ধন্যবাদ মেঘমালা

কোন নক্ষত্র ভেজা রাতে,
তোমার কাজল রাঙ্গা চোখ বেয়ে যেন আরো আধাঁর নামে।
হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায় চেনা ঝি ঝির ডাকে,
আধ-খোলা জানাল দিয়ে আসা জ্যোৎস্নার কয়েকবিন্দু আলোয়,
আর কাঁচের চুড়ির রুনুঝুনু শব্দে।
তুমি অর্ধ জাগ্রত, কিছুটা অপ্রস্তুত শাড়ি
বাঁ পাশে সরে যাওয়া টিপ আর বুকের ভাঁজে তিল।

হঠাৎ বৃষ্টি নামে,
তোমার বৃষ্টির জলে ভেজা হাতে রক্ত করবী।
তোমারি অজান্তে তোমার আবীর রাঙ্গা ঠোঁট চুমে আমার কপোল।
কয়েক রাশি মেঘ খেলাচ্ছলে ঘোমটা টানে চাঁদে
তারপরে বিকট শব্দে বজ্রপাত।
তুমি জাপটে ধর আমার
কিছুতা ভয়ে কিছুটা অভিনয়ে।

প্রশ্বাসে তোমার চুলের ঘ্রাণ আর ঐ দেহের গন্ধ
কিছু অতলস্পর্শি অনুভূতি।
আমি কম্পিত হস্তে, দীর্ঘশ্বাসে,
শালীনতার বাধ ভেঙ্গে তোমায় স্পর্শি।
ব্যাখ্যাহীন অর্থহীন কিছু মুহূর্ত,
দুইটি ছায়া একটি অচেনা অনুভূতি।

একেই কি বলে নারী? তোমরা কি এমন-ই রহস্যময়ী?
জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধতা কি বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে এভাবেই ঝরে?
কি জানি হয়তবা তাই।

হঠাৎ মহাকাল নেমে আসে
ঘুম জড়ানো কণ্ঠে বলে ওঠে,
ধন্যবাদ মেঘমালা, ধন্যবাদ তোমায়।

-জিহান আল হামাদী
২ রা’ মার্চ ২০১২