিচারে
সব ভার চাপাই-

বন্দিনী মা,
আমাদের করতলে!
একাকিনী! নিঃশ্বাস ভারী, কুঁজো হয়ে মুখ বুঁজে
শিঁরায় টান পড়া পায়ে ছুটাছুটি
আমাদের আব্দারে, বেঢপ বেয়াদবির আহ্লাদে!

মাঝে মাঝে মা চ্যাচাঁন
অস্থিরতায় দাপিয়ে চলেন
এ ঘরে, ও ঘরে-

সচকিত ছেলে প্রিয়া কে বোঝায়
আরে ছাড়ো,
বয়স বাড়ছে, বেশি বেশি কথা বলে অনর্থক!
মেয়ে বোঝায়, স্বামী টি কেও–
তপঃজপে মান ভাঙ্গায়, গান রচে
বঁধু, মিছে রাগ করোনা
অথবা
ও দুটি হাত, চিরদিন থাক, হয়ে মোর গয়না
ভালবাসাবাসি, ঘর দোলে আবার!

একান্ত কোণে মা, নিজ বিছানায় শুণ্যে তাকান-
মা কি জানেন?
একটি দিবস আছে
মাকে নিয়েও মাতি মাতি’র
মা দিবস, বিশ্ব মা দিবস!
মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেশত বলে কথা!!

মানিতা মিতু
ঢাকা, আগষ্ট ২৯, ২০১২

রেটিং করুনঃ
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (No Ratings Yet)
Loading...
মানিতা মিতু- র আরো পোষ্ট দেখুন

৩ টি মন্তব্য

  1. মানিতা-কে স্বাগতম ।

    আপনার লিখা প্রথম পড়লাম, বেশ ভালো লাগলো । স্বচ্ছন্দে সাঁতার কেটে যায় এমন সহজ সাবলীল ভাষা আর প্রকাশ ভঙ্গি বেশ পাঠক-বান্ধব ।

    শ্বাশত সনাতনি আমাদের মা – যাপিত জীবনের দৈনন্দিন টানাপোড়নে নতজানু । মায়ের প্রতি কবির ভালবাসা ও সহমর্মিতা পাঠক মন ছুয়ে যায় । তবে হ্যা, মা’কে নিয়ে কবির ভাবনা কি মাঝপথে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেললো – নিজের অজান্তেই কি জায়া-জননী দু’টি স্বরূপ একাকার হয়ে গেছে – যেমন ‘বঁধু, মিছে রাগ করোনা’ ?! এ কি কবির আপন অস্থিরতার অসতর্ক বহিঃপ্রকাশ, নাকি বিশেষ ভাব প্রকাশ্য – আমি নিশ্চিত নই ।

    আর যা-ই হোক, মা দিবস পালনকারী বর্তমান প্রজন্মের গড্ডালিকায় প্রবাহমান তথাকথিত ভালবাসাকে মানিকার কবিতাটি দু’দন্ড হলেও ভাবাবে – সন্দেহ নেই ।
    আর এখানেই মানিকার সার্থকতা ।

  2. নিলয়,
    ধন্যবাদ আপনাকে। প্রথম বার পা রাখা এই আঙ্গিণায়, আপনার স্বাগতম আমায় স্বাচ্ছন্দ্য যোগাবে নিশ্চিত। আমি আনন্দিত।
    ‘মা দিবস’ এ আমার উপলব্ধি আপনার মন্তব্যে সঠিক ভাবেই উঠে এসেছে। তবে, যে জায়গাটি তে আপনার কাছে ‘থেই হারিয়ে ফেলা’ বলে মনে হয়েছে, তা কিন্তু নয়! হতে পারে, কবিতার লাইনগুলোর অনিয়ন্ত্রিত গ্যাপ বা এ্যলাইনমেন্ট সমস্যা, যেটা এই সাইটে ঠিক রাখতে আমি হিমশিম খাচ্ছিলাম, হয় তো একেবারেই নতুন বলে।
    আমাদের দেশের শতশত দুর্ভাগা জননীদের বিভিন্ন রোল প্লে করতে যেয়ে করুন ভাবে অনেক অভিযোগের শিকার বণে যেতে হয়। যেমন, অধূনা ছেলের বৌ বা মেয়ের জামাই’দের কাছে অনেক জননীই একেবারে অসহায় ভাবেই ধরা খান এবং নিশ্চুপ থেকে থেকে নিথর হয়ে যান। কারন আত্মজাদের সুখী সংসার টাও যে ঠিকঠাক রাখতে হবে! এসব ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েরাও থাকে কয়েক কদম এগিয়ে।জননীকে এক পাশ করে, তারা তাদের সখী বা সখা’র মান ভাংগানো বা মন ভোলানোয় ব্যস্ত হয় আগে। ‘অবস্থান কে নিজের অনুকূলে ধরে রাখতে হলে প্রতিপক্ষ কে ঘায়েল কর’-এই সূত্র সব সুবিধাবাদীরাই প্রয়োগ করে, নয় কি? জননী’র প্রথম পর্যায়ের প্রতিপক্ষ নিশ্চয়ই স্বীয় সন্তানরা নয়।তবে দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ ত তারাই! কারন যে ইনফমেশন গুলোতে অভ্যস্ত হয়ে তারা নিজের এতদিনকার চেনাজানা জননী কে মুল্যায়ন করে তা কতটুকু নিখাদ? বর্তমানে বৃদ্ধাশ্রমগুলো কেন এত বেশি বাড়ছে??
    …নিলয়, হতে পারে আমি একটু বেশি অস্থির বা বিশেষ ভাব প্রকাশ কে প্রাধান্য দিয়ে শুধু জননীকেই নির্ভুল বলছি। আমি জানি, সমাজে উলটো চিত্র ও আছে। কিন্তু এখানে, আমার এ কবিতায় আমি যা বলেছি, তা মনে হয় কিছুটা আপনাকে বোঝাতে পেরেছি।
    –আমার এ বার্তা এখনকার প্রজন্ম আগে থেকেই বোঝে গেলে, মানিতা সার্থক।
    ‘মা দিবস’ এর প্রথম মন্তব্য দিয়ে আপনি মানিতা কে স্বীকৃতি দিলেন। আবারো ধন্যবাদ এবং শুভকামনা আপনার প্রতি।

Comments are closed.